পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাসের বিবাহ ఱ్ససి সিপাহীদিগকে বলিলেন—”তোমরা যদি আমায় ছাড়িয়া না দাও, এই ছোরা আমি নিজের ৰকে মারিব। ব্ৰহ্মরক্তপাতে তোমাদের রাজ্য ছারখার হইয়া যাইবে।”—তখন ভয়ে সিপাহীরা श्रृंध शक्लिग्ना मिठ । রমণী তখন প্রকাশ্য রাজপথ দিয়া ধীরে ধীরে নদীতীরাভিমুখে অগ্রসর হইলেম। সেখানে পেপছিয়া তিনি আত্মীয় বন্ধগণের আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। ক্ৰমে সকলে আসিয়া পেশছিল। চিতা রচিত হইল। স্বামীর একটি অন্নগঠিত মত্তি প্রস্তুত করিয়া, সেটি চিতায় স্থাপন করিয়া, রমণী নানাদি ক্লিয়া সমাপন করিলেন। তাহার পর অবিকম্পিত পদে, চিতায় উঠিয়া অন্নমত্তি-স্বামীর পদতলে উপবেশন করিলেন। তাহার পর, চিতা জবলিয়া উঠিল। আশচয্যের বিষয় এই যে, এই ঘটনার তিন সপ্তাহ পরে, পীলোকটির স্বামীর মৃত্যুসংবাদ আসিল, লোকে হিসাব করিয়া দেখিল, ব্রাহ্মণের মৃত্যুর সময়টি, তাঁহার সাধনী সন্ত্রীর স্বপ্নদশন-সময়ের সহিত মিলিয়া গিয়াছে। কালিদাসের বিবাহ (*थिळ्याछट्जद्ध किश्वभज्ङ" ) { বাঙ্গালা দেশে কালিদাসের বিবাহ সম্প্রবন্ধে যে গল্পটি প্রচলিত আছে তাহা সংক্ষেপে এই –গোঁড়াধিপতি মাণিকেশ্বরের রত্নাবতী নাশনী অত্যন্ত রুপবতী ও বিদুষী এক কন্যা ছিলেন। বিচারে যিনি তাঁহাকে পরাস্ত করবেন, তাঁহাকেই স্বামীত্বে বরণ করবেন, রত্নাবতী এই প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন। বড় বড় পণ্ডিতেরা বিচারে হরিয়া গিয়া ক্ৰোধে প্রতিজ্ঞা করিলেন, এক মহামখেকে আনিয়া রাজকন্যার সহিত বিবাহ দেওয়াইয়া এই অপমানের প্রতিশোধ লইবেন । তদনুসারে তাঁহারা অনুসন্ধানে বাঁহগত হইয়া, দেশভ্রমণ করিতে করিতে একস্থানে দেখিলেন, এক ব্যক্তি গাছের ডালে বসিয়া সেই ডাল কাটিতেছে । সতরাং তাহাকেই তাঁহারা আদশ মাখ স্থির করিয়া গৌড়ে লইয়া আসিলেন, এবং কৌশলে রাজকন্যাকে বিচারে পরাস্ত করাইয়া দিয়া তাঁহার সহিত বিবাহ দেওয়াইলেন। এই বরই ভবিষ্যতের কবি-বর কালিদাস। ফলশয্যার রাত্রেই রাজকন্যা ববিতে পারিলেন তাঁহার বরটি কত বড় মাখ-ক্ৰোধে তাঁহাকে পদাঘাত করিলেন। অপমানিত কালিদাস তথা হইতে প্রস্থান করিয়া, অরণ্যমধ্যে মায়াবেশধারিণী দেবী সরস্বতীর দশন পাইলেন এবং তাঁহাকে অচ্চনা করিয়া, অসামান্য কবিত্বশক্তির অধিকারী হইলেন। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলে প্রচলিত কিংবাদত ভিন্ন রপ; নিনে আমরা গলপাকারে তাহা প্রকাশ করিলাম । পরোকালে বঙ্গদেশে সত্যবান নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁহার একটি কন্যা জমিয়াছিল, তাহার নাম চম্পক-কলিকা। মেয়েটি বড়ই সন্দেরী—তাঁহার রঙটি যেন চাঁপাফলের কুড়ির মত, সেইজনাই তাহার ঐরাপ নামকরণ হয়। মা-বাপে, কখনও তাহাকে চম্পা', কখনও বা শধ্যে ‘চাঁপা বলিয়া ডাকিতেন। চাঁপা জন্মিবার কয়েক বৎসর পবে, রাজার প্রধানমন্ত্রীর একটি পত্রসন্তান জমিয়াছিল—তাহার নাম চড়ামণি। প্রধানমন্ত্রীর দাসী, চড়ামণিকে কোলে করিয়া রাজবাড়ীতে লইয়া যাইত; রাণীমা ছেলেটিকে কোলে করিতেন, সন্দেশ খাইতে দিতেন। ক্ৰমে চপা বড় হইল। তখন চড়ামণি রাজবাড়ী গিয়া চম্পকে কোলে করিত; তাহার