পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিরিশ-গ্রন্থাবলী ক’রে গভীর নিশীথে সন্ত্রীক ‘তক্ষশিলা পরিত্যাগ করে কোথা চ’লে গিয়েছে । রাজ-কৰ্ম্মচারীর চতুর্দিকে তার অনুসন্ধান ক’চ্ছে। আমার পত্র ল'য়ে রাজার নিকট উপস্থিত হবার পরামর্শ করেছে। তাদের মনে দৃঢ় ধারণা যে, পত্র জাল। সংবাদ পেলেই রাজা আমার প্রাণবধ করবে । কুনালকেও পেলুম না—আমার প্রাণবধও হবে। তৃষা। ভূমি রাজার প্রাণবধ ক'রে মুখে রাজ্যভোগ কর । " - চিত্ত। মুখের কথা তো বললে! আমি রাজপুরী ছিলেম না, এ সংবাদ পেয়ে রাজা আমার প্রতি বড়ই অসন্তুষ্ট । তৃষা। শোন’ ! আমি গয়ায় মন্ত্রপূত স্বত্র দ্বারা বোধিবৃক্ষ বেষ্টন ক’রে এসেছি, বৃক্ষ শুষ্ক হ’চ্ছে। সে স্বত্র অপর হস্তে ছেদিত হবে না। তুমি এই অস্ত্র নাও। এই অস্ত্র দ্বারা স্বত্র ছেদিত হ’লেই বৃক্ষ হ'তে বহুশাখা নির্গত হয়ে বৃক্ষ পুনৰ্জ্জীবিত হবে। তখন তুমি রাজাকে যা ব’লবে, রাজা গুম্‌বে। তুমি বলবে—“আপনার রোগের শেষ আছে, এই ঔষধ সেবন করুন—তাহলে সম্পূর্ণ আরোগ্যলাভ করবেন ও দীর্ঘজীবী হবেন।” রাজা ম'লে তুমিই রাজরাণী, আমরা তোমায় সাহায্য করব । আর তোমায় বাধা দেয় কে ! এই অস্ত্র নাও, আর এই বিষ নাও । তুমি আমাদের অবিশ্বাস কর! অচিরে বুঝবে, তুমি আমাদের আপনার লোক। আর ভাণ্ডার তো তোমার হাতে –ভাণ্ডারে ধন বিতরণ করে সেনাদের বশীভূত কর। আর রাজার বিরোধী লোক অনেক আছে, নানাপ্রকার উৎসব ক’রে তাদেরও বশে আন’, তাহ’লেই রাজ্য তোমার। এক অশোককে ভয়, সে ম’লে কে আর তোমায় বাধা দেবে ? [ তৃষার প্রস্থান। চিত্তহরা। আমার ভয়ে প্রাণ র্কাপ ছে! এর মুখের ভাব দেখে বোধ হয়, যেন আমার সঙ্গে ব্যঙ্গ ক’চ্ছে। আমি ওদের আপনার লোক ! ওরা তো দানব-দানবী—ভূত প্রেতিনী! কি বলে গেল! অদৃষ্ট্রে যা থাকে হবে, তক্ষশিলার সংবাদ না আসতে আসতে রাজাকে বিষ দেব। o { চিত্তহরার প্রস্থান। (পদ্মাবতীর প্রবেশ ) * পদ্মাবতী। কি হবে, কি করবে। কুনাল সম্বন্ধে কি অধিকারী। AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAASAASAASAASAASSAAAAAAS AAAASS বললে বুঝতে পারলুম না। নিশ্চয় বাছার কোন সাধন করেছে। রাজাকে বিষ দেবার কথা কি বললে। আমি আকালকে সমস্ত কথা বলি, সে যদি কোন উপা ক’রতে পারে । [ 회 অষ্টম গভর্ণঙ্ক পৰ্ব্বত-সম্মুখস্থ পথ পৰ্ব্বতগাত্রে অশোকের আদেশ খোদিত । কয়েকজন পথিকের প্রবেশ ও ‘আদেশ পাঠকরণ । ( দেবীর প্রবেশ ) - দেবী। (স্বগত) আমার প্রাণ কেন আজ এত ব্যাকু হ’চ্ছে! আমার প্রাণের ভিতর যেন হাকাকারউঠ ছে! যেন “কুনাল কুনাল”—ব’লে আমার প্রাণ র্কাদছে। বাছার কি কোন অমঙ্গল হ’ল ! আমি তো স্থির থাকৃত্বে পাচ্ছি নে ! ১ম পথিক। ওরে ওরে! এ কে জিজ্ঞাসা করি আয়২য় পথিক । ও মেয়েমানুষ-ভিক্ষুণী । ও কি ব’লবে: ১ম পথিক । আরে, না না, উনি সৰ্ব্বস্থানে ঘু বেড়ান। লোককে বুঝিয়ে দেন, এর মৰ্ম্ম কি । ২য় পথিক । ইনি কে ? ১ম পথিক। জিজ্ঞাসা কছি, দাড়া । (অগ্রসর হইয় হ্যা মা, এই পৰ্ব্বতের গায়ে কি লেখা ? দেবী । মহারাজ পৰ্ব্বতগাত্রে খোদিত ক’রে প্রজনে আদেশ দিয়েছেন যে—সকলে দানধৰ্ম্ম আচরণ করে ইহকা ও পরকালের কার্য্য কর। উচ্চ-নীচ সকলেই মুক্তি কঠোর আত্মত্যাগই সাধন । এ সাধনহীন অপেক্ষ উচ্চ ব্যক্তির কঠিন। ১ম পথিক । মা, আমরা ব্যাপারী, দেশবিদেশে বেড়াই সকল জায়গাই তোমাকে দেখি । যেখানে যেখানে এম্নি । লেখা আছে, তুমি বুঝিয়ে দাও । তুমি কে মা ? দেবী । আমি রাজদাসী, আমার এই কাৰ্য্য । ২য় পথিক। ওঃ, খুব পাকা পাক কথা সব রাজা গি দেয়! আমরা কি সব বুঝতে পারি ? তবে এই বুৰি