পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গলে বেগমের আশ্চৰ্য গল্প రిశ్రిత DDD BBB D BD BBB BBB BB BDDDD DDDDDD BBB BB DDD DDD BBDDD DBBB S BBBBD DD DD BBB DBBDSBD LL D DYS কত কত বাদশাজাদা, তোমার সহিত বিবাহাৰ্থ আগমন করিল তুমি এক প্রশ্নের ছলে তাহাদের সকলকেই হত্যা করিলে। এখনও বলিতেছি, এই ভীষণ পণ পরিত্যাগ কর । এই দেখ খাদির দেশেব বাদশাজদা তহমাশ বহুবিধ রত্নাদি উপহার লইয়া তোমার হশত কামনার সমাগত। প্রশেনর পণ পরিত্যাগ করিয়া ইহাকে পতিত্বে বরণ কর। তাহা বাঁদ না কর, সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া লক্ষ মনুষ্য বধ কবিলেও কেহ তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হইবে না। তোমাকে আজন্ম কুমারীই থাকিযা যাইতে হইবে।” এ কথা শুনিয়া মেহেরগেজ কাঁহল—“পিতঃ, আমি একবার যাহা প্রতিজ্ঞা করিয়াছি, কখনই তাহা হইতে বিচ্যুত হহব না। আমার ভাগ্যে যদি আজন্ম পতিলাভ না হয় সেও ভাল, তথাপি বিনা প্রশেনাত্তর-দানে কাহাকেও বিবাহ করতে স্বীকৃত হইব না।” তখন মেহেরগেজ রাজকুমারের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন,—“গল বা সনোবর চে কন্দ ?” অর্থাৎ গল সনোবরের সহিত কি করিয়ছিল ? রাজকুমারের মুখে বাহা আসিল তাহাই বলিযা উত্তর দিলেন। মেহেরগেজ বলিল—“হইল না।” বলিয়া জল্লাদকে হুকুম দিল—“অবিলম্বে ইহাব শিরচ্ছেদ করিয়া মণ্ড দগাবারে টাঙ্গাইয়া দাও।” আজ্ঞাময় জল্লাদ লাজকুমারকে বধ্যভূমিতে লইয়া গিয়া তাঁহার শিরচ্ছেদ করিল। এই সংবাদ শ্রবণ করিয়া বাদশাহ শ্যামশাদলালপোষ কৃষ্ণবর্ণ বসন পরিধান করিয়া চল্লিশ দিন অবধি পত্ৰশোকে মহোমান বহিলেন। পরে তাঁহার দ্বিতীয় পত্র কহমাশও জেষ্ঠ ভ্রাতার পদানসেরণ করিয়৷ মেহেরগেজের হস্তে প্রাণ দিল। পরে পরে আরও চারিপত্র এই প্রকারে প্রাণ দিলেন। কেবল সব্ব কনিষ্ঠ পত্র অলমাশ রহেবক্স তখনও পিতামাতার শোক-দগধ হৃদয়ে সান্ত্বনা দিতে বাকী রহিলেন । कृङौब्र नौब्रटन्हण বাদশাজাদা অলমাশ অত্যন্ত বাখমান ও সাহসী ছিলেন। তিনি সমস্ত বিদ্যায় নিপুণ এবং চৌষট্টি কলায় সুদক্ষ ছিলেন। একদিন তিনি দেখিলেন যে, তাঁহার পিতা রত্নজড়িত সিংহাসনে বসিয়া পল্লশোকে নেত্রনীর বিসর্জন করিতেছেন। অলমাশ পিতার এই দশা দেখিয়া তাঁহার নিকটে গিয়া সেলাম করিয়া বলিলেনঃ“পিতঃ, বাদশাহ কৈমশের কন্যা আমার ছষটি ভ্রাতাকে হত্যা কবিযাছে, আমার অভিলাষ যে আমি গিয়া সেই পাপীয়সীর উপর প্রতিশোধ লই। তাহাব প্রশ্নের উত্তর দিয়া, তাহাকে নিজ পত্নী করিয়া, যথোপযুক্ত দণ্ড তাহাকে প্রদান করি।” ইহা শনিয়া বাদশাহ কহিলেন—“বৎস, একে একে আমার ছয়টি পত্র কালকবলে পতিত হইয়াছে, এখন, একমাত্র তুমি অবশিষ্ট আছ। তুমিই আমার বন্ধদশার ভরসাপথল, তোমার স্বারাই আমার পৈত্রিক রাজ্য বজায় থাকিবে। তুমিও কি জানিলা শুনিয়া সেই পাপীয়সীর হতে প্রাণ দিতে উদ্যত হইয়াছ ?” অলমাশ রাহ কহিলেন—“পিতঃ, যদি ভ্ৰাতৃহত্যার প্রতিশোধ না লইতে পারি, তলে এ জীবনে ফল কি ? তাহা হইলে আমার রাজ্যসখও ব্যথা, আমার পর ষার্থও ব্যথা ।” ফলতঃ পিতাকে অনেক প্রকারে বঝোইয়া অলমাশ রমেদেশের অভিমুখে যাত্রা করিলেন। অলমাশ কোনও সৈন্যসামন্ত বা বন্ধবোন্ধব সঙ্গে লইলেন না। একাকীই যাত্রা করিলেন। কয়েক দিবসাত্তর কৈমশে শাহের রাজধানীতে পেপছিয়া, দগ"বারে নিজ ছয় ভ্রাতার মণ্ডে বিলম্বিত দেখিয়া অনেক বিলাপ করিতে লাগিলেন। যাহা কিক্ষ দ্রষ্টব্য, বাহা কিছু জ্ঞাতব্য, সমস্ত দেখিয়া ও জানিয়া লইলেন, কিন্তু যাহা বিশেষ করিয়া জানিবার জন্য ব্যগ্র ছিলেন—অথাৎ প্রশেনর উত্তর-তাহার কোনও সন্ধান পাইলেন না।