পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশোক . २१ কউ কাজ সেরে গিয়েছে। এইযে গয়নাগাটি, কাপড়চাপড় সব পড়ে রয়েছে।" ২য় ঘাতক। তোর যদি এক কাণাকড়ি বুদ্ধি ঘটে থাকে! কাজ সেরে গেলে গয়ন কাপড়-চোপড় সব ছেড়ে যেত ? iাগী আমাদের দম দেবার জন্ত কাপড়-চোপড় ফেলে কোথায় লুকিয়েছে। আয়, খুজি আয় । • ১ম ঘাতক। রাণীর বেশ না থাকলে চিম্ব কেমন ক’রে ? રો ঘাতক। স্তাকা আর কি ! দরাজ হুকুম—যাকে পাব, তাকে কাট্‌ব। ১ম ঘাতক । আরে সব দোর খোলা—কোথাও চ’লে kੇਸ਼ না কি ? ২য় ঘাতক। মর ভেড়ো ! বাদী বেটীকে দোর খুলে ರ್ಗತ মন্ত্রীমশায় বলে নাই ? সব ভুলে যাস্ কেন ? ১ম ঘাতক । আয় তবে, কোথায় গেল দেখি আয়। [ উভয়ের প্রস্থান। সপ্তম গভর্ণক বনপথ পদ্মাবতী ও সপ্তপ্রস্থত চন্দ্রকলা । পদ্মাবতী। দিদি, জল থাও। চন্দ্রকলা । ( জলপান করিয়া ) অtঃ– পদ্মাবতী। দিদি দেখ, একবার ছেলের মুখপানে চেয়ে দেখ, কি ভুবন-উজ্জ্বল সস্তান প্রসব করেছ দেখ ! চন্দ্রকলা । দেখেছি, আর আমার ছেলে নয়। ছেলের ha দেখে আমার অনেক সাধ উঠেছিল। কোলে ক’রব, তন্তপান করাব, চাদমুখের হাসি দেখে প্রাণ জুড়াব, কিন্তু সে সকল সাধ আমি তোমার দিয়ে গেলুম, অনাথকে তুমি দেখ, আমার দেখবার সময় নাই। পদ্মাবতী। দিদি, তুমি প্রসব-যাতনায় কাতর হয়েছ, সবল হবে। চন্দ্রকলা। দিদি, আর আমি কাতর নই। গর্ভরক্ষার জষ্ঠ কাতর হয়েছিলুম। পুত্র প্রসব করেছি, তার রক্ষণ SAAAAAAASAAAA বেক্ষণের ভার নারীরূপ দেবীকে দিয়ে যাচ্ছি। পরকালের ভয়ও আর আমার নাই। তুমি সাক্ষাৎ লক্ষ্মী—যখন তোমার ' অামি কৃপাভাজন হ’য়েছি, তখন নারায়ণও আমায় কৃপা করবেন! তুমি বল, আমার ছেলে তোমার হল—এই সংবাদ শোল্বার জন্ত আমার প্রাণবায়ুবেরোয় নাই। পদ্মাবতী । দিদি, কেন অমন ক’চ্ছ, তুমি এখনই ভাল হবে । g o চন্দ্রকলা। না, দিদি, না । আমি কালের স্পর্শ অনুভব করেছি, এখনি:যেতে হবে । হেথা থাকৃবারও আর আমার ইচ্ছা নাই। নারী-জীবনে সাধের সমুদ্রতরঙ্গ উঠে, কিন্তু পদে পদে নিরাশা। নিরাশাই নারীর জীবন। আমি পাটালিপুত্র-সিংহাসনের যুবরাজ-পত্নী, সাধের স্রোত কতই ব’য়েছে— স্বামীর বামে বসব, স্বামীকে রাজ্যশাসনের উপদেশ দেব, প্রজাদের পুত্রবৎ পালন করব, সাধের সাগর উথ লেছিল । কিন্তু সে সাধ-সাগর মন্থন ক’রে হলাহল উঠেছে। স্বামীর উপেক্ষিত, বারবিলাসিনী কর্তৃক অপমানিতা—কিন্তু তথাপি আমার স্বামী-কপালে সিন্মুর ছিল। ভাব তেম, আমার গর্ভস্থ সন্তানের পিতা আছে—সে সাধেও বিষাদ । সিন্দূর ঘুচল, তবু সাধ অবসান হ'ল না। আশার কুহকে আমার মনে হ’ত, আমার গর্ভের পুত্র সন্তান—সেই সন্তান রাজ্যেশ্বর হবে। কিন্তু তখন জানিনে, দুৰ্দৈব আমায় রাজপুর হতে বহির্গত ক’রে অরণ্যে প্রেরণ করবে। তখন জানিনি যে, করুণাময়ী রাজরাণী অভাগিনীর জন্ত অরণ্যচারিণী হবে, তখন জানিনি, অনাথিনীর বনপথ মৃত্যুশয্যা হবে। কিন্তু এক পরম সাস্বনা, আমার পুত্রের রক্ষণে দেবী জগদ্ধাত্রী মানবীরূপে উপস্থিত হয়েছেন। দিদি, বিদায়! (মৃত্যু) পদ্মাবতী। দিদি, দিদি—ফুরুল’ ! এই সংসার ! রাজরাণীর মৃত্যুশয্যা—ধরণী, অরণ্য—রাজপুত্রের স্থতিকাগার! এই রাজ্য, এই ভোগ ! এই নিমিও কোলাহল, এই নিমিত্ত অস্ত্র সংঘৰ্ষণ, নরহত্যা, ধ্বংসকারী রণ-তরঙ্গ ! পরিণাম—মৃত্যু ! অজানিত তমোময় সাগরে ঝম্পপ্রদান ! ক্ষণভঙ্গুর দেহে অবস্থান ক’রে ক্ষণভঙ্গুর দেহীর নিপীড়ন—বিবেচক জ্ঞানীনামে আত্মপরিচয়—এ কি দুরন্তু কুহক ! এ কি ঘোর আত্মপ্রতারণা ! এ অবস্থায় মুখের কল্পন, আশার উত্তেজনা ! তম—তম—ঘোর তম –তমোময় ভবিষ্যৎ । ( শিশুকে নিরীক্ষণ করিয়া ) আহে, শিশু যেন আমার বক্ষে থেকে আমার