পাতা:গিরিশ গ্রন্থাবলী.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিfবশ আমাদের গহন না ও । আমি বা তোমাদের পত্র পেয়েই বাপ মাক না বলে রাতারাতি বেরিয়ে এসেছি। এ নাও—ন ও সাহেব দের দিয়ে চলে এস । ম্যাজি। ঐ স্ত্রীলোকদ্বয় কে, কি বলিতেছে ? মন্দ । সাহেব, ইনি আমার স্বামী, আর ইনি আমার ভগ্নীর স্বামী । এই না ও আমাদের গহনা নাও, এদের ছেড়ে দাও । ম্যাজি। দিমু, উহাদিগকে এ কথা বলিতে বারণ কর, ইহাতে আমাকে ঘুষ নিতে বলা হয়, তাহা হইলে উহাদের সাজা ষ্টুতে পারে। নিস্ত। সাহেব, যে সাজ হয় দাও, আমাদের প্রাণদও কর, এদের ছেড়ে দাও । যাদ । দাদা, দাদা, দেখেছ,-অতি সুবিচার ! অতি সুবিচার !! মার মতন বড় ভাজকে তাড়িয়ে দিয়েছি, স্ত্রী এসে পথে দাড়িয়েছে, অতি সুবিচার । অতি সুবিচার !! আর সাজাতে আমার ভয় নাই । মাধ। মন্দাকিনি ! বৌমা ! यां७ ।। মন্দা । ঘর ! কোথায় ! কোথায় যাব ! যেখানে তুমি, সেইখানে আমার ঘর ; যেখানে ঠাকুরপো, সেখানে নিস্তারিণীর ঘর ; আর তে আমাদের ঘর নেই। বীপের বাড়ী ছেড়ে এসেছি—আর কোথায় যাব ? যদি তোমাদের নিয়ে যায়, তা হলে আমরা পথের কাঙ্গালী—পথে পথেই ফিরবো। নিস্ত। সাহেব, দয়া কর ; যদি ওঁরা দোষী হন, আমরা নির্দোষী, আমাদের সাজা দেবেন না। সাহেব, সকলের মুখে শুনি, তোমাদের মুৰিচার ; তবে একের দোষে অন্যের সাজ কেন দেন? আর যদি নিতান্তই সাজ। দেবেন, তবে আমাদের সাজা দিয়ে এদের নিস্কৃতি দিন। সাহেব, আমরা কুলস্ত্রী, আমাদের কিছুই নাই, আমাদের স্বামীই সৰ্ব্বস্ব ; স্বামীই দেবতা, স্বামীই উপাসনা, স্বামীই १ान, बांबौहे छन, ७कभाज यांशैब्र मूर्ष চেয়ে জীবনযাত্র নির্বাহ করি । স্বামীধনে যে স্ত্রী ৰঞ্চিত, সে রাজরাণী হলেও কাঙ্গালিনী, হীনেৱ হীন দীনের দীন-জীবন্মত। সাহেব, তোমরা ঘরে বিন অপরাধে অঞ্চলদশকে এ কঠিন সাজ। দে পেন না । O ম্যাজি। তোমরা কি আমায় সাজা লইতে বল ? দোষী ছাড়ান দিলে স’জ পাইব । মন্দা। সাহেবে বা সকলি পারে, যদি এদের খালাস দিলে তোমায় সাজ পেতে হয়, আমি প্রাণ থাকৃতে এ কথা কখনও মুখে আনবে। না , কিন্তু আমাদের উপায় করুন, আমরা মাপনার চরণে প্রাণভিক্ষা চাচ্ছি—আমাদের প্ৰাণভিক্ষণ দিন । আর যদি নিতান্তই সাজ। দেবেন, তবে এদের সঙ্গে আমাদেরও সাজ৷ দিৰ ! স্বামীর কাছে থাকৃতে দিন, স্বামীর সেবা করতে. দিন, অবলাকে ভিক্ষা দিন-- বঞ্চিত করবেন না। ম্যাজি। দিম, দেখিতেছি কর্তব্যের অপেক্ষা বড় কৰ্ত্তব্য আছে। দিনু, ইছাদের কেহ জামিন হইতে পারে ? ( রঙ্গিণীর প্রবেশ ) রঙ্গি ৷ ধৰ্ম্মাবতার সেলাম, আমি জামিন । ম্যাজি । তুমি জামিন! তোমারি কথায় আমি তদারক করাইয়৷ ইহাদিগকে দোষী জানিয়া ধরিয়াছি। আমি জানিতাম যে, ইহারাই তোমার শক্র । রঙ্গি ৷ ধৰ্ম্মাবতার,আমার শত্রু আমি, আর আমার শক্ৰ নেই। তবে আমার কথা শুনে হুজুর এই বিষয় যে অনুসন্ধান করেছেন, তা আমি বুঝতে পেরেছি। আমি বুঝতে পেরেছি যে, আম হ’তে একটা সংসার উচ্ছন্ন যাচ্ছে ; দুজন নির্দোষী স্ত্রীলোক পথে দাড়িয়েছে, অধিক কি হয় জানি না—চিরদিন মুখে ললিত, কারাগারে কষ্টে হয় তো প্রাণবিয়োগ হতে পারে। ভাবছি, তগবান কি করবেন, श्रांभांग्न कि नब्रहठT ढौश्ङTांद्र खांशी করবেন ! ম্যাজি । জামিন হইয়া অন্ত খালাস করিতে পারে, কিন্তু ইহার দোষী, দও নিবারণ কিরূপে করিবে ? রদি। আমি মহারাণীর কাছে ৰাব, তার জুবি লির দিন উপস্থিত।