পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*○○○ গল্প-গ্রন্থাবলী দুঃখী হয়, তাহা হইলে আর ভাবনা কি ? তুমি যখন আসিবে তখন ইহাকে বলিতাম, সন্ধ্যা হইতে রাত্রি দশটা পৰ্য্যন্ত শীঘ্র শীঘ্র বাড়াইরা দে, তারপর আ-তে অী-তে আ-তে চলিবি। দশটা হইতে এগারোটা আর বাজে না । এগারোটা বাজিল ভ বারোটা বাজিতে চাহে না! চারিটা বাজিয়া গিয়াছে তব আর রাত্রি পোহায় না ! সময় চরি করিতে তাহাকে বলি না। দিনের বেলায় খুব শীঘ্র শীঘ্ৰ চলিলেই ত হইল। চব্বিশ ঘণ্টায় দিনমান ত ? সকাল ছয়টা হইতে রাগ্নি দশটা অবধি এই ষোল ঘণ্টা, চারি পাঁচ ঘণ্টায় চলিয়া সমস্ত রাত্রে বাকি সময়টা পোষাইয়া লণ্ড না বাপ ! আর এখন ? এখন বলি, তোর কাঁটাগুলো বোঁ বোঁ করিয়া ঘরাইয়া ২৫শে আশিবনের সন্ধ্যা আনিয়া দে। তা সে শুনিবে না—সেই টক-টক-টক-টক-গা জনলে যায়! একটু জোরে চল না মুখপোড়া! খেতে পাও না ? তুমি যে কেবলা চাকরের বাপ হলে ! তুই তোকারি করিলে, গালি দিলে না শন, তুমি বলিব, আপনি বলিয়া কথা কহিব। হাতযোড় করিয়া, গলবস্ত্র হইয়া, ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিতে প্রস্তুত আছি—স্তব করিতেও আপত্তি নাই ! রবিবারে রবিবারে দম পায়, প্রত্যহ স্বহস্তে দুই বেলা দম দিব স্বীকার করিতেছি। এতেও সে শুনে না। কাঁটা দুটা ভাগিয়া ডায়েলে কালি ঢালিয়া দিলে তবে রাগ যায়। এইরুপ নানা কথা ভাবিতে ভাবিতে চিঠি পড়িতে লাগিলাম। ক্লমে সকাল হইয়া গেল। তখন সব তুলিয়া রাখিয়া উঠিতে হইল। মনে হইতে লাগিল, আজ আমার চিঠি আসিবেই, কেহই রোধ করিতে পারবে না। কতবার ভাবিলাম হে ঠাকুর, যদি সবগুন দিলে, তবে আজ আমার একখানি চিঠি আনাইয়া দাও ; অনেক কন্টে বেলা দশটা অবধি কাটিল। সাড়ে দশটার মধ্যে চিঠি তা আমি তখন রান্নাঘরে ; উৎকণ্ঠায় ডালে তিনবার নাণ দিয়া ফেলিয়াছি, মাছগুলো ভাজিতে গিয়া এক পিঠ পোড়াইয়া কালো করিয়া দিয়াছি, আনমনে জলের ঘটিটা ফেলিযা দিয়া ঘরের মেঝেতে আথার পাথার খেলাইয়াছি। মা আসিয়া আমাকে ছাড়িয়া দিয়া বকুনি ধরিলেন। আমি ছটিয়া পথের ধারের জানালায় গিয়া বসিলাম –বকুনি শনিবার আমার অবসর কোথায় ? চিকের আড়াল হইতে দেখিতে লাগিলাম। কত লোকজন, গাড়ি, ঘোড়া, খাবারওয়ালা, জ.তো সেলাই বর্ষ, কনেন্টবল, ভিখারী, স্কুলের ছেলে, আপিসের বাব যাইতেছে, আসিতেছে কিন্তু ডাকওয়ালার দেখা নাই। রাস্তার যতদরে পযর্ণলত দটি চলে, একদণ্টে চাহিয়া রহিলাম। কিছুক্ষণ পরে একট লাল পাগড়ী দেখা গেল। বলিহারি, ইংরেজের কি বন্ধি রে! ডাকওয়ালার মাথায় লাল পাগড়ী কেন ? না অনেক দরে হইতে অনেক লোকের মাঝে সে আসিতেছে দেখা যাইবে বলিয়া। ক্ৰমে সে নিকটে আসিল, হায় । হায়! ডাকওয়ালা নহে চাপরাশি ! চলোয় যাউক ! ইংরাজ, যদি এত বন্ধি ধর,— তবে ডাকওয়ালা ছাড়া অন্য কাহাকেও লাল পাগড়ী পরিতে দাও কেন ? অইন করিয়া ইহা দমন করা উচিত। ব্যবস্থাপক সভার মাননীয় সভ্যগণ এ বিষয়ে প্রশন করেন না কেন ? তাঁহাদের কি সত্ৰী নাই ? তাঁহারা কি এমনি করিয়া প্রবাসী স্বামীর পত্রের প্রতীক্ষায় জানালায় বসিয়া থাকিয়া কখনও আমার মত নিন্দয় ভাবে প্রতারিত হন নাই ? যাহা হউক ক্ৰমে ডাকওয়ালা আসিল। দরজায় চাকরের হস্তে চিটাঠি এই শব্দ করিয়া চিঠিগুলি দিয়া গেল। আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করিয়া অপেক্ষা করিতে লাগিলাম। দই তিন মিনিটের পর ঝি আসিয়া আমার হাতে লেফাফা দিল, গোলাপী রঙ্গের সমচতুকোণ খামখানি, তাহার উপরে তোমার হাতের গোটা গোটা অক্ষরে লেখা—শ্ৰীমতী সরবালা দেবী। छिछाना कब्रिग्नाइ, उप्राधान्न ऊना कि आनिळउ श्ईटव ? आभाद्र छना अर्पन्न कि आनिरब ভাই ? আমাদের আর এখন সখ করিবার বয়স আছে ? খোকাবাবরে জন্য ভাল করিয়া পোষাক লইয়া আসিও, আর যাহা যাহা ভাল দেখ তাহাই আনিও। আর অধিনীর