পাতা:গিরীশ গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - . . . " ،اء ..! . . . . . . ." - : - - - n . . ! - : | | | * * * • l . - \6. . ... " y উড্ডীয়মান হষ্টন বা না হউন, মথুরায় অষ্টম গৰ্ভজাত পুত্র নিহত হইল না। কংস অষ্টমগর্ভসস্তৃত কালস্বরূপ পুত্রসস্তান নিহত করিয়া তৃপ্তি লাভ করিলেন না। আপাততঃ মথুরায় এই। সন্তানপ্রসবিতা গোয়ালিনী সময়প্রভাবে নিদ্রাভিভূত ছিলেন, দেখিলেন, কৃষ্ণবর্ণ সন্তান স্তনাঙ্গুসন্ধান করিতেছে। সন্তান কঁদে না । ঘোর দুৰ্য্যোগে যমুনা পার হইয়া আসিয়াছে। মধ্যে যমুনাগর্ভ হইতে মুমুঘু হইয়া উঠিয়াছে। আমরা বর্ণনায় ভুলিয়াছি, বসুদেবের হস্ত হইতে যমুনায় পতিত হইয়াছিল। এখন নন্দালয়ে শিশু সন্তান স্তনামুসন্ধান করিতেছে। যশোমতী পুত্র সন্তানের মুখ সন্দর্শন করিলেন । আহা ! এ পুত্র কি গোয়ালিনী-গর্ভে জন্মিবার সম্ভব ? রাজবংশ-স্রোত-প্রবাহে পুত্র জন্মগ্রহণ করিয়াছে। অতি ললিত কলেবর, অতি প্রফুল্লংদন, পদ্মপলাশলোচন পুত্র, যশোদা বক্ষে ধারণ করিলেন । পিতামাতা পরিত্যক্ত পুত্র মাত পাইল । বিহ্বলা যশোদার বক্ষে মাতৃস্নেহ অনুভব করিয়া স্তনপান করিতে লাগিল। যশোদা মুগ্ধ, দুৰ্দ্দিনজাত পুত্র সন্তানও মুগ্ধ, যশোদার স্নেহময় অঙ্কে প্রতিপালিত হইতে লাগিল। যশোদার বাৰ্দ্ধক্যের সস্তান ; যশোদা একটা দীপ জালেন, সন্তানকে দেখেন, তৃপ্ত হন না ; দুইটী দীপ জালেন, সন্তানকে দেখেন, তৃপ্ত হন না, তিনটী, চারিট, গোয়ালিনী পাঁচটা দীপ জালিয়া দেখেন, রজনীযোগে নিত্যই দেখেন, সন্তান কেমন আছে ; সেই প্রফুল্লপদ্মপলাশলোচন পুত্র, অতি দীন সন্তান, যশোদার কোলে নিশ্চিন্ত সন্তান, মাতা বই আর জানে না ; যশোদার মুখপানে চায়, দীপালোকে যশোদা দেখেন, যশোদার মন ভরে না। এমন কোটি আলোকে, কোটি সহস্র লোচন হইলে, ভাবেন বুঝি সন্তানের রূপ দেখিতে সমর্থ হইবেন ; কেন না, যতই দেখেন সস্তানের আকর্ষণকর রূপ দ্বিগুণতর বৃদ্ধি হয় । যশোদা গোপাল পালন করিতে লাগিলেন। গোপাল ভিন্ন গোয়ালিনী উচ্চ নাম জানেন না। গোয়ালার সন্তান গো-রক্ষা করিবে, এই যশোদার আশীৰ্ব্বাদ। কিন্তু আর একটী নাম যশোদার মনে অঙ্কুরিত হইতে লাগিল। গুমিজ্যোতি মণি আছে, তাহার নাম নীলমণি, যশোদা নীলমণি নাম দিলেন। আদরে লালিত সন্তান বড়ই झूठे। नैौणभ१ि दफ़्दै छूहै, किडु मांउ दाउँौठ জানে না, মাই তার সর্বস্ব। পুত্রের রূপে নন্দ । ১৪৭ मूर्ध, শোনার -- কোল হইতে কাড়িঃ शहेब्र रुक्र শীতল করেন । নীলমণি পিতা-মাতার गर्सद। নীলমণিও মাতাপিত ভিন্ন জানে না। যে না মাতাপিতার অঙ্কে প্রেমশিক্ষা করি । তাহার দেহ বৃথা, জন্ম বৃথা, সে মনুষ্য না হইয়৷ কুকুর হইলে ক্ষতি ছিল না। যার মার মুখ না মনে পড়ে, তার পৃথিবীর অতি অল্প ভগ্নাংশই মনে পড়ে। মুক্তযোগী শুকদেব মাতার আশ্রমে মায়াখণ্ডন করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। যিনি মা চেনেন নাই, তিনি বিশ্বে চেতন পদার্থ কিরূপে স্থাপিত, মহাবিজ্ঞান জানিয়াও জানেন না। কিরূপে বিশ্ব থাকিবে, কিরূপে বিশ্ব চলিতেছে, ইহা মাতৃস্নেহ অনুভব ব্যতীত উপলদ্ধি করা অসম্ভব এবং তাহার বিপরীতই. সম্ভব। কিন্তু যিনি মাতৃপ্রেম পান; প্রেম র্তাহার বাল্যাভ্যাসিত, প্রেমের ক্রিয় তাহার অতি সহজ। নীলমণি, রাখাল-বালককে পরিপ্লাবিত মাতৃমেহের অংশ দিল। সে স্নেহের অংশই সম্পূর্ণ। এটা কবিতা লেখা নয়, প্রবন্ধ লেখা নয়, একবার মাতৃস্নেহ অনুভব করিলেই অনুভূত হইবে। আমি এত দোষী, তবু দোষী নয়, এ স্নেহের অংশ নাই, খণ্ড নাই, সম্পূর্ণ। ঈশ্বরের ন্যায় সম্পূর্ণ। নীলমণি রাখালকে সেই মাতৃস্নেহ দিল। ইচ্ছায় নহে, তাহার ক্ষুদ্র দেহে ধরে না,—ব্যাসদেব বলেন ঈশ্বর, তবু তাহার ক্ষুদ্র দেহে ধরে না, রাখালকে মতৃস্নেহ দিল। রাখাল কানাই বই জানে না, কানাই বই গুনে না, কানাই না মিষ্ট বলিলে বনফল মিষ্ট লাগে না। দীন কানাই, কারাগারে পরিত্যক্ত কানাই, দীন রাখালসহবাসে দীনের বেদন বুঝিল। জীবনে আর ভূলিল না। দীন তাহার সর্বস্ব, দীনকে মাতৃস্নেহ দিয়াছে ; অতি দীন, দীনের রক্ষক দীননাথ। এই কানাইকে আমরা মথুরাবাসী দেখি। কংস । তাহার মাতুল। কংসের অনেক কারণ ছিল, যাহাতে তাহাকে বধ করে। কারণ, পাঠকঅমুসন্ধান করুন। কল্পিত কারণ বলিলেও আমাদের প্রবন্ধের ক্ষতি নাই, কিন্তু কল্পিত কারণ বলিলেও ইতিহাস-সঙ্গত বলিতে হইবে। এ স্থলে বিস্তার করিব না,সংক্ষেপে বলি। যদি কোন রাজার ভাগিনেয়ের প্রতি বিদ্বেষ থাকে এবং তাছার বধ-সাধনের নিমিত্ত অপর চেষ্টা বিফল হয়, যেরূপ পূতনা প্রভৃতির প্রেরণ বিফল হইয়াছিল, কৌশলে,তাহাকে তাহার গৃহে লইয়া বধ করা যুক্তিসঙ্গত বলিয়া অনুমিতু করা অসঙ্গত নয়, মনুষ্য প্রকৃতি-সঙ্গত, তাহা ইতিহাসে হইয়াছে ।