পাতা:গীতবিতান.djvu/১১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鼎 P,+ গীতবিতান بيe \o a < পুনশ্চ ‘জীবনস্থতি’র পাণ্ডুলিপিতে— শুক্লপক্ষের কত নিস্তব্ধ রাত্রে আমি সেই নদীর দিকের প্রকাও ছাতটাতে একলা ঘুরিয়া বেড়াইয়াছি। এরূপ একটা রাত্রে আমি যেমন-খুশি ভাঙা ছন্দে একটা গান তৈরি করিয়াছিলাম— তাহার প্রথম চারটে লাইন উদদ্ভুত করিতেছি । নীরব রজনী দেখো মগ্ন জোছনায়, ধীরে ধীরে অতি ধীরে গাও গো ! ঘুমঘোরভরা গান বিভাবরী গায়, রজনীর কণ্ঠ সাথে মুকণ্ঠ মিলাও গো!** ইহার বাকি অংশ পরে ভদ্র ছন্দে বাধিয়া পরিবর্তিত করিয়া তখনকার গানের বহিতে [ "রবিচ্ছায়া’ ] ছাপাইয়াছিলাম— কিন্তু সেই পরিবর্তনের মধ্যে সেই সাবরমতী নদীতীরের, সেই ক্ষিপ্ত বালকের নিদ্রাহারা গ্রীষ্মরজনীর, কিছুই ছিল না । ‘বলি ও আমার গোলাপবালা’ গানটা এমনি আর এক রাত্রে লিখিয়া বেহাগ স্বরে বসাইয়া গুন গুন করিয়া গাহিয়া বেড়াইতেছিলাম। 'গুন নলিনী, খোলো গো আঁখি ‘আধার শাখা উজল করি প্রভৃতি আমার ছেলে বেলাকার অনেকগুলি গান এইখানেই লেখা ।

  1. —জীবনস্মৃতি ( প্রচল সংস্করণ ) । গ্রন্থপরিচয়

‘নীরব রজনী দেখো মগ্ন জোছনায় রবীন্দ্রনাথের প্রথম স্বাধীন রচনা। এটি কবির প্রথম গীতিগ্রন্থ ‘রবিচ্ছায়া’র প্রথম গান বটে ( গীতবিতানে সংকলিত পাঠ), কিন্তু বলা যায় এ গান সে গান নয় এবং ‘স্বরলিপি-গীতিমালা’য় ইহার ষে স্বর লিপিবদ্ধ তাহাও জ্যোতিরিন্দ্রনাথের রচনা। এই প্রসঙ্গে বলা উচিত যে, কবির উল্লিখিত নীরব রজনী দেখো’ ও ‘আঁধার শাখা উজল করি’ গান ছুটি ভগ্নহৃদয়’ ( ১২৮৮ সাল ) কাব্যে এবং ‘বলি, ও আমার গোলাপবালা ও “গুন নলিনী, খোলো গো আঁখি শৈশবসঙ্গীত’ (১২৯১ সাল) কাব্যে প্রথম সংকলিত হয়। তাহা ছাড়া ১২৮৭ সালের ‘ভারতী’ পত্রে ভগ্নহৃদয়’এর প্রথম ছয়

    • অব্যবহিত পরে অতিরিক্ত ও ছত্র ভগ্নহৃদয়’পাণ্ডুলিপিতে গ্রন্থে, তথা ভারতী পত্রে। রবিচ্ছায়ায় বর্জিত। রবীন্দ্র-স্বর হারাইলেও, কথা হয়তো হারায় নাই ।