পাতা:গীতবিতান.djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পূজা
১২৭

তব জীবনের আলোতে জীবনপ্রদীপ জ্বালি
হে পূজারি, আজ নিভৃতে সাজাব আমার থালি।
যেথা নিখিলের সাধনা পূজালোক করে রচনা
সেথায় আমিও ধরিব একটি জ্যোতির রেখা॥

৩০১

ভক্ত করিছে প্রভুর চরণে জীবনসমর্পণ—
ওরে দীন, তুই জোড়কর করি কর্ তাহা দরশন॥
মিলনের ধারা পড়িতেছে ঝরি, বহিয়া যেতেছে অমৃতলহরী,
ভূতলে মাথাটি রাখিয়া লহো রে শুভাশিস্-বরিষন॥
ওই-যে আলোক পড়েছে তাঁহার উদার ললাটদেশে,
সেথা হতে তারি একটি রশ্মি পড়ুক মাথায় এসে।
চারি দিকে তাঁর শান্তিসাগর স্থির হয়ে আছে ভরি চরাচর—
ক্ষণকাল-তরে দাঁড়াও রে তীরে, শান্ত করো রে মন॥

৩০২

এসেছে সকলে কত আশে দেখো চেয়ে—
হে প্রাণেশ, ডাকে সবে ওই তোমারে॥
এসো হে মাঝে এসো, কাছে এসো,
তোমায় ঘিরিব চারি ধারে॥
উৎসবে মাতিব হে তোমায় লয়ে,
ডুবিব আনন্দ-পারাবারে॥

৩০৩

ধ্বনিল আহ্বান মধুর গভীর প্রভাত-অম্বর-মাঝে,
দিকে দিগন্তরে ভুবনমন্দিরে শান্তিসঙ্গীত বাজে॥
হেরো গো অন্তরে অরূপসুন্দরে, নিখিল সংসারে পরমবন্ধুরে,
এসো আনন্দিত মিলন-অঙ্গনে শোভন মঙ্গল সাজে॥