পাতা:গিরীশ গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . . . . . M. : * ' ' ' ' . . . - •. t . . - - - . . . . . . . . . - - - , r" - - -, ..." . -- . . . . . ...'. I - I . . . . - ' - - - . . " . . . . . লজ্জা দেখিতেছ, তাহাকি বলিৰ? সৌদামিনী বুদ্ধিभडौं, जरुगरे क्झिाइ । (छाशः : बाच्न बान्न ডাকে, ইচ্ছা করে, বলে—“কেন এ অভাগিনীর । সৰ্ব্বনাশ কর।” কিন্তু অবল, ভয়ে বলিতে পারে न' । , , । গভীর রজনী, আকাশে চন্দ্ৰ হাসিতেছে; এমন সময় বিশ্বনাথ সৌদামিনীর বাটতে উপস্থিত, বিশেষ কাৰ্য্য। দাসী সৌদামিনীর শয়নগৃহে লইয়া গেল, বিশ্বনাথ দাসীকে বাহিরে যাইতে বলিলেন । সৌদামিনী উঠিয়া বসিয়াছেন, কিন্তু ঘুমের ঘোর ভাঙ্গে নাই, কত রাত্রি জানেন না , অবশুই বিশেষ কাৰ্য্য ভাবিলেন। বিশ্বনাথ একবার বাহিরে গিয়া কে কোথায় আছে দেখিলেন, তাহ সৌদামিনী বুঝেন নাই। অকস্মাৎ সৌদামিনীর পদপ্রান্তে পড়িয়া বলিলেন,—“আমায় দয়া কর!” সৌদামিনী কিছুই বলিলেন না, নীরবে বাহিরে যাইয়া নীরদেম নিকট বসিলেন। বিশ্বনাথ চতুর, চলিয়া গেলেন। অনেক ভাবিয়া গেলেন। কাৰ্য্যসিদ্ধি হইল না, ঠিক্‌ বিপরীত হইল। এক সিদ্ধান্তের বিপরীত সিদ্ধান্ত কত ভাবনায় হয়, পাঠক ভাবুন। আমরা নীরদের কাছে যাই । পর-চর্চা-প্রিয় লোকের কুৎসার অভাব নাই। বিশ্বনাথ বার বার আইসেকেন ? ইহা যে জিজ্ঞাস্য, তাহা নীরদ শুনিয়াছে। আজি মাকে জিজ্ঞাসা করিল,—“মা এত রাত্রে বিশ্বনাথ বাবু কেন আসিয়াছিলেন ?” - সীে। তুমি কি তা জানিতে পারিয়াছ ? আমি তোমায় সেই কথাই বলিতে আসিয়াছি। নী। মা, এ কি মা ? সেী । এ কি ? আর বলিব না, নীরদ, আমার বোধ হয়, যদি পুরুষের সহিত আমার না সাক্ষাৎ হইত, আমি দুঃখিনী হইতাম না । হাবার ঘরে গেলেন, হাব নিদ্রিত। সৌদামিনী । তাহাকে জাগাইলেন। হাবা বলিল,-“ম, তুমি ত আমায় একৃল গুয়াও ; আজ কেন দেখিতে আসিয়াছ ? আমি আর ভয় পাই না।” সৌদামিনী বললেন –“হাব, ওঠ আমার বিপদ,স্বামী নাই, তুই সন্তান, তোরে না বলিয়া কারে বলিব ?” হাবা বোকা ছেলে, পিট পিটু করিয়া চাহিল। । সেই শিশু সন্তানের চাহনীতে বহু দিন পরে সৌদামিনী মুখী হইলেন। । n tحه “ম, তুমি দাদাকে বল না, দাদার গায়ে বেশী । S89 জোর, আমার গায়ে তত্ত জোর মাই। চল মা, আমরা । পালাই।” সৌদামিনীর মনের দুঃখ বলিবার স্থান ছিল না, এই নিমিত্ত এই শিশু সন্তানকে বলিতে গিয়াছিলেন, এ অবস্থা মনুষ্যের হয়। কিন্তু ছেলেটা বলিল, পালাই। কেন পলাইব ? হাব বলিয়াছে’ পালাই, পলাইবার কোন কারণ নাই। কিন্তু হাব আমায় বলিল,--“ম, চল পালাই, তোর আর বিশ্বনাথ বাবুর সঙ্গে দেখার দরকার নাই। আমি । জানি, আর তোর কিছু বিপদ নাই, সে এক একবার আদর করিয়া চায়, আমার বোধ হয়, আমায় মরতে বলে।” । - হাব, হাবা নয়, হাবা যেন উন্মাদ ! সেী। হাবা, ঘুমে। হা। না মা, চল, আমরা দু’জনে পালাই। দাদা যায় যাবে, নয় আমরা দু’জনে পালাই। পূৰ্ব্বদিকে স্বর্ণকাস্তি মেঘ দর্শন দিল। সরোবরে নিৰ্ম্মল হিল্লোল বহিতে লাগিল। কলনাদে বালকুল ’মা’ বলিয়া ডাকিল। হাবাও ডাকিল—-“ম, কই 瓦阿|” সৌদামিনী হাবাকে অনেক বুঝাইলেন, হাবা বুঝিল না। কি জ্ঞান হাবা পাইয়াছিল জানি না ; কিন্তু কখন কখন সেই জ্ঞান মনুষ্যহৃদয়ে উদয় হয়, কারণ খুজিলে পাওয়া যায় না, কিন্তু সেট সত্য। সৌদামিনী হাবাকে বুঝাইয়া রাখিলেন । যিনি অস্বীকার করুন, পুরুষমাত্রেই জানেন যে, তিনি রমণীপ্রিয়। বিশ্বনাথের অভিলাষ পূর্ণ হয় । নাই। তিনি বুঝেন নাই যে, তিনি সৌদামিনীর উপযুক্ত কিছুতেই নহেন। “কি, এত স্পৰ্দ্ধা ! আমাকে বিমুখ করে ।” তাহার রোধের উদ হইল । M + - অবিলম্বে সৌদামিনী সৰ্ব্বস্বাস্ত হইল। হাব । বলিল,-“এখন মা চল।” - সৌদামিনী হাবাকে কোলে লইতে চাহিলেন, ভারি ছেলে কোলে করিতে পারিলেন না । হাব । বলিল, “ম, তুই কি আমায় কোলে করিতে পারবি? এখন তোকে আমি কোলে করিয়া পথে लहेम्नां शांझेत ।” সেী। কোথায় যাবি হাবা ? হা। কুটীরে। - সৌদামিনী অশ্রু সংবরণের চেষ্টা করিতেছিলেন, হাৰা বলিল,—“কেন মা, কঁাদ ? খুব কাদ, কেঁদে চল বাই।"