পাতা:গিরীশ-গ্রন্থাবলী (প্রথম ভাগ).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৮ গিরীশ-গ্রন্থাবলী । অামি ভগিনী তোমার, তরুণ। দেখ দিদি ই’ল গোধূলি বেল, আমি ভগিনী তোমার, উপবনে চল করিগে খেল । কি জ্বালা তোমার, বরুণা। যাও তুমি আমি যেতেছি পরে । মোরে দেহ দুঃখভার, তরুণ । একেল বসিয়ে কাদিবে• ঘরে ? রেখ না গোপনে জাল। বরুণ । ন লো না, ডেকেছেন মা । স’য়োন কে। আর ? তরুণ । যে ও কথা শুনে মাথার কিরে ; বরুণ । কিবা সুধা ও অামায়, ন। যা ও এখনি আসিব ফিরে – কিবা সুধfও জামায় । আগুন নেভে না নয়ননীরে । তরুণা । বুঝিয়াছি হায় !— [ তরুণার প্রস্থান। ' পাগলিনী প্রাণ, পাগলপানে ধায় । বরুণ। যাইব দেখিৰ সাধ পুরাইব, কহি সাবধান তরে, য। অাছে কপালে ঘটিবে ছাই, কহি সাবধান তরে, করি কত মানা, প্রাণ তো মানে না, স্বেচ্ছায় গরল আনি কলঙ্ক হইবে, বহিব তাই । রেখে না অত্তরে । [ বরুণার প্রস্থান । দিদি জেনে এই স্থির, দিদি জেনে এই স্থির, পাগলে দেখেছি আমি লক্ষণ কবির ; তরুণ । এখন কাদিছে বসিয়ে এক, ( তরুণার প্রবেশ । ) কবি কারো সেতো নয়, _. কোথা গেল দিদি না পাই দেখা ! কবি কারো সেতো নয়, পাগলের কাছে এক কি গেল ? বজ্র ধরে খেল করে, করি তীরে ভয় । জেনেছে আলয় স্মরণে এ ল । ধরি নারীর হৃদয়, ধরি নারীর হৃদয়, శ్రీ নট—মধ্যমান । ) দেখিয়াছি নারী-ধর ফাদ সুধাময় ; (झोग्न মধ্য ) জেনে কাহারে। সে নয়, অামি যে জালা সহি, কাহারে কহি, জেনে কাহারে সে নয়, মনমোহন নয়ন পরাণে জাগে । ফুল সনে ঘনবনে যাহার প্রণয় ; যেন সাধ ধরে, কলঙ্কে ডরে, আমিও নারী দিদি খুলিছি হৃদয় । প্রাণ মন মোহিল, ধীরে ধীরে কহিল, বরুণ । জানি লো সকলি, ভুলিতে নারি, রঞ্জিত বদনরাগে । , সে যদি না জায়, আমি তো তারি ; কিবা সঙ্গিত সরস ভাষে, জলি জলি জলি, ভুলিতে ন চাই, . প্রমদা প্রাণ মাতে, বিকাশে আশে, জলি যুক্ত, তত স্বদয়ে লুকাই ; কিবা রমণি হৃদয় ফাদ গঠিত সোহাগে। যাই যাই যাই, পুন ফিরে চাই, [ প্রস্থান । তার ধ্যান বিনা প্রাণে কিছু নাই ; , ধাই ধাই মনে প্রবোধ মানে না, সরম (iাসিয়ে করে গে। মান ।