পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ গল্প-গ্রন্থাবলী দিকে মুখ করিল, এবং নিমেষ মধ্যে খানা পার হইয়া, ময়দানে প্রবেশ করিয়া ছটিতে লাগিল। মহেলা তৎক্ষণাৎ নিজ গলা হইতে চাদরখানা নামাইয়া, তাহার উভয় প্রান্ত একত্রে গাঁইট দিয়া গাড়ীর পশ্চাদ্ধাবন করিল। কিয়ন্দরে প্রাণপণে ছটিয়া অশেবর নাগাল পাইয়া, ংসই চাদরের ফাঁস তাহার গলায় লাগাইয়া বিপলে বলে তাহা টানিতে টানিতে আড় হইয়া ছটিতে লাগিল। কিয়ন্দরে পশ্চাতে পাবেীক্ত সাহেবেরাও ছটিয়া আসিতেছিলেন। মহেন্দ্রের এই সাহস ও কৌশল দেখিয়া, “রাভো ইয়ংম্যান—হোল্ড অন” (সাবাস ববেক, ধরিয়া থাক ) বলিয়া তাঁহারা চীৎকার করিতে লাগিলেন। অশেবর গতিবেগ প্রতি মহেনত্তে হ্রাস হইয়া আসিতেছিল। ক্ৰমে সাহেবেরা আসিয়া পেশছিলেন এবং সেই চাদর দই তিনজনে মন্টিবদ্ধ করিয়া টানিতে টানিতে ছটিতে লাগিলেন। আর কিষন্দরে গিয়াই অশ্ব পরাজয় স্বীকার করিল— रन फ्राँक्लाइँव्न । দুইজন সাহেব তখন মেমসাহেব ও শিশবেয়কে বগী হইতে নামাইলেন। মেমসাহেবের মুখ শাকের বর্ণ ধারণ করিয়াছে, তিনি ঠক ঠক করিয়া কাঁপিতেছেন। দাঁড়াইতে পারিলেন না। সেইখানে ভিজা ঘাসেব উপর বসিয়া পড়িলেন। কথা কহিবার শক্তি নাই যে কাহাকেও ধন্যবাদ দিবেন। শিশু দইটি তাঁহাকে জড়াইযা ধরিয়া কাঁদিতে লাগিল। মেমসাহেবের মাছার উপক্রম দেখা গেল। সৌভাগ্যক্রমে এক সাহেবের পকেটে ব্যাণ্ডি ভরা ফ্ল্যাসক ছিল । তিনি সেটি বাহির করিয়া, মেমসাহেবেব মুখে ধাঁরলেন। মেমসাহেব ঢক ঢকা করিয়া খানিকটা পান করিয়া ফেলিলেন। সাহেবেরা কেহ মহেন্দ্রের সহিত করমন্দন করিলেন কেহ তাহাব পিঠ চাপড়াইলেন, সকলেই তাহাকে অজস্র প্রশংসাবাদ করিতে লাগিলেন। মেমসাহেব একট চাঙ্গা হইলে, তাঁহার পরিচয় পাওয়া গেল। তিনি কেল্লায় থাকেন, মেজর গ্রীণের পত্নী। শিশু দুইটি তাঁহার নিজস্ব নহে-কৰ্ণেল হ্যামিলটনের সন্তান— তিনি তাহাদিগকে লইয়া হাওয়া খাইতে বাহির হইয়াছিলেন। ইতিমধ্যে সহিসটা খোঁড়াইতে খোঁড়াইতে আসিয়া পৌছিয়াছিল। গাড়ী-ঘোড়া তাহার ' জিন্মায় রাখিয়া, সাহেবেৰা বিবি গ্রীণ ও শিশবেয়কে রাস্তার উপর লইয়া আসিয়া একটা ঠিকাগাড়ী ডাকিয়া দিলেন। বিবি, সাহেবদিগকে ও মহেন্দুকে মধরে ভাষায় ধন্যবাদ দিয়া গাড়ীতে উঠিলেন। মহেন্দুকে বলিলেন, “বাব, তুমি আমায় কেল্লায় পৌছাইয়া দিবে চল।” মহেন্দ্র কোচবাক্সে উঠিতে যাইতেছিল, বিবি বলিলেন, “না না—তুমি ভিতরে আসিয়া বস।” মহেন্দ্র তাহাই করিল, গাড়ী কেল্লা অভিমুখে ছটিল। বাড়ী পেপছিয়া, বিবি গ্রীণ মহেন্দুকে ড্রয়িংরমে বসাইয়া বলিলেন, “ আমার স্বামীকে छाीकशा ठानि ।” কিয়ৎক্ষণ পরে এক পৃথলিকাষ বষণীয়ান সাহেবকে সঙ্গে লইয়া বিবি ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, “জন, এই বাব আমার জীবনদাতা।” মহেন্দ্রের দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “ইনি আমার স্বামী, মেজর গ্রীণ।" ই-হারা প্রবেশ করিতেই মহেন্দ্র দাঁড়াইয়া উঠিয়াছিল। মেজর সাহেবকে সেলাম করিল। সাহেব মহেন্দুের করমদন করিরা তাহাকে অনেক ধন্যবাদ জানাইলেন। এক সোফার উপর নিজ পাশেব" বসাইয়া, তাহার নাম ধাম পবিচয় জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন, মহেন্দু উত্তর দিতে লাগিল। সাহেব বলিলেন, “বাঃ, তুমি ত বেশ ইংরাজী বল, বাবা! তুমি একজন সুশিক্ষিত লোক।” হেহারার মুখে সংবাদ পাইয়া, কর্ণেল হ্যামিলটনও এই সময় আসিয়া পড়িলেন, এবং &s