পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भद्रष-बा చ్ఛిలి করিয়া, কমলাকে শিখাইয়া পড়াইয়া সেদিন শিবপর বাগানে বসাইয়া অন্তরালে অবস্থান করিতেছিলেন। আরও এক সপ্তাহ নিৰ্ম্মফলে কাটিয়া গেলে কুলদার মাতা বলিলেন, “কমলার বাপের কোনও খোঁজ যখন পাওয়াই গেল না, কি আর করা যাবে ? হাজার হোক ব্রাহ্মণের মেয়ে ত, ফেলতে ত পারবো না, এখানেই ও থাকুক। আমার তো মেয়ে নেই, ওর বারাই আমার মেয়ের অভাব পণ হবে। পরে তখন একটি পার দেখে-শনে ওর বিয়ে দিয়ে দিলেই হবে।” কন্যা-মহাবিদ্যালয়ে কমল৷ হিন্দী ও সংস্কৃত ভালই শিখিয়াছিল। বিদ্যালয়ে সংস্কৃত নাটকাভিনয়ে সে একটি মেডেল পৰ্য্যন্ত পাইয়াছিল। কিন্তু বাংগালা সে ভালরাপ শিখিবার সুযোগ কখনও পায় নাই। জননীর অনুরোধে কুলদা তাহাকে বাঙ্গলা পড়াইতে প্রবত্ত হইল। অন্য দিন আপিস থাকায় বেশী সময় কমলাকে সে দিতে পারে না, বেশীক্ষণ পড়াইয়া পেষাইয়া লয়। শিবপুরের বাগানে যাওয়া সে ছাড়িয় ETE শিক্ষক ও ছাত্রীর মধ্যে যথেস্ট অন্তরঙ্গতাও পথাপিত হইয়াছে বেশ দেখা গেল। আপিস হইতে বাড়ী ফিরিয়া ছাত্রীকে না দেখিলে, কুলদার পিপাসিত-চক্ষ চারিদিকে তাহাকে খুজিয়া বেড়ায়। আর, কমলার রান্না পাঞ্জাবী ব্যঞ্জনগুলি তাহার মখে লাগে যেন অমত ! মাসখানেক পরে কুলদার জননী একদিন কথায় কথায় তাহাকে বলিলেন, "উনি কমলার একটি সবন্ধ সিথর করছেন। বরের বয়স কিছু বেশী হয়েছে—তৃতীয় পক্ষে বিয়ে করবে, টাকাকড়ি বিশেষ কিছয় লাগবে না।”—বলা বাহুল্য ইহা সম্পণে কাল্পনিক। এই কাল্পনিক সংবাদ শ্রবণমাত্র কূলদার বকের ভিতরটা যেন মোচড় দিয়া উঠিল। চোখে জল আসিল । জননীকে জানাইল, অমন সন্দেরী ভাল মেয়েকে ওরকম পাত্রের হাতে কিছুতেই দেওয়া যাইতে পারে না। তার চেয়ে না-হয় অগত্যা নিজেই সে উহাকে বিবাহ করিবে । উত্তম কথা। দিনসিথর হইল । বিবাহের মাত্র তিন দিন পবে কমলার পিতারও সন্ধান পাওয়া গেল। কুলদা ভাবিল, আশ্চৰ্য্য কথা ! তিনি এই ভবানীপুরেই বাস করিতেছিলেন । এবং এ বাড়ী হইতে অধিক দরেও নহে। জলন্ধর হইতে তাঁহার স্ত্রীও নাকি আসিয়াছেন। কমলাকে সারদাবাব সবগহে লইয়া গেলেন। যথা দিনে শুভ-বিবাহ সম্পন্ন হইল। কুলদা এখন আর আতপন্ন খায় না সিদ্ধ চাউলই খাইতেছে, মাছ মাংসও ধরিয়াছে এবং দইবেলাই উত্তমরাপে ভোজন করে। শিবপুরেব বাগানে যাওয়া এবং "পদ্য” লেখা ত পাবেই বন্ধ হইয়াছিল। - দধ-মা በ moቑ ክ সারকুলার রোডের উপর বৃহৎ বাগানওয়ালা ঐ যে নীলবণের দ্বিতল গহখানি, উহা ডাক্তার ডি. ভাঁদড়ীর বাসভবন, ফটকের পাবে উজল পিত্তল-ফলকে কালির অক্ষরে সে কথা লেখাই আছে। বিলাতী পরীক্ষায় তিনি ইংরেজি বর্ণমালার কি কি অক্ষর উপাধি পাইয়াছিলেন, তাহার ফিরিঙ্গিতসহ ইহাও প্রকাশ যে, তিনি মিলেটা মেডিক্যাল