૨8ના / হারাধন । কি সৰ্ব্বনাশ হয়েছে! মাগী ব’লবেও না – কেবল ধেই ধেই করে নাচ বে। গরব। ওগে, তোমার কেউ কৰ্ত্তাকে ডেকে দাও— —তারপর – হারাধন । ওরে, এই যে আমি ? গরব। আমি অমন দমবাজীতে ভুলিনি ; যাও, কৰ্ত্তাকে ডেকে দাও !— হারাধন। আরে এই যে কৰ্ত্ত—দ্যাখ না ? গরব। আমি চোপে দেখতে পাচ্ছিনি, আমার বুকে দম ধরেছে ! ওরে, কি সৰ্ব্বনাশ হ’লোরে— হারাধন । ফ্যাল ফ্যাল ক’রে চেয়েই রইলো !— এই যে আমি—দেখ না, আমি কৰ্ত্তা—আমি কৰ্ত্তা— গরব। তুমি কৰ্ত্তা ?—দাড়াও—তোমার গোফ দেখি ঠাউরে-ওগো আমি চোখে দেখতে পাচ্ছিনে গো— হারাধন। দ্বাধন বেট-দ্যাখন – ( গোফ দেখান) গরব । কৰ্ত্তা আমাদের লম্বা লম্বা পা ফেলে পায়চারি করে,— হারাধন । এইরে বেটী—এইরে বেটী-( পায়চারি করণ ) গরব । কৰ্ত্তা আমাদের ঝাকারি মারে— হারাধন। তবে রে বেটী ন্যাকাপনা— গরব। অ্যা—তুমিই তো কৰ্ত্ত –তুমিই তো কৰ্ত্তা! —ওগো সৰ্ব্বনাশ হয়েছে গো—সৰ্ব্বনাশ হ'য়েছে ! — দিদিমণি গো— হারাধন । তোর কান্না রাখ—কি হয়েছে বল ? গরব। কেমন করে বলবে গে - কৰ্ত্তার যে এক GपGग्नহারাধন। ওরে তোরে ব্যগ্রত করি, শীগগির বল ? গরব। কৰ্ত্তা বাবু, সেই যে তুমি কত মুখনাড়া দিলে, ব'ল্পে,—“বিবাগী হবো ।” সেই শুনে দিদিমণি একেবারে ঘরে চ'লে গেলো। তার পর বাগানের দিকে গিয়ে, ফ্যাল ফ্যাল ক’রে পুকুর পানে চেয়ে চেয়ে— হারাধন । তারপর –তারপর— গরব। তাড়াতাড়ি করোনা কৰ্ত্তাবাবু, আমাকে দম্ ফেলতে দাও ! - হারাধন। তারপর-ও গরব—আর কত দম্ ফেলবি ? গিরিশ-গ্রন্থাবলী SAASAASAASAASAA AAAA AAAAMAMAMMAMMSAASAASAASAASAASAA AAAASAAAA SASAMAAA AAAASAAAA سیحیحی محیحیحه গরব। এখনো একটু ফেলবো— হারাধন। না বাছা-আর দম্ ফেলিস নি—বল বলু গরব। তারপর পুকুর পানে চেয়ে ব’লতে লাগলো, —“বাপই যদি বিবাগী হ’লো, আমার আর তবে থেকে কাজকি, মরণই ভালো ?” হারাধন । বলে জলে ঝাপ দিলে ? গরব । না,— হারাধন। তবে কি ক’বুলে—তবে কি ক’লে ? গরব । আস্তে আন্তে বিছানায় গিয়ে শুলো । হারাধন। আ: বাচলেম, সৰ্ব্ব রক্ষে— গরব। সৰ্ব্ব রক্ষে কি কৰ্ত্তাবাবু ? শোন আগে— হারাধন। আবার কি ? গরব। বিছানায় শুয়ে এই ফোস ফোস করে। কান্না ! কাদতে র্কাদতে একেবারে অজ্ঞান, আর নড়েও না চড়েও না । হারাধন। তারপর—তারপর কি শীগগির বল । গরব। তাড়াতাড়ি করোনা কৰ্ত্তাবাবু, আমায় সব | মনে করতে দাও ! - হারাধন। আর মনে করি নি গরব! বল— | বল— : গরব। হ্যা, এইবার মনে হয়েছে— গ৷ মুখ সব পাশ হয়ে গেল, যত ডাকি “দিদিমণি –দিদিমণি”— সাড়াও নাই, শব্দও নাই, নাকে হাত দিয়ে দেখি—ওমা নিশ্বে সও নাই । হারাধন। অ্যা— নিশ্বেস নাই ? হায় হায় কেন আমার কুমতি হলো কেন বিবাগী হব ব’ল্লুম। হ্যারে, নিশ্বেস নাই ? : গরব। ছিল না – অনেকক্ষণ ধরে মুখে জলের ঝাপট দিতে দিতে-নাড়তে চাড়তে চোৰ চাইলে । ছোট ক’রে বল্লে—“বাবা’ ! আবার অজ্ঞান। সেই থেকে একবার চেতন হচ্চে, একবার অজ্ঞান হ’চ্চে। ওরে, কি রান্ত পুইয়ে ছিল রে—আজকের দিন কাঢ়লে যে বাচি ! হারাধন । কি সৰ্ব্বনাশ হ’লে –কি সৰ্ব্বনাশ হ’লে –. মাণ কে—মাণ কে— নেপথ্যে – আজে
