পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতিমালা Ե Է পাপ করিতে সম্পূহ হয়, সেইটী নামাপরাধ। (৭) ধৰ্ম্ম-ব্ৰত-ত্যাগ প্রভৃতি শুভকৰ্ম্মের সহিত নামকে সমান বলিয়া যিনি নামের নিকট ভোগ-মোক্ষ-রূপ। ফলের আশা করেন, তিনি নামাপরাধী । (৮) অশ্রদ্ধাবান, বিমুখ ও শুনিতে ইচ্ছা করেন না,-এরূপ ব্যক্তিকে হরিনাম দেওয়া অপরাধ। র্যাহার শ্রদ্ধা জন্মে নাই, তাহাকে হরিনাম উপদেশ করিবে না। কেবল হরিনামে শ্ৰদ্ধা উৎপাদনা করিবার জন্য নাম-মাহাত্ম্য বলিবে । (৯) নামের মাহাত্ম্য শ্রবণ করিয়াও নামে অবিশ্বাস ও অরুচি।। (১০) অহংতামমতাপূর্ণ ব্যক্তির হরিনাম-গ্রহণে অপরাধ হয় । জড়শরীরে আত্মবুদ্ধি-ক্রমে যিনি শরীরগত অভিমান করেন ও জড়-সম্পত্তিতে স্বকীয় বুদ্ধি করিয়া আসক্ত হন, তাহার হরিনামাপরাধ স্বভাবতঃ আছে। যেহেতু, তিনি সাধ্য-সাধনের চিন্ময়ত্ব-জ্ঞান হইতে নিতান্ত বঞ্চিত। হে শ্ৰদ্ধাবান জন ! এই দশাপরাধশুন্য হইয়া কৃষ্ণনাম কর। কৃষ্ণই জীবের মাতা, পিতা, সন্তান, দ্রবিণাদি, -ধন ও পতি বা প্ৰাণেশ্বর । জীব-চিৎকণ, কৃষ্ণ-চিৎসূৰ্য্য ও জড়াজগৎ-জীবের কারাগার। জড়াতীত কৃষ্ণলীলাই তোমার 2 | হে শ্ৰদ্ধাবান জীব, তুমি কৃষ্ণবহিৰ্ম্মখ হইয়া মায়িক সংসারে সুখ-দুঃখ ভোগ করিতেছ। এ অবস্থা তোমার যোগ্য নয়। যে-কাল-পৰ্যন্ত কৃষ্ণ-বহির্মুখতা-দােষজনিত কৰ্ম্মচক্ৰ তোমাকে আবদ্ধ রাখিয়াছে, সে-পৰ্য্যন্ত একটি সদুপায় অবলম্বন কর। প্রবৃত্তিক্ৰমে তুমি গৃহী, ব্ৰহ্মচারী বা বানপ্রস্থ হও, অথবা নিবৃত্তিক্রমে তুমি Digitized at BRCindia.com