পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rఫిe AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASAAAA تمامه-میرم সংবাদদাতার ভ্রমে। কিন্তু অদ্যাবধি অর্থে, অনুরোধে, মিনতিতে সত্যপ্রিয় সম্পাদককে কৰ্ত্তব্যানুষ্ঠানে বিরত করিতে পারে নাই। এই এক সংবাদপত্র-এই এক সম্পাদক । A. বঙ্গদেশেও এরূপ মহানচেতা সম্পাদকের উদ্ভব হইয়াছিল। সম্পাদক ব্যবসায়ী নহে, দেশহিতৈষী — সম্পাদক কষ্টার্জিত অর্থব্যয়ে নীলকর-পীড়িত প্রজাদিগের অন্ন যোগাইয়া প্রজাপীড়ন দমন করিয়া “হিন্দু-পেটিয়টের” নাম বিশ্বব্যাপী করিয়াছিলেন। আদর্শপুরুষ কৃষ্ণদাস সেই সম্পাদকীয় আসন গ্রহণে ও মহা মহা যোগ্য ব্যক্তির সাহায্যে ‘বৃটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েসনকে রাজপ্রতিনিধির রাজকাৰ্য্যে উপদেষ্টা করিয়া গিয়াছেন। "রেজ এণ্ড রায়ং” সম্পাদক যাহার সম্পাদকীয় ভাষা, ইংরাজ সংবাদপত্রের অনুকরণীয়, অপক্ষপাতিতা-গুণে, রেজ (ভূম্যধিকারী ) ও রৈয়ং (প্রজা) উভয়েরই পূজ্য হন। রাজপুরুষদিগেরও বিশেষ সম্মানভাজন ছিলেন । সম্পাদকীয় কাৰ্য্য তাহার ব্যবসা ছিলনা। শুনা যায়, রাজ-প্রতিনিধি র্তাহাকে উপাধি দিতে চাহিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি রাজপ্রতিনিধিকে নিবেদন করেন, “আমি টাইটেল গ্রহণ করিলে লোকের নিকট প্রকাশ পাইবে, আমি স্বার্থচালিত হইয়া সম্পাদকীয় পদ গ্রহণ করিয়াছি । আমায় মার্জক্সা করুন। স্বদেশহিতসাধান সম্পাদকের উদ্দেশু। হওয়া উচিত, স্বার্থসাধন নয় —এই দৃষ্টান্ত স্বদেশে প্রচারিত হয়, এই আমার মিনতি। আমি উপাধি গ্রহণ করিলে তাহা হইবে না। এই জন্য রাজপ্রসাদ গ্রহণে বঞ্চিত হইলাম, তজ্জন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করি।” এই এক সংবাদ পত্র—এই এক সম্পাদক ! বাঙ্গালা ভাষায় লিখিত সংবাদপত্রের সম্পাদকও এইরূপ অব্যবসায়ী হইয়া সম্পাদকীয় কাৰ্য্য করিয়া গিয়াছেন । —নব সাহিত্য স্থাপক বঙ্কিমচন্দ্র এই সম্পাদকীয় কার্য্যের উজ্জল দৃষ্টাস্ত ; এবং ষে সকল তারকামালা বেষ্টত হইয়। “বঙ্গদর্শনের" অতুল গৌরব, বঙ্গদেশে চিরস্মরণীয় করিয়া গিয়াছেন, সেই সকল উদারচেতা মহানুভবেরাও সম্পাদকীয় উদ্দেশ্বের পরিচয়দাতা। এ দরিদ্র ভারতে ৰচি কেহ বিংশতি সহস্র গ্রাহক ত্যাগ করিবার যোগ পান নাই, তথাচ যে তাহারা উল্লিখিত গিরিশ-এ স্থাবলী AA AA ASASASA AAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAMAMMMAMAMMMMAMA AMA AMAMAMAAA AAAA AAAASASASS ইংলণ্ডের সম্পাদকের ন্যায় মহদাশয়,—তাহার প্রমাণ রাখিয়া গিয়াছেন । এই সকল সম্পাদক-প্রদর্শিত পথগামী উন্নতচেতা সম্পাদক যাহারা আছেন, তাহারা আমাদের পরম পূজ্য। এ প্রবন্ধে যাহারা আমাদের আলোচ্য সম্পাদক—র্তাহারা উপোরক্ত সৰ্ব্বজ্ঞম্পৰ্দ্ধাকারী বেকুব । বেকুব ব্যতীত র্তাহীদের অন্য নাম আর নাই। এই সম্পাদকেরা তিন শ্রেণীতে বিভক্ত। এক শ্রেণীস্থ সম্পাদকের মনে করেন যে, তাহাদের মতে চালিত না হওয়ায় পৃথিবীতে এত বিশৃঙ্খলা । সমাজ ডুবিতে বসিয়াছে, একমাত্র রক্ষার উপায়—তাহাদের মতাবলম্বী হওয়া। ইহারা তাহাদের সংবাদ পত্রের প্রথম সংখ্যায় বলেন যে, আমরা বরাবর বলিয় আসিতেছি, লাট সাহেব ভাল বুঝিতেছেন না। আগাগোড়া পত্ৰখানি পাঠে বুঝা যায় । যে, যেখানে যিনি আছেন, যাহার উপরে কোন কার্য্যের ভার অাছে, তিনিই ভ্ৰমে পতিত আর তিনি কোন কার্যা করিতেছেন না। র্তাহীদের যে নিজের কোন মতামত আছে, এমন তাহাদের সংবাদ পত্র পাঠে কিছুই বোধ হয় না। র্তাহাদের ছিদ্রাতুসন্ধানীও বলা যায় না। কারণ, আদৌ কোন বিষয়েরই কিছু জানেন না, তবে ছিদ্রানুসন্ধান করিবেন কি ? তাহাদের উদেশ্বহীন জীবন, সংবাদপত্র লিখিয়া চরমত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে। ইহাদের সম্পাদক বলিতে হইবে, তাহ নইলে ইহার বড় বেজার। র্তাহারা সদাসৰ্ব্বদা এই আক্ষেপ করেন যে দেশ উৎসন্ন গিয়াছে, নচেৎ তাহাদের কাগজ ঘরে ঘরে প্রতিষ্ঠিত হইত। ইহাদের অভীষ্ট সিদ্ধ হইলে না জানি কি সৰ্ব্বনাশই ঘটিত ! অপর আর এক শ্রেণী সম্পাদকের উদেশ্বা, – লোককে প্রশংসা বা গালাগালি দিয়া কিঞ্চিৎ অর্থ উপার্জন করা । অর্থ লইয়া অত্যাচারী লোকের পক্ষ সমর্থন, সাধুর নিন্দ । করিয়া রসিকতার পরিচয় প্রদান, ই হারা প্রতারণার অবতার। এই হীন ব্যক্তিগণ, ভীরুস্বভাবে যত প্রকার অপকার সম্ভবে, সেই সমস্ত কৰ্ম্মে স্বনিপুণ । আজ যাহার অর্থ পাইয়া বা স্বার্থসিদ্ধি কামনায় প্রশংসা করিয়াছেন,— } 《해 কাল কিঞ্চিৎ স্বার্থহানি প্রযুক্ত সেই প্রশংসিত, ব্যক্তির প্রতি অবাচ্য গালি বর্ষণ করিয়া থাকেন। ইহাদের