বনপথে ফুলের মেলা, হেলে দুলে করে খেলা—
চকিতে সে চমকিয়ে কোথা দিয়ে যায়।
কী যেন গানের মতো বেজেছে কানের কাছে,
যেন তার প্রাণের কথা আধেকখানি শোনা গেছে।
পথেতে যেতে চ’লে মালাটি গেছে ফেলে—
পরানের আশাগুলি গাঁথা যেন তায়।
৩৯২
কেহ কারো মন বুঝে না, কাছে এসে সরে যায়।
সোহাগের হাসিটি কেন চোখের জলে মরে যায়।
বাতাস যখন কেঁদে গেল প্রাণ খুলে ফুল ফুটিল না,
সাঁঝের বেলা একাকিনী কেন রে ফুল ঝরে যায়।
মুখের পানে চেয়ে দেখো, আঁখিতে মিলাও আঁখি—
মধুর প্রাণের কথা প্রাণেতে রেখো না ঢাকি।
এ রজনী রহিবে না, আর কথা হইবে না—
প্রভাতে রহিবে শুধু হৃদয়ের হায়-হায়।
৩৯৩
গেল গো-
ফিরিল না, চাহিল না, পাষাণ সে।
কথাটিও কহিল না, চলে গেল গো।
না যদি থাকিতে চায় যাক যেথা সাধ যায়,
একেলা আপন-মনে দিন কি কাটিবে না।
ভাই হোক, হোক তবে—
আর তারে সাধিব না।
৩৯৪
বল্, গোলাপ, মোরে বল্,
তুই ফুটিবি, সখী, কবে।