নিরঞ্জন । AASAASAASAASAASAASAASAAMMSAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS তৃতীয় গভtঙ্ক উদ্যানসংলগ্ন নদীতীরস্থ পথ পুরঞ্জন ও নিরঞ্জন । নিরঞ্জন। হেরিয়ে তোমায় মম উদ্বাহ-সময়, হয়েছিল কি আনন্দে পূর্ণিত হৃদয় – কথায় কি কব— বুঝ তুমি আপনার মনে । কিন্তু হরিষে বিষাদ, বিবাহের সাধ আর মম নাহি পুরঞ্জন! - হেরি তব দিবানিশি মলিন বদন, দীর্ঘশ্বাস ঘন ঘন ; তব প্রফুল্ল নয়নে নাহি সে আনন্দ-ছবি । প্রাণ সম মাধুরী আমার । কিন্তু হেরি তোমার এ দশা, প্রেমের পিপাসা নহে আর বলবতী । যারে করি ধ্যান, ধরা মম স্বর্গ হ’তো জ্ঞান, সে ছবি বিষাদপূর্ণ আজি । বিষঃ তোমারে সখা হেরি মাধুরীর নাহি সে মাধুরী, বল ভাই, এ ভাব কি হেতু তব ? এ জীবনে প্রিয় বস্তু যা আছে আমার, সকলি অসার, - - এ দশা তোমার আর সহিতে না পারি । মনোভাব কি হেতু গোপন কর ? জান তুমি, যদি তব হয় প্রয়োজন, এ জীবন বিসর্জন দিব অনায়াসে । বল বল, কেন ত ব হেন দশা ? পুরঞ্জন । তুমি চির-মাননা আমার, ছই দেহ, তুমি আমি এক প্রাণ। । তবে কেন দীর্ঘশ্বাস প্রকাশে হতাশ ? তবে কেন সজল নয়ন, অবিশ্বাস কি হেতু আমায়, পুরঞ্জন । নিরঞ্জন । পুরঞ্জন । o دم د মনের কপাট নাহি থেtল ? যেবা প্রয়োজন, বিষাদের যে হয় কারণ, করি জীবন অর্পণ মোচন করিব তাহা । কপটত ক’রে না আমার সনে । কেন হে বিষাদপূর্ণ করিব তোমায় ? যে পীড়ার নাহিক উপায়, শুনি তব বেদন বাড়িবে, উপায় না হবে ; জানালে বাড়িবে জ্বালা না হবে নিৰ্ব্বাণ । সন্দেহ কি জন্মেছে হে বন্ধুত্বে আমার, যেই হেতু যত্নে কর হৃদয় গোপন ? পর কি হ’য়েছি এতদিনে ? খেলিতাম বালক যখন, হ’লে কোন বিষাদ-কারণ, ছুটিয়া আসিয়ে, গলা ধ’রে কহিতে আমারে ;– তবে কি হেতু এ কপটতা আজি ? ভেবেছ কি মনে, বাল্যবন্ধু তব ভুলিয়াছে পূৰ্ব্ব ভালবাসা ? বাল্যক্রীড়া, আমোদ-প্রমোদ, জীবন উৎসর্গ পরস্পরে, আজি কি হে তার ভাবাস্তর ? প্রাণাস্তরে সম্ভব তো নয় ! হেন কুটিলতা কি হেতু জন্মিল তব মনে ? দেখেছ কি কহু মম কুটিল আচার ? ' কুটিলতা করি—হেন হয় যদি মনে, তীক্ষ ছুরিকায় অস্তরের অভ্যস্তর দেখাব তোমায় ! বিচ্ছেদ-আশঙ্কা মম বাজ সম বাজে । তোমা বিনা কে আছে আমার ? হয়েছে হৃদয়ে তব প্রেমের সঞ্চার। মাধুরী তোমার করিয়াছে প্রেমে প্রতিদান । কেন প্রাণ করিবে শ্মশান
