`ሎ কেন গঞ্জ খেলে না । “আননা রহে ! আনন্দ রাহী” ! ! s ( সকলের প্রস্থান ) দ্বিতীয় অঙ্ক । চতুর্থ গর্ভাঙ্ক । মঞ্চ । ( প্রতাপ, মহিষী, নারাণ, যমুনা, কানুন । ) প্রতা । (নারাণসিংহের প্রতি) তোমার পিতা, আমার মস্তক হ’তে ছত্র নিয়ে হল দিঘাটের যুদ্ধে প্রাণ দিয়ে আমার প্রাণ বাচিয়েছিলেন, সে ঋণ পরিশোধ কৰ্বে পারি নাই ; অীর তুমি আমার নিমিত্ত মানসিংহের দাসত্ব স্বীকার করেছ, তুমি আমার সম্মুখে থেকে ; তোমার মুখ দেখলে আমার তাপিত প্রাণ শীতল হয় । কি বল্লে, যে দিন সন্ধির পত্র রওনা হলো, সেই দিন দিল্লীতে মোগল সেনা আক্রমণ করলে ? ক্ষত্ৰকুলোত্তম মহাত্মা রাণীর হাত থেকে অসি খসে গিয়েছে, রাণ বনবাসী !—এ রজপুত দস্থ্যর আর কি আছে ? তুমিও একজন রজপুত দম্ব । জামার বল নাই, তুমি এসে কোল নাও । নারা। প্রভু ! আমার আর কেউ নাই। কোল দিলেন, পদধূলি দিন ; যেন এ ঋণ শোধ দিতে পারি । প্রত। তোমার পিতার স্থায় ৫ তোমার গৌরব আরাবল্লীর প্রতি প্রস্তরে প্রতিধ্বনিত হোক । o 證 নারা। প্ৰভু প্রদত্ত এই অলি হন্তে মৃত্যু, গুরুর চরণে লহরী-মোহনের এই প্রার্থনা । গিরীশ-গ্রন্থাবলী । প্রতা । তোমার বীর বাসন পূর্ণ হোক । যমুনা, তুমি আমায় দেখতে এসেছে, তোমার মাতুল তো রাগ কৰ্ব্বেন না ? হলদিঘাটের যুদ্ধে তোমার মাতুল অামার বক্ষে ভল্ল লক্ষ্য করেছেন, তোমার পিত বুক পেতে নিয়েছেন, সে ঋণ যতদূর পারি পরিশোধ করি, ভোমার পিতৃ-সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে পারলেম’ না ; কিন্তু নব অর্জিত ঘোলা সহরে তুমি অধিশ্বরী হও, "অন্ত আশীৰ্ব্বাদ কি কৰ্ব্বে, তোমার পিতার দ্যায় তোমার পুত্র হউক । যমু। আর আশীৰ্ব্বাদ করুন যে, সুর্য্যংশীয় রাণার কার্য্যে প্রাণদানে পরলোক গমন করে । প্রতা। মা, তুমি বীরাঙ্গন ! বীরপ্রসবিনী হও । মা কামুন, তুমি তোমার দিদির কাছে থেকে । আশীৰ্ব্বাদ করি, উপযুক্ত স্বামী ઉં, উপযুক্ত পুত্র হউক, অধিক আর কি বল বো। f (নেপথ্যে) “আনন্দ রহে ! আনন্দ রহো” !! প্রত। কেউ ওকে ডাক ; দেখ, যদি কোন রকমে আনতে পার , ও অামায় “আনন্দ রহো !” শোনায় কেন ? প্রিয়ে ! তোমায় কিছু বলবে না, তোমার সঙ্গে কথা ফুরোবার নয় ; তোমার মুখখানি আমার হৃদয়ে ফুরবার নয়, ও মুখখানি আমি রণে বনে অন্তরের অন্তরে দেখেছি, ভোজনে দেখেছি, মুখশয্যায় শয়নে দেখেছি, এখনো দেখুচি ; প্রিয়ে ! কথা ফুরবার নয় । রাণী। নাথ ! এমনি করে চুল কেটে আমার দাসী করে ? প্ৰতা । প্রিয়ে! তবু জটা মুড়াতে পারলেম না। আল্পীর স্বজন, আমি যারে যারে দেখি নি, জামার সন্মুখ দিয়ে যাওঁ
