পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ॉलेौ महे অাকাল। আজ্ঞে তা জানিনে, তবে শুনেছি, ইন্দ্র অনুরারি, আপনি অস্বরের সখা । অশোক। অম্বরের সখা! o অীকাল। মহারাজ সহস্ৰলোচন হ’তে চাচ্ছেন, কিন্তু দু'টি চক্ষু যা আছে, তাও অন্ধ। নইলে বুঝতেন, যার কুহকে রাজ্য-মধ্যে অকস্মাৎ হ্রদ হয়, হ্রদ-মধ্যে রত্ন-নির্মিত পুরী হয়, যার যানে শতক্রোশ একদিনে আসা যায়— মহারাজ, সে মানুষ হ'লেও দানব ! দানবের প্ররোচনায় এ রাজ্য ছারখার ক’রেছেন। এর নাম আধিপত্য নয়—এর নাম লংহার। অশোক। যা, এখন আমি রণশ্রান্ত, নিদ্রা যাব। আকাল । যে আজ্ঞে। انهم [ আকালের প্রস্থান । অশোক। মস্তিষ্ক উত্তপ্ত—নহে নিদ্র-আকৰ্ষিত । পটুয়া-চিত্রিত দৃশুপটে যে প্রকার শত শত দৃপ্ত হেরে দর্শক সম্মুখে, সেই মত এই রণক্রিয়া আনিছে ভীষণ দৃশু মনোক্ষেত্রে মম। সত্য কথা, অধিকার বিস্তার এ নয় ! পাবে ডর নর মম নাম উচ্চারণে ; মম ছায়া দরশনে— মানিবে শমন দরশন ! ভীষণ—ভীষণ দৃশু জাগে মনোপটে । দগ্ধ ঘর, জনশূন্ত—মুন্দর নগর, গগন-পরশি উচ্চ হাহাকার-ধবনি, অভিনীত পুনঃ পুনঃ মস্তিষ্ক-মাঝারে। করি শাস্ত ভাবে নিদ্রা-উপাসনা, উত্তপ্ত মস্তিষ্ক যদি স্নিগ্ধ হয় তাহে । s ( শয্যায় শয়ন ) (অকস্মাৎ উখিত হইয়া ) একি—একি-চতুর্দিকে আমার মূৰ্ত্তি! আমি-আমি-লক্ষ লক্ষ আমি । ছায়া নয়— জীবিত মূৰ্ত্তি । মুণ্ডহীন, অঙ্গহীন, দীন, ক্ষীণ—ভিক্ষাপাত্র ল’য়ে ভিক্ষা ক’চ্ছি! শত শত আমি—কোটা কোটী আমি ! —আমার সন্তান অনাথ—আমার পত্নী অনাথ —আমারই পুত্রের পথে পথে ভিক্ষা ক’চ্ছে, ছুর্ভিক্ষে অন্নাভাৰে ম'ব্লছে ! এক্তি-একি !-অাঁকাল— . . ළුෂී. লিগ্ৰাকীві ASAAAAS SAAAAAMSMAAAS ( আকালের পুনঃ প্রবেশ ) তুই কোথায় ছিলি ? © অকাল । আজ্ঞে, শিবিরের এক পার্থে। অশোক। কেন ? আকাল। কে জানে, বার বার ভাবি, মহারাজের কাছ থেকে পালাই, কে যেন আবার টেনে আনে । অশোক । আকাল, আমার মস্তিষ্ক দগ্ধ হ’চ্ছে। আকাল। এই ক'দিন ধ’রে জাল দিচ্ছেন, ফুটুবে না। অশোক। কত রাত্রি ? - Ç আকাল। অরুণ উদয় হ’য়েছে। ( নেপথ্যে সঙ্গীত-ধ্বনি ) ক্রোধানল কেন হৃদয়ে জালি, পরম রতন দিব শান্তি ডালি, চির শান্তি–শাস্তি-শাস্তি । অশোক । কে ও-কে ও—কার গান গেয়ে যাচ্ছে {| ডাক, ডাক ! [ আকালের প্রস্থান। এই তো আমি জাগ্রত--তথাপি তো দূরে ছায়ার স্তায় সেই ভীষণ দৃশু ! সেই কোটা কোটী আমি—শত প্রকারে দুঃখভোগ ক’চ্ছি ! নিশ্চয় আমি দানব দ্বারা অধিকৃত হয়েছি। হায় হায়, আমিত এমন ছিলেম না ! বাল্যকালে ক্ষুদ্র পতঙ্গের প্রাণ-বিনাশ দেখে আমার প্রাণে ব্যথা লাগ ত ; তৃণের উপর পদবিক্ষেপ করতে মনে হ’ত, তাদের ব্যথা লাগবে। কি নিষ্ঠুরতা আমার প্রাণে প্রবেশ করলে! আকাল সত্য বলেছে ! নিশ্চয় সে দানব—তার দানব-প্রকৃতি আমায় আশ্রয় ক’রেছে। পিতার বর্জন, সংসারের ঘৃণা, অনাথ, দীন অবস্থায় একাকী পথে পথে ভ্রমণ—তাতে আমি শান্তিচু্যত হই নাই। কি দৃশু-কি ভয়ঙ্কয় দৃপ্ত ! ( উপগুপ্ত, আকাল ও বৌদ্ধ-ভিক্ষুগণের প্রবেশ ) তোমরা কি গান ক’চ্ছিলে—গান কর । ( ভিক্ষুগণের গীত ) ক্রোধানল কেন হৃদয়ে জ্বালি, পরম রতন দিব শাস্তি ভালি, छिब्र अनीडि-*ांखि-लांखि ! যত্ন করি ধরি হৃদয়ে জুহি, কেন দংশন-তাড়ন নিয়ত সহি, अकि बॉडि-जांखि-अांखि! |