পাতা:গীতরত্ন গ্রন্থঃ (১৮৭০)- রামনিধি গুপ্ত.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
[  ]
ভৈরবী। তাল জলদ্‌ তেতালা।

 নয়ন ঘরে দেখরে প্রবল বিরহানল।
জলে হুতাশন, জ্বলয়ে দ্বিগুণ, না হয় শীতল।
ইহার উপায় বিধি, কিবা সেই প্রাণনিধি,
বোধেরে হইল।
বাসন পূরিবে, দুঃখ দুরে যাবে, নিভিবে অনল॥ ১॥

 দিবা অবসান হয় কখন পাব তারে।
নিশিতে পাইলে দেখ, নহেত সুখেরে॥
নীর মধ্যে বাস মোর, আঁখি ভাসে নীরে।
তাবে না হেরে অনল, জ্বলিছে অন্তরে॥ ১॥

 নয়ন কাতর কেন তাহারে না দেখিলে।
চতুর্ভুজ হই বুঝি সে মুখ হেরিলে।
নয়ন আপন মতে মনেরে আনিলে।
বিনা দরশনে দুঃখ, যায় কি করিলে॥ ১॥
কেমন নয়ন মোর না ভুলে ভুলালে।
কহে অীর সুখ কিবা, সে নিধি নহিলে॥ ২॥

 নয়নেরে দুঃখ দিয়া মনেতে সদা উদয়।
দরশন দিতে প্রাণ কেন হে এত নিদয়॥ ১॥

 আমি কি কখন তোমা বিনা সুখী।
যে রূপ করয়ে প্রাণ যতক্ষণ নাহি দেখি॥ ১॥