পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>२8 গিরিশ-গ্রন্থাবল SAAAAAAAS SASAAAAASA SAAAAS AAAAAeeACS SAAAA AASAASAASAAAS SAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAMAAA AAAASASASS * -* بهw- میي*دrهw د- سیر -بیر هي تیمي- - -** AAAAASAAAAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAA eeMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAeeMAAA AAAA SMMAMA AMAAA AAAA AAAA MAeA AAAA AAA S AAAAAMeAS M AAAAS AAAAAeeAMMAMMAeMAAA SAAAAA SAAAAAS S ना' তারা আসছে, আমায় ধরবে, এবার ধরলে আর তোমার অবিশ্বাস নাই ? সরফরাজ খার অন্দরে আমি পালাতে পারবে না। বাবা, বাবা, পালাও ! উদয় । এ কি-মাধুরী ! ( শালিগ্রামকে লইয়া দুইজন প্রহরীর প্রবেশ ) প্রহরী। মহারাজ, ছিপায়কে সব সল্লা এ আদমি শুনত রাহা । উদয়। কে তুমি ? শালিগ্রাম। আমায় তো চেন, নূতন পরিচয় তে৷ নয়,-- আমি শালিগ্রাম । উদয় । শালিগ্রাম, তুমি আমায় মার্জন কর। আমি না বুঝে রোষবশতঃ তোমাদের পিতা-পুত্রকে কারাগারে দিয়েছিলেম,- অতি মূঢ়ের কার্য্য করেছি, তামায় মার্জন কর । শালিগ্রাম । মার্জনার স্থান আমার হৃদয়ে নাই । বিধৰ্ম্মী-কারাগারে বাস ক’রেছি, এক মাত্র সন্তানের যন্ত্রণ দেখেছি, আমার প্রতিহিংসা-তৃয এখনো মেটে নাই,-সেই কারাগারে তোমায় দিলে মিট তো। কিন্তু আর এক প্রতিশোধ আমি পেয়েছি, তাতেই কতকটা শান্ত আছি । উদয় । যা হবার হয়েছে, তুমি মার্জন কর । আমি অপরাধী, তোমার পায়ে ধরে স্বীকার পাচ্ছি। নবাবের দৌহিত্র উপস্থিত ছিল, তার সাম্নে তুমি আমার কন্যাকে বেখ্যা-কন্যা বলেছ। দেখ, মানুষ সব সময় বুঝতে পারে ना, বুদ্ধি স্থির থাকে না । শালিগ্রাম, আমি বড় অপরাধী । শালিগ্রাম। সরফরাজ খার সামনে তোমার কন্যাকে বেতার কন্যা ব’লেছি, এতেই তোমার বড় অপমান হ’য়েছিল । কিন্তু আজ তোমায় বলছি, আবার তোমায় বলছি,– তোমার বেশু-কন্যা আজ সরফরাজ খণর উপপত্নী ! মাধুরী। বাবা-বাবা, রক্ষা কর । এই আমায় নিয়ে গিয়েছিল, এই আমায় বলেছিল, তোমার বাপের কাছে নিয়ে যাচ্ছি, এই আমার সর্বনাশ করতে যাচ্ছিল। বাবা, বাবা—পালাও,—ও আবার আমাদের ধরিয়ে দেবে। তোমায় ফেলে দেব | শালিগ্রাম। উদয়নারায়ণ, সমস্ত শুনলে । আর তো তোমার কন্যাকে নিয়ে গেছি। বেণ্ডাকন্যা বলেছিলে বলে বড় অপমান হয়েছিল । সমস্ত জমীদার শোন,~ সরফরাজ খণর অন্দরে, রাজা উদয়নারায়ণের কন্তু গিয়েছিল। উদয়নারায়ণ, মার্জন তুমি চেয়ে না, আমি না হয়, মার্জন একবার চাই ! মার্জনাই বা চাইবে কেন ?– তুমি নবাবজাদার শ্বশুর। * \ মাধুরী। বাবা, বাবা ! একে তাড়িয়ে দাও। পালাও—পালাও, আবার আমাকে ধরবে, আবার আমা সেখানে নিয়ে যাবে। উদয়। রায় সাহেব, দেখছি তুমি নিরস্ত্র। প্রহরি দু’থান অস্ত্র দাও । ( প্রহরীর অস্ত্র প্রদান ) কোন তরবারি তুমি নেবে নাও । শালিগ্রাম । ভাল, উদারতা আছে ! তোমার বক্ষের শোণিত যদি দেখতে পাই— বড় তৃপ্ত হব ! এসো, আমি প্রস্তুত । ( উভয়ের অস্ত্র গ্রহণ ) । উদয় । সকলে সাক্ষী হও, আমি অন্যায় যুদ্ধ করবে: ( যুদ্ধ করিতে করিতে ) হ’য়েছে, ক্ষান্ত হও । শালিগ্রাম । না— না, ক্ষান্ত কেন হব ? ( পুনরায় যুদ্ধ ) উদয় । এখনো ক্ষান্ত হও । শালি গ্রাম । এখনো বল অাছে, তোমার বক্ষের রক্ত দেখতে পারি, ক্ষান্ত হব না। ভাল উদয়নারায়ণ, তোমg না ! উদয় । না- না, আর যুদ্ধে প্রয়োজন নাই । শালিগ্রাম। তোমার কন্যা— বেশু-কন্যা, তোমার কন্যা মুসলমানের উপপত্নী, তুমি হিন্দু নও, তোমার মুখে আমি নিষ্টিবন দি । : উদয় । তবে মর মুসলমানের কবর-ভূমিতে । ( শালিগ্রাম রায়ের পতন ) কে আছিস্ ?– একে ল’য়ে গিয়ে, মুসলমানের কবর স্থানে ফেলে দিয়ে আয় । - r- ( শালিগ্রামের দেহ লইয়া প্রস্থান ।