কেবল আঁখি দিয়ে আঁখির সুধা পিয়ে
হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব—
আঁধারে মিশে গেছে আর সব।
তাহাতে এ জগতে ক্ষতি কার
নামাতে পারি যদি মনোভার।
শ্রাবণবরিষনে একদা গৃহকোণে
দু কথা বলি যদি কাছে তার
তাহাতে আসে যাবে কিবা কার।
ব্যাকুল বেগে আজি বহে যায়,
বিজুলি থেকে থেকে চমকায়।
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে।
সে কথা আজি যেন বলা যায়—
এমন ঘনঘোর বরিষায়।
২৪৯
সকরুণ বেণু বাজায়ে কে যায় বিদেশী নায়ে,
তাহারি রাগিণী লাগিল গায়ে।
সে সুর বাহিয়া ভেসে আসে কার সুদূর বিরহবিধুর হিয়ার
অজানা বেদনা, সাগরবেলার অধীর বায়ে
বনের ছায়ে।
তাই শুনে আজি বিজন প্রবাসে হৃদয়মাঝে
শরৎশিশিরে ভিজে ভৈরবী নীরবে বাজে।
ছবি মনে আনে আলোতে ও গীতে— যেন জনহীন নদীপথটিতে
কে চলেছে কলস ভরিতে অলস পায়ে
বনের ছায়ে।
২৫০
এ পারে মূখর হল কেকা ওই, ও পারে নীরব কেন কুহ হায়।
এক কহে, “আর-একটি একা কই, শুভযোগে কবে হব দুঁহু হায়।