Ꮌ8bᎹ এবং হইতেছে। জাত সম্বন্ধের পরিবর্তন করিতে হইলে, যথা মাতুল তাহার ভাগিনেয়ের সম্বন্ধ পরিত্যাগ করিতে হইলে, লোক-ধৰ্ম্ম-অমুসারী হইয়া যাহাতে লোকে তাগকে দুষ্ট না বলে, এইরূপ করাই সম্ভব ; মাতুল বলিয়। দৃষ্টান্ত দিতেছি। ইতিহাসে দেখিতে পাই, যে স্থলে স্বাভাবিক সম্বন্ধ, সেই স্থলেই লোকভয় । যদি বিস্তার করিবার আবগুক হয়,অন্ত প্রবন্ধে বলিব। হিন্দুস্থানে মহম্মদীয় রাজ্য তাহার জাজ্জ্বল্য উদাহরণ। লোক ধৰ্ম্ম স্থাপিত রাখিয়া, তাহার ভাগিনেয়ের প্রাণবধের উপায় করিলেন। সরলপ্রাণ ভাগিনেয় প্রেম বিতরণকৰ্ত্তা ভাগিনেয়। প্রেমই জানে, লোকধৰ্ম্ম জানে না , প্রেমাভাব সহজেই বুঝিল, সদ্যোজাত বালক বুঝে। লোক কি বলিবে ভাবিল না, কংসকে বধ করিল। তৎকালে মথুরার অবস্থা অতি মন্দ। ংসের ভয়-অতি দুরাত্মা, সেই কারণেই ভয়। ংস জানিত, তাহার বধকৰ্ত্তা জন্মিবে, এই আশঙ্কায় শিশুবধ হইতেছিল। ঐতিহাসিক পাঠক, হিরড, সাময়িক যেরূপ বালকহত্যা কল্পনা করুন, মথুরায় বালকবধ হইতেছিল। কংসবধে নিবারণ হইল। যে নিবারণ করিল, অতি জড় নিয়মে— প্রজার প্রাণ আকৃষ্ট করা অতি অসম্ভব। কৃষ্ণ সকলের প্রাণ আকৃষ্ট করিলেন। আমাদের নীলমণির নাম কৃষ্ণ । কিন্তু সেই কৃষ্ণ মাতৃপ্রেমে এখনও পরিপূর্ণ। এখনও তাহার বিতরণ করিলে ক্ষয় হয় না, সমুদ্র হইতে বিন্দু বিতরণ তাহার দৃষ্টান্ত নয়। কারণ, সমুদ্র হইতে, বিযুক্ত করিলে অন্ততঃ বিন্দু গেল। এ পূর্ণ বিতরণ, পূর্ণ বিতরণে ক্ষয় নাই, পূর্ণ থাকে। মাতৃপ্ৰেমপালিত গোপাল, প্রজার সন্তান রক্ষা করিয়া প্রেম বিলাইয়া দিলেন। প্রজার বুদ্ধা সম্ভব, গোপাল রাজা হইলেই ভাল হয়, কিন্তু গোপাল রাজা নয়, উগ্ৰসেন রাজা। যে সমস্ত পরিবার কংস-তাড়িত হইয়াছিল, মথুরায় তাহাদেরই পুনরাধিপত্য হইল। গোপাল রাজা হইলেন না কেন ? প্রেমময় ব্রজ ছাড়িয়া আসিয়া গোপাল রাজা হইলেন না কেন ? রাধিকার প্রেম এক প্রসঙ্গে বিকশিত হয় না, এই নিমিত্তই বলি নাই। রাধিকার প্রেমপ্লাবিত ব্ৰজ গিরিশ-গ্রন্থাবলী দিন, গোপাল দীননাথ, এ কারণ ব্যতীত অন্ত কারণে যদি তিনি বুঝান, তিনি বুঝিতে পরিবেন না। গোপাল বড় ভাল লোক নন। জিতেন্দ্ৰিয়, সত্যপরায়ণ রাজা যুধিষ্ঠিরকে মিথ্যাম্বারায় গুরুহত্য ও ব্রহ্মহত্যার উপদেশ দেন। সতী বৃন্দাবলীর ধৰ্ম্ম নষ্ট করেন। গোপাল ভাল লোক নন ; কিন্তু গোপাল দীননাথ, এ কথার অন্তথা করা যায় না। কেবল তাঁহা নয়, গোপালকে আর কোনরূপে অমুভব করা যায় না। গোপাল সকল দুষ্কৰ্ম্মশালী, কেবল দীনের অনিষ্টকারী নন। আমরা অপর প্রবন্ধে গোপালের রাজনৈতিক আচরণ প্রচার করিব। বৃন্দাবনের প্রেমাভ্যাস অপর প্রবন্ধে বিকাশ করিব । কিন্তু গোপালের আচরণে দীননাথ ব্যতীত আর কিছুই অমরা বুঝি নাই। অতি নিষ্ঠুর, অতি কুর, অতি কপট, অতি সকল কথাই বলিতে পারিব, কিন্তু দীননাথ নয় বলিতে পারিব না। দীনের দাস, এ কথায় তাহার গুণের ব্যাখ্যা । তাহার জীবনে সকলকে পরিত্যাগ করিতে দেখিয়াছি, কেবল দীনকে পরিত্যাগ করেন নাই, এমন নহে – দীনের দাসত্ব করিতে দেখিয়াছি। দীননাথ বা নিষ্কাম একই কথা । পৃষ্ঠাব্যাপী তর্ক ইহার মীমাংসা । আমরা তর্কে অপ্রস্তুত নই। কিন্তু হিন্দুপ্রাণ দীননাথ বা নিষ্কাম সহজেই বুঝিবে, এই বিশ্বাসে ব্যাখ্যা করিলাম না। কৃষ্ণ কে ? ইহার উত্তর ব্যাসদেব আঠার পর্বে দিয়াছেন। তাহার সার মৰ্ম্ম এই– কৃষ্ণ দীননাথ ! ফুলের হার। بسته به === ফুল লইয়া সকলে খেলে, বাল্যকালে খেলিয়াছি ; দোলায় কুলিতে দুলিতে মনোবিকাশী মাতার প্রেমময়ী হাসি ভুলিয়া, রাঙা ফুলটা ধরিতে যত্ন করিয়াছি ; ফুলও দুলিতে চুলিতে হাসিতে হাসিতে কত মত কথা কহিয়াছে ; দোলে, আসে, হালে-কুঞ্জে ফাষা শৈশবকালে বুধিয়াছি; সে পরিত্যাগ করিয়া গোপাল রাজা হইল না কেন ? চাওঁখন জানি না এখন শুনি না, এখন ভুলিয়া উগ্রসেন কি প্রতিবাদী ছিল ? না, উগ্রসেন অতি -টয়াছি। ক্রুমে मातृत्र কোল, দোলার দোল দুর্বল। উগ্রসেন রাজা হইবে না, গোপালই উগ্র- কুরাইল, গা-খেল, ধুলায় নৃত্য, ধুল মাধির প্রাণ সেনকে রাজা করিল। কেন ? যিনি যত কারণ লাইয়া,ধূলি ফুর্তি সহবাসীর সহিত প্রাণের
