为$ গিরিশ-গ্রন্থাবলী । রাধাকান্ত হরেন্দ্রের প্রিয় বন্ধু, সকলেই জানিয়াছে ; বাগানপাটতে রাধাকান্তকে দেখে না। একদিন মহাসমারোঙ্কের বাগানপাটী। হরেন্দ্র যাইতেছে। রাধাকান্ত জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় যাইবে ।’ হরেন্দ্র বলিল, “বাগানে । রাধাকান্তের মুখের ভাব দেখিয়। বুঝিল, তাহার যাইতে নেহাৎ ইচ্ছা হইয়াছে। জিজ্ঞাসা করিল, “যাইবি ?” রাধাকান্ত কিছু বলে না। হরেন্দ্র আপনিই বলিল, “চল, ঘরের সুখ দেখেছিস,—বাহিরের সুখ দেখবি।” বাগান যেন অমরাবতী,—তাহে মহা সমারোহের নিমিত্ত স্থসজ্জিত। চারিদিকে নাচ, গান, বাদ্য, স্তম্পেনের ফোয়ারা চলিতেছে। ক্রমে যেন দৈত্যের কৌশলে আনন্দস্থান নিরানন্দময় হইল। ঝগড়া, মারামারি, কান্না, কলহ ! মুন্দরের ন্যায় গড়াগড়ি, মল, মূত্র, বমন, স্থান অতি কুৎসিত হইল । রাধাকান্তকে হরেজ বলিল, “দেখ লি ? এখন আর এক কীৰ্বি দেখবি চল্ ৷” হরেন্দ্রের জুড়ী সোণাগাছির এক বড় ৰাড়ীর দোরে আসিয়া লাগিল । পশ্চাৎ পশ্চাৎ একখানি পান্ধীগাড়ী অাসিয়াও পৌছিল। এ গাড়ীর সোয়ারী চারিট স্ত্রীলোক। তন্মধ্যে একটী স্ত্রীলোক গাড়ী হইতে নামিয়া, বাটার ভিতর গিয়া, সিড়িতে উঠিতে ন। উঠিতে হরেন্দ্রকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিল । হরেন্দ্র কিছু না বলিয়। রাধাকান্তকে বলিল,"দেখচিস বাঙ্গাল দেখচিস্।” এ কথায় স্ত্রীলোকটর আরও তর্জন-গর্জন বাড়িল। কিল, চড় চলিতে লাগিল। হঠাৎ কর্ণকুহর ভেদিয়া একটা শীঘের ধ্বনি হইল। রমণী চমকিল, হরেন্দ্র বলিল, “রাধাকান্ত, শুমের বঁাশী বেজেছে শুনতে পেয়েছিস্ ? এর প্রিয় উপপতি শীষ দিয়া ইসার করিতেছেন । যুবতী উত্তরে কত কথা বলিতে লাগিল, সে সকলে কৰ্ণপাত না করিয়া রাধাকাস্তের সহিত হরেন্দ্র জুড়ীতে উঠিল। গাড়ীতে রাধাকান্ত পরিচয় পাইল যে, স্ত্রীলোকটী থিয়েটরেরর"একুট্রেস। হরেক্স তাহার রূপমোহে আবদ্ধ হইয়াছে। ইহার একজন প্রিয় উপপতি, অতি কাৰ্য্য, হীন । ব্যক্তি। হরেক্স যে সময় না থাকে, সেগন ठाशप्र आदिकाव्र । जामिग्न उनिग्र७ शत्व তাহার রূপমোহ কাটাইতে পারে না। হsে দীঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কথা সমাপ্ত করিল। কিঞ্চিৎ নিস্তব্ধ থাকিয়া,কহিল, “কেমন মুখে আছি দেখছিস্ ?” তোর সখ হয়েছিল দেখাইলাম । আর এ দশ স্থানে, আসবার ইচ্ছ। করিস নি ।” হয়েজ উপদেশ দিল বটে, কিন্তু রাধাকান্তের বক্ষে একজন তয়ফাওয়ালীর নয়ন বাণ বদ্ধ হইয়াছে পাপচিত্র দর্শন করিয়৷ য়িনি মনে করেন,—পাপলিপ্ত। দূর হয়, তিনি তাহার.সৌভাগ্যক্রমে কখনও পাপের ছবি দেখেন নাই। পাপের অতি অদ্ভুত আকর্ষণ ! যিনি পাপ পৃগু কালসৰ্পের ন্যায় না পরিত্যাগ করিাছেন, তিনি জীবনে পাপসহচর হইবেন—সন্দেহ নাই । এ দাসত্বমুক্তির সদগুরুর চরণ ব্যতীত অনন্তোপায় ! দুঃখের তাড়নাতেও বাসন-সাগর নিবৃত্ত হয় না। রোগে শোকে মনোমোহনকারী চিত্র, হৃদয় হইতে ছিন্ন করিতে পারে না । যদি কাহারও হয়, তিনি অতি ভাগ্যধর । পাপ-বাসনা উদ্দীপ্ত। তাতে যথেষ্ট অর্থ– সময়, সুযোগও সহকারী, রাধাকাস্তের শীঘ্রই অধঃপতন ৯ইল। রোজগারে কুলায় না, চারি দিকে দেন, ব্যয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি। রাধাকান্ত ঋণাঙ্গালে জড়িত হইল। হুরেন্দ্রের বাড়ী যাতাযাত করে, কিন্তু প্রায়ই দেখা হয় না । ইরেঞ্জ নির্জনেই থাকে। বাজারে রাষ্ট, হরেত্রের সৰ্ব্বস্ব গিয়াছে। কিন্তু গাড়ী, জুড়ী, লোক, লস্কর, আসবাব, পোষাক, তাহার কোন ব্যতিক্রম হয় নাই । রাধাকান্ত কিছু বুঝিতে পারে না। রাধাকাস্তের দেনদারেন। বিশেষ পীড়াপীড়ি করিতে লাগিল। হয়েদের খাতিরে যে সকল স্থানে তাহার খাতির ছিল ও যথায় অর্থোপায় হইত, তাহ সমস্তই বৰ হইয়াছে। দেন। প্রায় ত্ৰিশ হাজার টাকা। এ অবস্থায় কি করে। একদিন কোনক্র*ে হরেজের সহিত দেখা করিল ও আপনার অবস্থা আস্কোপাস্ত বর্ণনা করিদ্র সাহায্য
