পাতা:গীতবিতান.djvu/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শরৎ
৪৮৭

আজি তোমারে সাজায়ে দিল কে।
আহা বরিল তোমারে কে আজি
তার দুঃখশয়ন তেয়াজি—
তুমি ঘুচালে কাহার বিরহকাঁদনা,
ওগো সোনার স্বপন, সাধের সাধনা।

১৫১

শরত-আলোর কমলবনে
বাহির হয়ে বিহার করে যে ছিল মোর মনে মনে।
তারি সোনার কাঁকন বাজে আজি প্রভাতকিরণ-মাঝে,
হাওয়ায় কাঁপে আঁচলখানি—ছড়ায় ছায়া ক্ষণে ক্ষণে।
আকুল কেশের পরিমলে
শিউলিবনের উদাস বায়ু পড়ে থাকে তরুতলে।
হৃদয়মাঝে হৃদয় দুলায়, বাহিরে সে ভুবন ভুলায়—
আজি সে তার চোখের চাওয়া ছড়িয়ে দিল নীল গগনে।

১৫২

তোমার মোহন রূপে কে রয় ভুলে।
জানি না কি মরণ নাচে, নাচে গো ওই চরণমূলে।
শরৎ-আলোর আঁচল টুটে কিসের ঝলক নেচে উঠে,
ঝড় এনেছ এলোচুলে।
কাঁপন ধরে বাতাসেতে—
পাকা ধানের তরাস লাগে, শিউরে ওঠে ভরা ক্ষেতে।
জানি গো আজ হাহারবে তোমার পূজা সারা হবে
নিখিল অশ্রু-সাগর-কূলে

১৫৩

শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি।
ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি।