পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - AAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS মার। অগ্ৰে মহারাজের পরিচয় শুনুন ; মহারাজ, আপনি ত্রিদিবেখর ইন্দ্র। পৃথিবী পাপ পরিপূর্ণ, এই পাপ দমনের নিমিত্ত নররূপে অবতীর্ণ হ’য়েছেন। নরদেহ ধারণে মোহাচ্ছন্ন, সে নিমিত্ত আপনার পূর্বস্তৃতি আবরিত। আপনার চিরদাস আজ্ঞা বহন ক’রতে উপস্থিত। রাধাগুপ্ত। আপনি কে, পরিচয় দিন। মার। আমি দেব-শিল্পী, সুরপুরে আমার নাম ময়, দেবরাজের কার্য্যে ধরায় উপস্থিত। রাজদরশনে আমার পূৰ্ব্বস্তৃতি জাগরিত ! কহলাটক। আপনি ক্ষিপ্তের ন্তায় কি বলছেন ? মার। আপনি তীক্ষবুদ্ধি রাজমন্ত্রী। আমি ক্ষিপ্ত ব৷ সত্যবাদী পরীক্ষা করুন। আমি ভূত-ভবিষ্যৎ অবগত। কহ্নাটক। আচ্ছ, ভবিষ্যৎ বার্তা কি বলুন ? মার। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে মহারাজের জীবন সংহারার্থে কোন বিপক্ষ তীরনিক্ষেপ করবে, কিন্তু মগরাজের দেবত্ব-প্রভাবে , লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে। (অকস্মাৎ অশোকের মস্তকের উপর দিয়া তীরের গমন ) নেপথ্যে । ধর ধর— অশোক। বোধ হয়, তুমিই সেই তীর-নিক্ষেপকারীর উপদেষ্ট । মার। সমস্ত শ্রবণ করুন, পরে আমায় যেরূপ বিবেচনা করেন, করবেন। আমার প্রতি দোষারোপ করবেন না। মহারাজের শত্রুর উপদেশে এ তীর নিক্ষিপ্ত। যুবরাজ মুসীমের পত্নী পূর্ণগর্ভবতী, তারই সন্তানকে সিংহাসন প্রদানের জন্য এই তীর নিক্ষিপ্ত হয়েছে। (তীরন্দাজকে ধৃত করিয়া রাজপ্রহরীদ্বয়ের প্রবেশ ) অশোক। তুমি তীর নিক্ষেপ করেছ ? তীরন্দাজ। ই, রাজদ্রোহীর বিনাশার্থে। অশোক । কার উপদেশে ৯ তীরন্দাজ। সে কথার উত্তর আমার নিকট প্রাপ্ত হবেন না । কহলাটক। হবে । তীরন্দাজ। পরীক্ষায় বুঝবেন, কদাচ না । অশোক। এরে কারাগারে ল’য়ে যাও। { তীরন্দাজকে লইয়া প্রহরীদ্বয়ের প্রস্থান । যন্ত্রণায় তোমার জিহবায় সত্যবাক্য নিঃস্থত ২৩ মার। মন্ত্ৰীমহাশয়, আমার প্রতি সন্দেহ দূর করুম। আরও ভবিষ্যৎ গণনা শুনুন। মহারাজ মাতৃবিয়োগজনিত শোক-সন্তপ্ত হবেন ; রাজপত্নী আদর্শন হবেন ; রাজপুত্র রাজপ্রসাদ উপেক্ষা করবেন ; সুসীম-পত্নীর গর্ভে যে পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করবে—যদি জীবিত থাকে-দে মহারাজাধিরাজ অশোকের উপর আধিপত্য প্রচার করবে। নেপথ্যে। রাজমাতা আসছেন, রাজমাতা আসছেন- e ( সুভদ্রাঙ্গীর প্রবেশ ) সুভদ্রাঙ্গী। অশোক, দৈবজ্ঞ-গণন পূর্ণ আজি— তোমারে নেহারি সিংহাসনে । এ সংসারে আর স্থান নাহিক আমার । রাজ্যেশ্বর দেখিতে তোমায়, প্রাণবায়ু আছে মম কায়। সেই সাধে রাজগৃহে আগমন মম, সেই বাসনায় আছি এ ধরায়, সেই হেতু পতি সনে চিত-আরোহণে করি নাই একত্রে গমন । আজি পূর্ণ মনস্কাম, বক্ষে ধরি পতির পাদুকা, পতি-পদ সেবিবারে করিব প্রয়াণ। অশোক। কেন গো জননি, কেন কহ নিদারুণ বাণী ? রাজগৃহে চিরদিন তুমি মা দুঃখিনী— সন্তানের মুখ-কামনায় কত মাতা, সহেছ লাঞ্ছনা । দুদিন হয়েছে গত, আগত মুদিন, কেন, মাতা, কেন তবে স্নেহ পরিহরি, সন্তাপিত পুত্রেরে ত্যজিয়ে চাহ দিতে দেহ বিসর্জন ? সহেছ, মা, বিস্তর আমার তরে, দেখে যাও মুখী কয় দিন। । স্বভদ্রাঙ্গী। ধর বৎস, বাক্য মম, তুমি সুপণ্ডিত ! সংস্কার হৃদয়ে সবার— ব্রাহ্মণ-কুমারী আমি, রাজভোগ হেতু ' আসি রাজপুরে ব’রেছি রাজারে, ক্ষৌরকার্যে ভুলইয়া নৃপতির মন