পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१v . রসিক । যাব কোথা ? আমি স্ত্রীলোকের মন্দিরে কখনো প্রবেশ করি না। আপনার মেয়ে মলো কি বাচ লো — তাতে আমার কি ? আমার চিরকুমার ব্রত ভঙ্গ হবে ? বটে – বেশ তে আপনার উপদেশ ? কোথায় সে মাগী,— তুই কেন আমায় এখানে আনলি ? মাণিক । ( গরবকে দেখাইয় ) ওই যো – ওই যো— হারাধন । মশায়, ঘাট হ’য়েছে, মাপ করুন, কথাট। ইটাং আমার মুখ থেকে বরিয়ে গেছে। তবে কি ক’রে রোগী দেখবেন ? রসিক । হা: হা:–হা: হা:—এই, এই ভাব না ? তিন তালিতে তাকে হেতা তুলে আনবে। এক-দুই — তিন ( তালি প্রদান ) ( রতনমালার বেগে প্রবেশ করিয়া বসিয়া পড়ন ) হারাধন। বাপ কি কাও ! মাণিক । বলিহারি রোজ তিন তালিতে দিদিমণিকে চেলে আনলে । গরব । ঠাকুর, আপনি অস্বিন, এইখানে বসুন । চলুন কর্তা বাবু, আমরা এ ঘর থেকে যাই । মাণিক । যাবি কোথা-তুই বেটা ব’স কর না। হারাধন । সে কি – যাবো কেন ? গরব । সে কি, রোজ দিদিমণিকে সব কথা জিজ্ঞেস করবে, তবে তো ? চলো-চলো—দাড়িয়ে কি দেখছে : এই বুঝি, আবার চটালে, আর আমি সোমোদ করে ডেকে আনতে পারবো না । হারাধন । না— ন চ চ | গরব । মাণ কে মুখপোড়া, চ'লে আয় । মাণিক। তোর পেছু চ সুম এই যে - [ হারাধন ও গরবের একদিক দিয়া এবং মাণিকের অন্যদিক দিয়া প্রস্থান । রসিক । ( রতনের সম্মুখে হস্ত সঞ্চালনে ঝাড়ানের ভাণ করিয় রতন, বেশ মেঘনাদের যুদ্ধ করে । । জানালার আড়াল থেকে দেদাব নম্নবাণ হেনেছ আর আমি প্রাণের জালায় রাস্তায় ছুটোছুটী ক’রেছি। আর তুমি তোফা নিশ্চিন্তু আছ। রতন। তা ব’ লবে বই কি, রাস্তা থেকে তোমার গিরিশ-এ স্থাবলী তিরন্দাজি কি কম ? তুমি তো নিশ্চিন্ত ছিলে, আমি গরবকে দিয়ে ধ’রে এনেছি, তবে তো ? রসিক । তা বেশ সন্ন্যাসী সাজিয়েছ ; এখন বাড়ী ডেকে যেন অম্নি বিদায় ক’রো না । রতন । আমার তো আর কিছুই নাই, সম্বলের মধ্যে একটী প্রাণ ছিলো, তা তো জোর ক’রে কেড়ে নিয়েছ । রসিক। আচ্ছ। ভাল, যদি আমার জোর চলে, তবে জেরি করে নে তোমায় বুকে রাথি । ( বাহু প্রসারণ ) রতন । থামো থামো-বাব দেখছেন। আমাদের ষড় যদি জানতে পারেন, তবে তোমার বুজ রুকি সব বেরিয়ে যাবে। রসিক। যে কি ? আমি তো শুধু তালি দিয়েছি, —তুমি যে রকম বুজ রুকি ক’রে পাগলের মতন ছুটে এসে বসে পড়লে, তাতে আমিই ধোকা থেয়েছিলুম, যে সত্যি । বা কি হ'য়েছে । রতন। আমার ওস্তাদ কেমন—গরবিণী ! রসিক । আমরা দু’জনেই এক গুরুমশায়ের পড়ে । হারাধন। (দুর হইতে গরবের প্রতি ) এত ফুস্থ ফুস ক’রে কি ব’লছে ? গরব। ঝাড় ফুক্‌ ক’চ্চে কৰ্ত্তাবাবু—ঝাড়ফুক্‌ ক’চ্চে । দেখছে না, দিদিমণির মুখে হাসি বেরিয়েছে। রসিক । গরব তোমায় সৰ ব'লেছে তো ? রতন । সবই ব’লেছে, আমি ঠিক আছি । বাব আসছেন, আমি এখন যাই । [ রতনের প্রস্থান । হারাধন । ( নিকটে আসিয়া ) কেমন দেখলেন ? রসিক। দেখবে। আর কি,-সমূহ বিপদ উপস্থিত। হারাধন । কি—কি ঠাকুর, আরোগ্য হবার কোন আশা নাই ? রসিক । আশা আছে, উপায় ক’রতে পারলে হয় । হারাধন। উপায় আছে ? : রসিক । আছেও বটে—নাইও বটে । হারাধন - ম শায়, আমরা মুখ্য মুখ্য লোক, আপনি পণ্ডিত, আপনার সব কথা বুঝতে পাচ্চিনে। যদি কোনরূপ উপায় থাকে, আপনি করুন। আমি বুঝত্বে পেরেছি, আপনার দ্বারাই আমার কন্যা আরোগ্য হবে, नम्र ८ङां मधु ।