পাতা:গীতবিতান.djvu/১১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় । ৯৮১ ...রাজপুত মহিলাদের চিতাপ্রবেশের যে একটা দৃপ্ত আছে, তাহাতে পূর্বে আমি গদ্যে একট। বক্তৃত। রচনা করিয়া দিয়া- . ছিলাম। যখন এই স্থানটা পড়িয়া প্রফ দেখা হইতেছিল, তখন । রবীন্দ্রনাথ পাশের ঘরে পড়াশুনা বন্ধ করিয়া চুপ করিয়া বসিয়া বসিয়া শুনিতেছিলেন । গদ্য-রচনাটি এখানে একেবারেই খাপ খায় নাই বুঝিয়া, কিশোর রবি একেবারে আমাদের ঘরে আসিয়া । হাজির । তিনি বলিলেন– এখানে পদ্যরচনা ছাড়া কিছুতেই জোর বাধিতে পারে না। প্রস্তাবটা আমি উপেক্ষা করিতে পারিলাম না— কারণ, প্রথম হইতেই আমারও মনটা কেমন খুং-খুৎ করিতেছিল। কিন্তু এখন আর সময় কৈ ? আমি সময়াভাবের আপত্তি উত্থাপন করিলে, রবীন্দ্রনাথ সেই বক্তৃতাটির পরিবর্তে একটা গান রচনা করিয়া দিবার ভার লইলেন, এবং তখনই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই "জল জল চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ” এই গানটি রচনা করিয়া আনিয়া, আমাদিগকে চমৎকৃত করিয়া দিলেন । —জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি ( ১৩২৬ ) পৃ ১৪৭ হৃদয়ে রাখো গো, দেবী, চরণ তোমার ॥ ইহার ভাব ও ভাষা אן רטאר অনেকাংশে বিহারীলাল চক্রবর্তীর “সারদামঙ্গল’ ( ১২৮৬ ) কাব্য হইতে গৃহীত, উক্ত গ্রন্থের ১২৭৭ সালে রচনা আরম্ভ ও ১২৮১ সালে ‘আর্য্যদর্শন পত্রে আংশিক প্রকাশ হয়। প্রথম হইতেই এই গানটি ‘বাল্মীকি-প্রতিভা’র শেষে বরদাত্রী সরস্বতীর ভাষণের অব্যবহিত পূর্বে বাল্মীকি-কর্তৃক উদ্‌গীত বাণীবন্দনারূপে সন্নিবিষ্ট ছিল। 'গান’ গ্রন্থের প্রথম প্রকাশকালে ( সেপ্টেম্বর ১৯০৮) ইহা ‘বাল্মীকিপ্রতিভা’ হইতে বর্জিত হইয়াছে। ৭৬৮-৭৫ । ৩-১৯ -সংখ্যক গানগুলি ‘ভগ্নহৃদয়’ ( ১২৮৮ বঙ্গাব্দ ) নাট্যকাব্যের অন্তর্গত। ‘রবিচ্ছায়া’য় অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বর তালের উল্লেখ -সহ, সংকলিত আছে। কয়েকটি গান ( ৬টি ) যে ভগ্নহৃদয়েরই নানা অংশ বা অংশের রূপাস্তর তাহ নূতন আবিষ্কার ; এ-কয়টি গীতবিতানের ১৩৭৬-পূর্ব সংস্করণে প্রেম ও প্রকৃতি অধ্যায়ে (বর্তমান