পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टअग्न-कर्णाश्नौ - రిలిషి বলিলেন—“মহাশয়, আমি গত রজনীতে অনেক চিন্তা করিয়া স্থির করিয়াছি, আপনার নিকট আপনার কন্যার হস্ত প্রাথনা করিব। আমার যেরপে মানসিক অবস্থা, তাহাতে আপনার কন্যাকে লাভ করিতে না পারিলে আমার জীবনে সুখ নাই। আপনি মৃত্যুশঙ্কার কথা বলিয়াছিলেন, আমি ভাবিয়া দেখিলাম, সাখহীন জীবনভার বহন করা অপেক্ষা মৃত্যুই শ্রেয়স্কর।” - এ কথা শুনিয়া বন্ধ বলিলেন—“বৎস ও কথা বলিও না। জীবন অপেক্ষা প্রিয়তর পথিবীতে আর কিছুই নাই। এই আশঙ্কাটি যদি না থাকত, আমি এখনি তোমাকে আপন কন্যা সমপণ করিয়া কৃতাৰ্থ হইতাম। কিন্তু জানিয়া শুনিয়া কেমন করিয়া আমি তোমার মৃত্যুর কারণ হইব।" - রাজপত্র অনেক অননয় বিনয় করিলেন, কিন্তু বন্ধ কিছুতেই সম্মত হইলেন না। এইরপে এক মাস কাটিয়া গেল। রাজপত্র প্রত্যহই নানা উপহার দ্রব্যাদি লইয়া ফকীরের আলয়ে আসিতেন। এবং দিবসের অধিকাংশ ভাগ সেই পথানেই অতিবাহিত করিতেন। প্রত্যহই অনেক প্রকারে বন্ধকে বুঝাইতেন কিন্তু কিছুতেই বন্ধের মত করিতে পারলেন না । বন্ধ কেবলই বলিতেন, তোমাকে কন্যাদান করিয়া, তোমার বধের ভাগী অমি হইতে পারিব না। এক মাস পরে হঠাৎ এক দিন বন্ধ পীড়িত হইয়া পড়িলেন। রাজকুমার ও মবোরক সব্বদা উপস্থিত থাকিয়া তাঁহার সেবা শশ্রষা করিতে লাগিলেন, ঔষধাদি আনিয়া বদ্ধকে সেবন করাইতে লাগিলেন। রাজকুমার নিজ হতে রোগীর পথ্য প্রস্তুত করিয়া বন্ধকে খাওয়াইতেন। ফল কথা, বন্ধের সেবা শশ্রষার কোনও ক্রটি হইল না। কিন্তু বন্ধ কিছতেই বাঁচিলেন না। তাঁহার মৃত্যুর পরে মুসলমান-ধৰ্ম্মম অনুসারে সমস্ত ক্লিয়াকম শাহজাদা সম্পন্ন করিলেন। সব্বদা কন্যার নিকটে থাকিয়া তাহাকে প্রবোধ দিতেন। এইরপে আরও মাসখানেক কাটিল। - মবোরক এক দিন জনাতিকে রাজকুমারকে বলিল—“আর এখানে ব্যথা সময় নস্ট করিয়া ফল কি ? চল এবার ফকীরকন্যাকে লইয়া মালেক সাদেকের নিকট সমপণ করি।” রাজপত্রে ইহা শনিয়া মৌন হইয়া রহিলেন। অন্তরের বাসনা বড়ই প্রবল, অথচ মৃত্যুভয়ও কাটাইয়া উঠিতে পারেন না। মবোরক সে দিন ফকীরকন্যাকে বলিল—“বেটী, আমরা বিদেশী লোক, এখন ত আমাদের বাড়ী যাইতে হইবে। তুমি কি করিবে মনে করিয়াছ ?” 峨 ফকীরকন্যা বলিল—“মহাশয়, আমার আর এখানে কে আছে ? আমি একা সন্ত্রীলোক এখানে থাকিবই বা কি করিয়া ? আমার কি উপায় হইবে ?” মবারক বলিল—“এখানে একা থাকা যদি তোমার অনভিপ্রেত হয়, তবে আমাদের সঙ্গে আমাদের দেশে চল। তাহার পর কোন একটা বন্দোবস্ত করা যাইবে।” ফকীরকন্যা সম্মত হইল। মবোরক পালকী ও বাহক সংগ্ৰহ করিয়া, ফকীরকন্যা ও রাজপত্রকে লইয়া, মালেক সাদেকের রাজ্য-অভিমুখে যাত্রা করিল। বহুদিনের পথ। নানা বন, উপবন, পৰবত ও নদী অতিক্ৰম করিয়া ইহারা যাইতে লাগিলেন। মাঝে মাঝে কোনও সন্দের স্থান প্রাপ্ত হইলে দুই এক দিন সেখানে থাকিয়া বিশ্রাম করিতেন। কুমারীর নিয়ত সাহচয্যে রাজপত্রের মনে প্রণয়-বহ্নি প্রতিদিন বন্ধি পাইতে লাগিল। দুইজনে বিশ্রাম পথান হইতে অনেক দর অবধি বেড়াইতে যাইতেন। কোথাও একটি সন্দের বনপাপ দেখিলে, রাজপত্র তাহা যত্নে তুলিয়া ফকীরকন্যার কেশদামে পরাইয়া দিতেন। এইরুপে কয়েক মাস কাটিল। কিন্তু মালোক সাদেকের ভয়ে শাহজাদা কোনও দিন ফকীরকন্যার নিকট বাঁয় প্রণয় ব্যক্ত করিতে সাহসী হইতেন না। একদিন মবোরক নিজনে রাজপত্রকে অনেক ভৎসনা করিল। ই হার মনোভাব