পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F8 গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ ঠাকুর ভক্তিবিনোদ যেরূপ জনসাধারণের জন্য নামহট্ট পাতিয়াছিলেন, তদ্রুপ নিখিল বৈষ্ণবের জন্য শ্ৰীসনাতন-রূপের শ্ৰীশ্ৰী বিশ্ববৈষ্ণবরাজসভার পুনরুদ্বোধন করিয়াছিলেন। ১২৯২ সালের ৩০শে বৈশাখ কলিকাতা নগরীতে এই বিশ্ববৈষ্ণবসভার পুনঃ ংস্থাপন হয়। ঠাকুর ভক্তিবিনোদ এই বিশ্ববৈষ্ণবসভার সম্পাদক হইয়াছিলেন। সভার বিবরণ “বিশ্ববৈষ্ণবসভা কল্পাটৰী” গ্রন্থ মালায় প্রকাশিত হইত। শুদ্ধভক্তিসিদ্ধান্ত-সমূহ শ্ৰদ্ধাবান জন সাধারণ ও বৈষ্ণবাভিমানী ব্যক্তিগণের মধ্যে প্রচার করিয়া র্তাহাদের নিত্যমঙ্গল বিধান করিবার উদ্দেশ্যে ঠাকুর ভক্তিবিনোদ যে কত উপায়ে চেষ্টা করিয়াছেন, তাহার ইয়ত্তা নাই। ঠাকুরের বৈষ্ণব-সিদ্ধান্ত-মালার গুটীকা-সাহিত্য শ্রদ্ধাবান জনসাধারণের প্রতি এক অভূতপূর্ব অবদান। mass বা জন-সাধারণকে র্তাহাদের স্বভাবসিদ্ধ নিত্যধৰ্ম্মে আকৃষ্ট করিবার জন্যশ্ৰীচৈতন্যশিক্ষামৃতের দ্বারা অমর করিবার জন্য ঠাকুর ভক্তিবিনোদ নামহট্টের গীতি-সাহিত্য প্ৰকট করিয়াছিলেন। ভক্তিবিনোদ তাহার নামহট্টের বিভিন্ন সেবার জন্য বিভিন্ন পদ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। তৎসম্পাদিত সজ্জনতোষণী” পাঠে জানা যায়, বৰ্দ্ধমান আমলাজোড়া নিবাসী ক্ষেত্ৰনাথ ভক্তিনিধি ও বিপিনবিহারী ভক্তিরত্ন মহাশয় যথাক্রমে নামহট্টের “দণ্ডীদার” ও “বিপণিপতি’ ছিলেন। কেহ বা নামহট্টের ‘ব্রাজকবিপণি’ কেহ বা ‘জমাদার’ কেহ বা ‘সহরৎকারী’ প্ৰভৃতি পদবী লাভ করিয়াছিলেন। আর স্বয়ং ঠাকুর ভক্তিবিনোদ নামহট্টের পরিমার্জকরূপে জীবের Digitized at BRCindia.com ܐܶܟ݂