পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○OW。 গলপ-গ্রন্থাবলী ঐ সব সমালোচনা থেকেই পাওয়া যাচ্ছে।” 魏 "সব সমালোচনাই বোধ হয় তোমার ঐ ভক্তিমান ছাত্র পশ্চাননেরই লেখা। সব কাগজেই ও কবিতা লেখে—কাগজওয়ালাদের সঙ্গে খাতির অাছে,—সে যা সমালোচনা লিখে দিয়েছে তাই বোধ হয় তারা ছেপেছে।” যদিও পঞ্চানন পণ্টতঃ এ কথা স্বীকার করে নাই—তথাপি অবিনাশবাবরেও মনে মনে সন্দেহ ছিল যে, সমালোচনাগুলি তাহার কর্তৃক—অন্ততঃ তাহারই ইঙ্গিতে লিখিত। সতরাং এ কথার জবাব না দিয়া তিনি বলিলেন, “কিন্তু, যেদিন নাটক পড়া হল, ইউনিভাসিটির অতগুলো দিগগজ প্রোফেসার, তাঁরা কি বলেছিলেন তোমার মনে নেই ? —তুমি কি বলতে চাও, তাঁদের সে প্রশংসা আন্তরিক নয়, কপটতা-পাণ ?” সষমা বলিল, “তাঁদের প্রশংসা যে কপটতা-পাণ সে কথা আমি বলতে চাইনে। সত্যিই তাঁদের ভাল লেগে থাকবে—তাঁরা যা বলেছেন, সে তাঁদের আন্তরিক কথাই সন্দেহ নেই। কিন্তু সকল দিক বিবেচনা করে দেখ। তাঁরা সকলেই তোমার বন্ধ, তোমায় স্নেহ করেন, ভালবাসেন। বাঙ্গলা দেশে সন্ত্রীশিক্ষার এই অকথার দিনে, তাঁদের এক প্রিয়বন্ধর স্ত্রী বই লিখেছে এই সংবাদেই তাঁরা খসেী। তুমি আদর করে বই শুনতে তাঁদের নিমন্ত্রণ করেছ—তাঁরা ত বই ভাল লাগবার জন্যে প্রস্তুত হয়েই এসেছেন। তা ছাড়া, আগে থেকেই বইয়ের প্রশংসা করে তুমি তাঁদের মনও ভিজিয়ে রেখে দিয়েছিলে। তাঁরা জিনিষটাকে দেখেছেন স্নেহের বন্ধনপ্রীতির রঙ্গীন চশমার ভিতর দিয়ে, সতরাং ঠিক দেখেন নি।” সত্রীর এই বক্ততা শনিয়া অবিনাশবাব কিয়ৎক্ষণ নিরক্তের হইয়া রহিলেন। তারপর বলিলেন, “সে যা হোক, আমি কি স্থির করেছি জান ? যমিন দেশে যদাচারঃ । এ যরোপ নয়—ঘরে বসে থেকে গণী তার ন্যায্য প্রাপ্য পায় না। চেন্টা-চরিত্র করে গণীকে তার প্রাপ্য আদায় ক’রে নিতে হয়। পঞ্চাননের সঙ্গে ডায়মণ্ড থিয়েটারের ম্যানেজারের আলাপ আছে। তাকে সঙ্গে নিয়ে আমি একদিন যাই, গিয়ে বই একখানা দিয়ে আসি । छूभि कि दल ?" সষমা একটা ভাবিয়া দীঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “তুমি যা ভাল বোঝ, কর । আমি আর কি বলবো ?” M 瓦T丽 ü আরও ছয় মাস কাটিল। নাটকখানি পঞ্চাননের ওকালতী সত্ত্বেও “ডায়মণ্ড" থিয়েটার ফেরৎ দিয়াছে। তারপর “অ্যাভিনিউ” থিয়েটার, তারপর “বীণাপাণি” থিয়েটারে চেন্টা করা হইয়াছিল, ফল পাববৎ। পাণ্ডুলিপিখানি এখন "লীলা থিয়েটারের হতে— তাঁহারা কি করেন বলা যায় না। “প্রেমের ইন্দ্রজাল”খানি সষমা বাসতবিক প্রাণ দিয়া লিখিয়াছিল। মুখে সে ইহাকে রাবিশ বলকে আর যাহাই বলক, অন্তরের অন্তসতলে তাহার বিশ্বাস যে নাটকখানি উচ্চদরের হইয়াছে। তাই বহি বিক্ৰয়ের হিসাব দেখিয়া এবং উপযর্ন্যপাঁর তিনটি থিয়েটার হইতে নাটকখানি ফেরৎ আসায় সে বড়ই বকভাঙ্গা হইয়া পড়িয়াছে। ভাদ্র মাসে একদিন ভিজাকাপড়ে ঘণ্টাখানেক গহ-কাৰ্য্য করায় সষেমার জবর হইয়া পড়িল। তিন চারি দিন জরভোগের পর উহা ছাড়িল বটে, কিন্তু পরদিন আবার প্রবলতর বেগে দেখা দিল। সারা ভাদ্র মাস এইরুপ চলিল। ইহাতে সষমার দেহ বলিতে গেলে কঙ্কালসার হইয়া পড়িল। - অবিনাশবাব যে কয় ঘণ্টা কলেজে থাকেন, তা ছাড়া সমস্তক্ষণ রনো পত্নীর শয্যা