も* গলপ-গ্রন্থাবলী সংগ্রহ করিয়া আনিয়াছি। অামাকে বাদশাজাদী সমীপে পঠাইতে আজ্ঞা করন।" বাদশাহ তখন রাজকুমারকে মেহেরপোজের নিকট পঠাইয়া দিলেন। রাজকুমার মেহেরগেজের মহালে প্রবেশ করিলেন। তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ জল্পাদও আসিয়া দণ্ডায়মান হইল। জল্লাদ এক টকরা ইণ্টক লইয়া তরবারিতে শান দিতে লাগিল। कि রাজকুমার মেহেরঙ্গেজের নিকট উপস্থিত হইয়া, কহিলেন—“বাদশাজাদি, তোমার প্রশন
- ק
বাদশাজাদী কহিলেন—“গল বা সনোবর চে কন্দ ?” ভ্রাতৃহন্ত্রীকে দেখিয়া রাজকুমারের দুই চক্ষ দিয়া ক্ৰোধে অগ্নিস্ফলিঙ্গ নিগত হইতে লাগিল। তিনি বলিলেন—“গল সনোবরের সঙ্গে যাহা করিয়াছিল তাহার জন্য সে উত্তমরপে প্রতিফলও পাইয়াছে। আর তোমার কৃত দক্তেব জন্য তোমাকেও সেইরূপ প্রতিফল পাইতে হইবে।” ইহা শনিয়া মেহেরঙ্গেজের মন ভয়ে আকুল হইয়া উঠিল। তথাপি সে বলিল— : বাল লি না। যদি তুমি আদ্যন্ত সমস্ত বক্তাত বলিতে পার, তবেই নব ।” রাজকুমার বলিলেন—“যদি গল ও সনোবরের কাহিনী শনিবার তোমার এতই ইচ্ছা, তবে তোমার পিতাকে পাত্রমিত্র সহ এইখানে আসিয়া সভা করিতে আহবান কর, আমি সে কাহিনী সভাসমক্ষে বলিব৷” মেহেরগেজ সম্মত হইলেন। রাজকুমারকে বৈকালে আসিতে বলিয়া দিলেন। বৈকালে রাজকুমার গিয়া দেখলেন, বাদশাহ পাত্রমিত্র এবং প্রধান নাগরিকগণ লইয়া সভা করিয়া বসিয়াছেন। বাদশাজাদি ও বেগমও দইখানি সিংহাসনে বসিয়া আছেন। রাজকুমার তখন বলিলেন—“বাদশাজাদি, যাহার কাছে তুমি এ বত্তোন্ত শুনিয়াছ সে মনুষ্যকে সভায় উপস্থিত কর। কারণ আমার কথা সত্য কি মিথ্যা জিজ্ঞাসা করিবার জন্য একজন দক্ষ লোক এখানে উপস্থিত থাকা আবশ্যক।” রাজকুমারী তখন বলিল—“আমি কোনও বিদেশীর নিকট একথা শুনিয়াছিলাম। এখন কোথা হইতে তাহাকে উপস্থিত করিব ?” রাজকুমার কহিলেন—“আচ্ছা, আমিই না হয় একজন দক্ষ লোক এখানে উপস্থিত করিতেছি।” এই বলিয়া বাদশাজাদীর সিংহাসনের নিকট গিয়া পদ উঠাইয়া, চলের মুঠি ধরিয়া এক প্রকাণ্ডকায় হাবসীকে টানিষা বাহির করিলেন। সভাপথ লোক ইহা দেখিয়া আশচয্যান্বিত হইয়া গেল। বাদশাজাদী লজায় অধোবদন হইয়া বসিয়া রহিল। বাদশাহ ও বেগমও লজায় বাকশক্তিবিহীন হইয়া বসিয়া রহিলেন। তখনও মেহেরতেগজ আশা ছাডে নাই। তখনও বলিতেছে—“বল বল গলে সনোবরের সহিত কি করিয়াছিল ?”—বাদশাজাদী ভাবিতেছিল, যদি না বলিতে পারে, তবে এখনই ইহাকে কাটিয়া লজ্জা ও অপমানের প্রতিশোধ লইব । তখন রাজকুমার গলে ও সনোবরের আমলে বক্তান্ত সভা মধ্যে বর্ণনা করিলেন। প্রত্যেক কথায় হাবসীকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন—“কেমন, একথা সত্য কি না ?” হাবসী বলিতে লাগিল—“সত্য।” সভাপথ সকলে এ আখ্যান শ্রবণ করিয়া রাজকুমারের বৃদ্ধি ও সাহসের বিস্তর প্রশংসা করিতে লাগিল। বাদশাহ বহুসংখ্যক রত্ন-মাণিক্য সহ সভাস্থলেই অলমাশকে মেহেরগেজ সমপণ করলেন। শুভদিনে বিবাহ হইয়া গেল। কিন্তু রাজকুমার তাহার সহিত বিবাহযোগ্য ব্যবহার করিতে বিরত রাহলেন। কয়েকদিন রামদেশের রাজধানীতে থাকিয়া, জীমলাবান এবং মেহেরগেজ সহ নিজ রাজ্যে প্রত্যাবত্তন করিলেন। সিংহাসনতলন্থ সেই হাবসাঁকেও বাঁধিয়া আনিলেন।