? ૨૪૨ প্রথম অঙ্ক । প্রথম গর্ভাঙ্ক । রাজসভা । ( রাজা, রায় রামানন্দ ও সভাসদগণ । ) রাজা। রায় রামাননা ! তুমি প্রভুর কৃপার o পাত্র—তুমি আমায় কৃপা কর, প্ৰভু বৃন্দাবনে গিয়াছেন, প্রভুর বিরহে প্রাণ অতিশয় কাতর হ’য়েছে, আমার জীবন শূন্তজ্ঞান হচ্ছে—তুমি কোন উপায় কর । রামা । মহারাজ ! যে প্রভুর নিমি ও ব্যাকুল প্রভু তার নিমিত্ত ব্যাকুল ; আপনি অচিরে তার দশন পাবেন । রাজা । আমি ভক্তবৃন্দের নিকট শুনেছি যে তুমি প্রভুকে নিয়ে আনন্দ কর, তোমার দ্বারায় নট নটীরা শিক্ষিত হ’য়ে নিত্যই গৌরাঙ্গ-লীলা তোমায় প্রদর্শন ক’রে, কৃপা ক’রে যদি তুমি আমায় সে অভিনয় দেখা ও ;—অার এক অামার পরম খেদ প্রভুর নগর মুৰ্বি দেখি নাই, কি উপায়ে অামি সে নটবর মূৰ্ত্তি দেখতে পাৰে। ? রামা মহারাজ ! বfাকুলতাই একমাত্র উপায় । রাজা । প্রভূ যীরে তীরে বলেন “আমায় দাসত্বে মুক্তি দাও,"এরই বা কারণ কি ? রাম । বুনাবনে কৃষ্ণ আদর্শনে শ্রীরাধা এত ব্যাকুল হতেন যে, তার শরীরে সম্পূর্ণ श्रृङ्का गभ१ झुट्टे श्'८उ| ;-७द्दे दिब्रह* o বিকার দর্শনে শ্ৰীকৃষ্ণ শ্ৰীমতীকে বললেন, “রাধে ! তোমার প্রেমে আমি চিরঞ্চণী গিরীশ-গ্রস্থাবলী । রইলেম ;–কিসে তোমার ঋণ পরিশোধ হবে ?” ত্রীরাধা উত্তর করলেন, “আমি দাসী আমার নিকট ঋণ কি ?” শ্ৰীকৃষ্ণ বারবার কাতর হয়ে বললেন, "fপ্রয়ে! আমায় কৃপা কর,কিসে তোমার ঋণমুক্ত হবে বল ?” রাধা বল্লেন,— “প্ৰাণেশ্বর! যদি দাসীরে করুণা করলেন তবে,এই ভিক্ষা দিন যে,অধম জীব যেন তোমার কৃপালাভ করে।” ভগবান তুষ্ট হয়ে বললেন, “তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে, আমি দ্বারে দ্বারে প্রেম : বিতরণ করবো, জীবকে উদ্ধার ক’রে তোমার ঋণ হতে মুক্ত হব।” বৃন্দে র্যঙ্গ করে বললেন যে “কপট-চুড়ামণি ! তোমার কথায় প্রত্যয় কি ? नि স্বহস্তে খৎ লিখে দাও, তবেই মানি এ কথায় মুরলীমোহন তার প্রেমের মহাজন শ্রীমতীকে দাস থৎ লিখে দিলেন । সখিগণ সে থতে সাক্ষ্য ; তাই প্রভু গৌরবেশে দ্বারে দ্বারে হরিনাম বিতরণ করচ্ছেন ।
- রাজা। রায় ! স্যামমুন্দরের এ গৌর বেশ
কেন ? রামা । প্রেমবিকাব দর্শনে শ্ৰীকৃষ্ণু শ্ৰীমতীকে বলেন, “রাধে! তোমার দ্যায় আমি এক জন্ম বিরহে ব্যথিত হ’য়ে রোদন করবো, তোমার স্তায় ধরাসনে লুষ্ঠিত হৰ, প্রেমে তোমার কি অপূৰ্ব্ব মুখ অামি এক জীবন আস্বাদন করবো।“ কিশোরী উৎকণ্ঠ হ’য়ে বললেন, “তুমি রোদন করবে; তোমার কোমল কায় ধূলায় ধূসরিত হবে, এ আমার সহ হবে না।” ভগবান উত্তর করেন, “বিরহ জনিত মুখ তুমি কি একাই অনুভব
