পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বীড় 歌●● - হাসী ওঁর এক মসলমান বন্থর কাছে মেয়েটির কথা শোনেন,--আর শোনেন যে, বদমাইসরা বলেছিল, ওটি বাগালীর মেয়ে। উনি সেই পতিতা স্মীলোককে পলিসের ভয় দেখিয়ে, তার উপর পাঁচশো টাকা দিয়ে, মেয়েটি কিনে নেন। তার পর থেকে নিজের সময়ের মত পালন করেছেন। তোমার বোন হারানোর সমন্সত ইতিহাসই আমি তোমার কাছে, তোমার বাবার কাছে, তোমার মা'র কাছে শুনেছিলাম ত পথান, কাল, সমস্তই দেখ মিলে যাচ্চে। সুশোভনাই যে তোমার সেই হারানো বোন তাতে আমার মনে ত কোন সন্দেহই নেই।” - অমরেন্দ্র বলিল, “তুমি এ কথা হরিশপ্তকরবাবকে বলেছ ?” “ভাই, তুমি একবার গিয়ে তাঁকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এস, আমি নিজে তাঁকে সব কথা জিজ্ঞাসা করি।” - - হরিশপ্তকরবাব আসিলেন। বোন হারানোর সময় অমরেন্দ্রনাথ বারো বৎসরের বালক । সকল কথাই তার স্মরণ ছিল। হরিশ করবাবর প্রদত্ত বিবরণ সমস্তই ঠিক ঠিক মিলিয়া গেল । অমরেন্দ্র বলিল, “হ্যাঁ, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি। সুশোভনার বাঁ-কনয়ের উপরটায় একটা জড়ল আছে কি ? আমার নিজের অবশ্য সেটা ঠিক স্মরণ নেই, কিন্তু মা'র কাছে আমি শনেতাম যে, আমার সে বোনের হাতে ঐ চিহ্ন ছিল।” হরিশপ্তকরবাব বলিলেন, “হ্যাঁ, ঠিক সেইখানে জড়ল আছে।” স্থির হইল, এখন শোভনাকে এ-সব কথা জানাইবার কোনই প্রয়োজন নাই; কারণ, হরিশঙ্করবাব তাহার জন্মদাতা পিতা নহেন শুনিলে বালিকার হাদয়ে অঘিাত লাগিতে পারে। বিবাহের পর সময় বঝিয়া, প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়া সরুমারই তাহাকে আসল কথা জানাইবে। ঘাঁড় ঘড়ি অথে ঘটিকা-যন্ত্র নহে। উহা একজন ষোড়শী পাহাড়িয়া সন্দেরীর নাম । বায়-পরিবত্তন জন্য পাহাড়ে গিয়া সেই ঘড়িকে লইয়া মহা বিপদে পড়িয়াছিলাম, কেবল মা মঙ্গলচণ্ডীর কৃপায় সে বিপদ হইতে উদ্ধার হইয়া আসিয়াছি। কিন্তু সে কথা পরে বলিব, আগের কথা আগে বলাই ভাল। ইদানীং কিছুদিন হইতে আমার স্বামীর শরীরটা তেমন ভাল যাইতেছিল না, মাঝে মাঝে জর হয়, হজমের গোলমাল, রাত্রিতে ভাল ঘন্ম হয় না—এইরুপ নানানখানা, ঔষধপত্রও খান, কিন্তু ফল তেমন পাওয়া যায় না। বয়স হইয়াছে (আমার হয় নাই, আমি তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের সন্ত্রী) তার উপর আপিসের হাড়ভাঙ্গা খাটনী, (তিনি আলিপুরের যুগ্রজরি হাকিম) সহ্য হইবে কেন ? তাই তাঁহাকে বলিলাম, “তোমার ছটি,ত ঢের পাওনা রয়েছে, মাস-তিনেকের ছটি নিয়ে দাজিলিঙ কি সিমলে পাহাড়ে গিয়ে হাওয়া বদলাবে ?” তিনি বলিলেন, “ছাটি ত পাওনা আছে। কিন্তু ধর, দাজিলিঙ কি সিমলে পাহাড়ে গৈয়ে তিন মাস বাস করা, সে ত বিস্তর খরচ।” আমি বলিলাম, “টাকা আগে, মা প্রাণটা আগে ?” বহু তক-বিতকের পর অবশেষে তিনি স্বীকার করিতে বাধ্য হইলেন যে, প্রাণটাই আগে। এপ্রিল, মে ও জন তিন