পাতা:গিরিশ গ্রন্থাবলী.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গাল । কোন্ডের সংকম্প হইল, কিন্তু হরেন্দ্র ছড়িল না। রাখাকাস্তকে অগত্য দেশে nইয়া যাইতে হইল, হরেন্দ্র একাই রাধাকাস্তুের সহিত চলিল। চাকর-বাকর সঙ্গে লহুল না। পথে রাধাকান্ত কতই ভাবিতে লাগিল। কিন্তু হরেন্দ্র চণ্ডীমণ্ডপে যখন মাহরে বসিয়৷ দা-কাট:- তামাক পরম তৃপ্তির সহিত টানিতে লাগিল, – রাধাকাস্তের কতক চিন্তা দূর হইল। রাধাকান্তর মা, ছেলের বন্ধুকে ছেলের মত যত্ন কল্পির চিড়েভাঙ্গাশ্চালভাজ। তেলকুন মাখিয়া জল খাইতে দিল । তখন রাধাকান্ত আড়ষ্ট । কিন্তু হরেন্দ্র যন্ধপ তৃপ্তির সহিত ভাজাভুজি, গুড়পাটালী,খাইল, অতি উপাদেয় এধ্য তহিকে এরূপ ভাবে থাইতে রাধাকান্ত দেখে নাই। • তাহার পর অন্ন, কলাইয়ের ডাল, সঞ্জিন। খাড়া চচ্চড়ি, আধপোড়। পোনামাছভাজা,উত্তম স্থত দুগ্ধ—পুলবৎ যত্নের সহিত রাধাকান্তের মা হরেন্দ্রকে থাইতে দিল । হরেন্দ্র বাটাতে যাহ খাইত —তাহার দ্বিগুণ খাইল । তথাপি মা মাগী ঘোমূঢ়। টানিয় কথা কহিয়া বলিল, “বাবা, আর দুটা ভাত ভাঙ্গিয়া নাও । আহা বাব৷— ঐ খেয়ে জোয়ান বয়সে কি করে থাকবে ?” এই সকল মেহবাক্যে হরেঞ্জের চক্ষে জল আসিল । রাধাকান্ত সাবান সঙ্গে লইয়াছিল। বালিসের ওড়-বিছান। প্রভৃতি কাচিয়া রাখিয়াছিল। শয্যা প্রস্তুত করিয়া ভাবিতেছিল, ইরেন্দ্রের নিকট শয়ন করিবে । হরেন্দ্র জেদ করিয়া বাড়ীর ভিতর গুইতে পাঠাইল। পরদিন প্রাতে রাধাকাস্তের চাকর,—“রাখাল” "মাহন্দর” ও অন্যান্য কৃষি চাকরের, হাতে কলিকা টানিতে টানিতে হরেন্দ্রকে আদর করিয়া জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল,— ছ্যাগ বাৰু, তোমার বাড়ী কি নিজ কোল কাতায় ?” চোথ টিপিয়া রাধাকাণ্ড বারণ *রে, তাহারাও মানে না, হরেন্দ্রও শোনে " | রাধাকাস্তের বাপ বাড়ী ছিল না। মাঠে ধনশদের জলখাবার লইয়। যাইতে লোকের ***९३५ठरुिण । ब्रॉषाकारु जङरग्न खनिज, ংরেজ বাড়ীর ভিতর গিয়া বলিতেছে,“মা, لكن الاج আমাকে দাও, আমি জল খাবার লইয়া যাই।” মা মাগীরও আক্কেল মাই ! -একধাম৷ মুড়ি ও খানিকট। গুড় দিয়া বলিল,—“ইr বাবা, যাও, কৰ্ত্ত বাড়া নাই, দু’জনে গিয়ে দিয়ে এস !” মাগার একদিনেই হরেন্দ্রকে ঘরের ছেলে বলিয়। বোধ হইয়াছিল । রাধাকান্তের বাপ ফিরিয়া আসিয়া হরেন্দ্রকে যথেষ্ট যত্ন করিল। আপনি তামাক সাজিয়া, দু’একটান টানিয়া হু কা রাখিয় যায়। হয়েন্দ্রের ব্যবহারেও রাধাকাস্তের পিতা পরম পরিতৃপ্ত হইল । হরেন্দ্র প্রায়ই কৃষিদিগকে খাওয়ায় ও তাহাদের সহিত খায় । সন্ধ্যার পর তাহাদের সহিত নৃত্যগীত করে । স তার দেয়,—এক সঙ্গে ছোটে, -কথনও বা তাহাদিগকে তামাক সাজিয়া খাওয়ায় । এই সকল দেখিয়া রাধাকান্তের হৃদয়ে এক অপূৰ্ব্ব ভাবের উদয় হইল ।–“এ কে –এ কি আমার সত্যকার আপনার ভাই ?” এইরূপে কয়েক দিন যায়। একদিন কলিকাতা হইতে হঠাৎ পত্র আসিল,—হরেন্দ্রের নামে পুলিস হইতে ওয়ারিণ বাহির হইয়াছে। রাধাকান্তকে হরেন্দ্র বলিল, “কে ওয়ারিণ বাহির করিয়াছে জানিস্ ? অামার মা !” রাধাকান্ত কিছুই বুঝিতে পারিল না । কলিকাতায় আসিয়া দেখিল, সত্যই তাহার মা ওয়ারিণ বাহির করয়াছে। দিন দিন রাধাকান্ত বুঝিতে লাগিল,- যে হরেন্দ্রের এ কি সংসার | মার সহিত নানান মকদ্দমা চলিতেছে। মাগী, পুত্রের কথা না শুনিয়া দেওয়ানের কথায় ওঠে বসে —সে যা বলে, তাই শোনে। শুনিতে পাইল, স্ত্রীও খোরাকের নালিশ করিয়া পুলিস হইতে খোরাকির বন্দোবস্ত করিয়াছে। সমান চালই চলে। রাধাকান্ত হরেন্দ্রের বাজার সরকার, হরেন্দ্রের কাৰ্য্যাধ্যক্ষ । যে সকল দ্রব্যাদির প্রয়োজন সকলই আনে, —তাহার কমিশনে বিশেষ লাভ। সাহেব স্থবে, উকীল মোক্তার, দোকানদার, দালাল সকলে সভয়ে বশীভূত-রাধাকান্তের বিশেষ সুবিধা হইতে লাগিল ।