ዓሆ থাকপ-গ্রন্থাবলী “কবে আসবে তা কিছন শনলে ?” “হাঁ—বললেন তাঁর আসতে এখনও হস্তাখানেক দেরী অাছে।” সশীলা মনে মনে হিসাব করিল-"পরশ বিয়ে হয়ে গেছে—কুলে গেছে কালরাত্রির —আজ ফলশয্যে—থবশরেবাড়ীতে অস্টমগলা সেরে বাড়ী ফিরতে এখনও হস্তাখানেক দেরী ত আছেই বটে ।” ঘোষগহিণী বলিলেন, “কেন, তোমরা কি তাঁর কোনও চিঠিপত্র পাওনি ?” “না দিদি, গিয়ে অবধি একখানি চিঠিও লেখেনি।”—বলিয়াই সশীলা আর আত্মসম্বরণ করিতে পারিল না—ঝর ঝর করিয়া কাঁদিয়া ফেলিল । ঘোষগহিণী বলিল, “ওকি-ওকি ভাই কাঁদছ কেন ? এই ঠিক দরপর বেলায়, স্বামীর কথা কইতে কি কাঁদতে আছে ? তাতে তাঁর অমঙ্গল হবে যে "—বলিয়া তিনি নেহের হতে সুশীলার চক্ষ মছোইয়া দিলেন। সশীলা নিজ অঞ্চলেও মুখ চক্ষ মাছিয়া গ্রীবা উন্নত করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “হ্যাঁ দিদি, একটি কথা তোমায় জিজ্ঞাসা করি—তুমি সত্যি বলবে ? যদি মিথ্যে বলবে ত আমার মাথা খাবে। তোমার মা কালীর দিবি, মা মনসার দিবি, বাবা তারকনাথের দিবি, বাবা বিশবনাথের দিবি—সে নাকি আবার বিয়ে করেছে ?” এই সকল ভীষণ দিব্যগুলি শুনিয়া ঘোষগহিণীর মুখখানি অত্যন্ত গভীর ভাব ধারণ করিল। তিনি মুখখানি নত করিয়া বলিলেন, “তোমায় কে বললে এরই মধ্যে ?” “সে যেই বলকে। কথাটা সাঁত ত?” “উনি ত বললেন ভাই। কার কাছে প্রকাশ করতে আমায় মানা করেছিলেন, আমি ত কাউকে বলিনি, তবে তুমি শনলে কি করে তুমিই জান, আর ভগবান জানেন। আর কেউ দেখে এসে বলেছে বোধ হয়। এ সব কথা কি আর চাপা থাকে ? বলে ধর্মের ঢাক আপনি বেজে উঠে।” “তাই বেজেছে দিদি। আমি যখন জানতেই পেরেছি তখন আর আমার কাছে লুকিয়ে কি হবে ? যা যা তুমি শনেছ সব আমায় বল।” - ঘোষগহিণী যাহা বলিলেন তাহার মন্ম এই—বিবাহ করিবার কোনও ইচ্ছাই পলিনবাবর ছিল না কেবল ঘটনাচক্ৰেই ইহা হইয়া গিয়াছে। গিয়াছিলেন একটা বিবাহের নিমন্ত্রণে-পলিনবাবও ঘোষ মহাশয়ও । কন্যার পিতা তাদশ ধনবান নহেন কিন্তু কন্যাটি খুব সুন্দরী আর লেখাপড়াও বেশ শিখিয়াছে, বয়সও একটা হইয়াছে—১৫১৬ বছরের কম হইবে না। ঘড়ি আংটি প্রভৃতি দান-সামগ্রী একট খেলো হইয়াছিল বলিয়া বরের বাপ আরও ২০o অতিরিক্ত দাবী করিয়া বসেন। এই লইয়া বরপক্ষ কন্যাপক্ষে বিবাদ ও গালাগালি হওয়াতে, বরপক্ষ বর উঠাইয়া লইয়া প্রস্থান করেন। মেয়ের জাত যায় দেখিয়া, সভাস্থ সকলের অনুরোধে পলিনবাব নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেই সেই মেয়েকে বিবাহ করিয়াছেন। এই বিবরণ শেষ করিয়া ঘোষগহিণী বলিলেন, “তা ভাই, তুমি কিছন দুঃখ কোর না; জন্ম মৃত্যু বিবাহ—এগুলো ভবিতব্যি কিনা, এতে মানুষের হাত নেই। তোমার ত ভগবান ছেলে-পিলে দিলেন না। দেখ, এইবার যদি তোমার বশরের বংশটা রক্ষা হয়—এতে দুঃখ করা তোমার উচিত নয়।” সশীলঙ্ক বলিল, “না না, তার জন্যে আমি দুঃখ করবো কেন ? আমি নিজেই ত তাকে কতদিন থেকে বলছি ওগো বিয়ে কর, বিয়ে কর—তব সে করলে না। ঘটনাচকে এবার হয়ে গেল।” बास्नी शर्गब्रज्ञा भणौला गठन भट्न छाबिट७ जाशिल–“नज्रान्ऊ आँनक्का भटङ्क, उाइँ কি ঠিক ? অত বড় কলকাতা সহরে, সে ছাড়া কি আর কোনও পাত্র খুজে পাওয়া ुल ना ?”
