৮২
ও জলের রানী,
ঘাটে বাঁধা একশো ডিঙি— জোয়ার আসে থেমে,
বাতাস ওঠে দখিন-মুখে। ও জলের রানী,
ও তোর ঢেউয়ের নাচন নেচে দে—
ঢেউগুলো সব লুটিয়ে পড়ুক বাঁশির সুরে কালো-ফণী।
৮৩
ভয় নেই যে তোদের নেই রে ভয়,
যা চলে সব অভয়-মনে— আকাশে ওই উঠেছে শুকতারা।
দখিন হাওয়ায় পাল তুলে দে, পাল তুলে দে—
সেই হাওয়াতে উড়ছে আমার মন।
ওই শুকতারাতে রেখে দিলেম দৃষ্টি আমার—
ভয় কিছু নেই, ভয় কিছু নেই।
৮৪
ঝাঁকড়া চুলের মেয়ের কথা কাউকে বলি নি,
কোন্ দেশে যে চলে গেছে সে চঞ্চলিনী।
সঙ্গী ছিল কুকুর কালু, বেশ ছিল তার আলুথালু
আপনা-’পরে অনাদরে ধুলায় মলিনী।
হুটোপাটি ঝগড়াঝাটি ছিল নিষ্কারণেই।
দিঘির জলে গাছের ডালে গতি ক্ষণে-ক্ষণেই।
পাগলামি তার কানায় কানায় খেয়াল দিয়ে খেলা বানায়,
উচ্চহাসে কলভাষে কল’কলিনী।
দেখা হলে যখন-তখন বিনা অপরাধে
মুখভঙ্গী করত আমায় অপমানের ছাঁদে।
শাসন করতে যেমন ছুটি হঠাৎ দেখি ধুলায় লুটি
কাজল আঁখি চোখের জলে ছল’ছলিনী।