পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o গল্প-গ্রন্থাবলী পৰ্যন্ত উহার তাহকে কিছতেই আসিতে দেয় নাই। ८शाण कार्डो किनब्रा ब्राथरठ নিজ ভুলের জন্য আমরা এত কষ্ট পাইয়াছি, এ জন্য অনেক দুঃখ করিয়াছে। छिन প্রতি সোমবারে নিয়মিতভাবে প্রফুল্লর পত্র আসিতে লাগিল। পৌষ-তত্ত্বের পবে, গহিণীকে লুকাইয়া, বেহাই-মহাশয়কে আমি রেজিস্ট্রি করিয়া দুই শত টাকা পাঠাইয়া দিলাম। লিখিয়া দিলাম, আজকাল যে নতন ফ্যাসানের দোরোকা শাল উঠিয়াছে, তাহাই গায়ে দিতে তাঁহার জামাতার অত্যন্ত সখ। তিনি যেন স্বয়ং কলিকাতায় গিয়া ভাল শাল একখানি কিনিয়া আনেন, আর ষোল গিরা একটি কাশমীরা কোট, গরম গেঞ্জি, গরম মোজা প্রভৃতি। আমি কিঞ্চিৎ টাকা পাঠাইয়া তাঁহাকে সাহায্য করিলাম বলিয়া তিনি যেন কিছুমাত্র কুষ্ঠিত না হন; তাঁহার কিরুপ অনটনের সংসার তাহা আমি অবগত আছি বলিয়াই, কুটুব হিসাবে নয়, বন্ধভাবে তাঁহাকে সাহায্য করলাম, ইহাতে তিনি যেন আমার অপরাধ না লয়েন এবং কথাটা গোপন রাখেন ইত্যাদি। পৌষের তত্ত্ব দেখিয়া গহিণী খসী হইলেন। বলিলেন, “আহা, ছেলে যদি বাড়ী থাকতো, তবে বড় আনন্দ হতো।” বলিলাম, “দমাস পরেই ত সে আসছে। এসে দেখবে এখন।” গহিণী ধরিলেন, “না গো তুমি একবার যাও বদ্ধমান। ছেলেকে এ সব দিয়ে এস। সে তার বন্ধবোন্ধবকে দেখাবে, কত আমোদ হবে তার।" নানা কয্যে ব্যস্ত থাকায় গহিণীর অনুরোধ পালন করিতে কয়েকদিন বিলম্ব হইল। জিনিষগুলি লইয়া একদিন আহারাদির পর রওয়ানা হইলাম। ছেলেকে দেখিয়াও আসিলাম, জিনিষগুলি দিয়াও আসিলাম। শানিলাম বাইশে ফাল্গন তাহার পরীক্ষা শেষ হইবে, তেইশে সে বাড়ী যাইবে। গহে ফিরিয়া পজি দেখলাম, বাইশে ফালগুনের পর্বে বিরাগমনের ভাল দিন নাই। সেই অনুসারে বেহাই-মহাশয়কে পত্র লিখিলাম। বাইশে ফাল্গন সন্ধ্যার পবে বেহাই নিজে আসিয়া তাঁহার মেয়েকে ঘর-বসত করিবার জন্য রাখিয়া গেলেন। বিবাহের সময় মা'র আমার যেমন রপে দেখিয়ছিলাম, এখন যেন তাহার বিগণ হইয়াছে। ঘর আলো-করা পত্রবধ যদি কাহারও আবশ্যক হয়, তবে সে ষেন পত্রের জন্য এমন পাত্রীরই সন্ধান করে। পরদিন আমি সনান করিবার জন্য বাড়ীর ভিতর গিয়া দেখিলাম, গহিণীর মুখ অত্যন্ত গভীর। আমার সম্মখে আসিয়া দাঁড়াইলেন। তাঁহার মখে লাল, চক্ষু ছলছল । করিতেছে, কণ্ঠস্বর আবরন্থে। বলিলেন, “ওগো, সব্বনাশ হয়েছে !” ভীতভাবে জিজ্ঞাসা করিলাম, "কেন, কি হয়েছে ?” তিনি বলিলেন, “বউমা নিজের ত মাথা খেয়েইছে, আমাদেরও মাথাও খেয়েছে।” “কেন, কি করেছেন বউমা ?” গহিণী আমার কাণে-কাণে একটি মাত্র শব্দ উচ্চারণ করিলেন। আমি বলিলাম, “মাথা খেয়েছে কেন বলছ ? কেন ? ক’মাস ? প্রফুল্ল কি মাসে খবশরেবাড়ী গিয়েছিল ? হ্যাঁ, জটি মাসে। তা হ’লে—তুমি কি বলছ—” 紗 মাথামণ্ড কি বলিব, কথা শেষ করিতে পারলাম না। শঙ্কাকুল নয়নে গহিণীর দিকে, চাহিয়া রহিলাম। গহিণী বলিলেন, “তা হলে ত ভরাভত্তিই হত—খালাস হবার সময় ঘনিয়ে এসেছিল। তা নয়। চার মাস কি বড় জোর পাঁচ মাস ।"