পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতাবলী b Sዕr হয়। কেননা, যদি তাহাদের উচ্চাধিকার প্রাপ্তি-জন্য সারগ্রাহী চেষ্টা থাকিত, তাহা হইলে উভয় লিঙ্গের সাম্বন্ধিক সম্মাননা করিয়া লিঙ্গাতীত বস্তুর জিজ্ঞাসার উপলব্ধি করিতেন। বস্তুতঃ ভারবাহিত্ব-ক্রমেই লিঙ্গ-বিরোধ উপস্থিত হয়। সারগ্রাহী মহােদয়গণ অধিকারভেদে লিঙ্গভেদের আবশ্যকতা বিচার-পূর্বক স্বভাবতঃ নির্বৈর এবং সাম্প্রদায়িক বিবাদ-সম্বন্ধে উদাসীন হন। এস্থলে জ্ঞাতব্য এই যে, কনিষ্ঠ ও মধ্যমাধিকারীদিগের মধ্যে সারগ্রাহী ও ভারবাহী উভয়বিধ মনুষ্যই লক্ষিত হয়। ভারবাহী লোকেরা যে এই শাস্ত্ৰ আদর করিয়া গ্রহণ করিবেন,-এরূপ আশা করা যায় না। লিঙ্গ-বিরোধ-বিষয়ে সম্পূৰ্ণ ঔদাসীন্য অবলম্বনপূর্বক ক্রমোন্নতি-বিধির আদর করিলে কনিষ্ঠ ও মধ্যমাধিকারী —সকলেই সারগ্রাহী হইয়া থাকেন।” শ্ৰেয়োনির্ণয়ের ষষ্ঠ সঙ্গীতে-“ভজরে ভজরে আমার মন আতি 支 মন্দ”-ঠাকুর ভক্তিবিনোদের রূপানুগ-ভজনের মৰ্ম্মকথা প্রকাশিত হইয়াছে। ঠাকুর ভক্তিবিনোদ উক্ত সঙ্গীতের উপসংহারে বলিয়াছেন যে, ভজনানন্দী রূপানুগ সাধুজনের আনুগত্য ব্যতীত কখনও ব্ৰজবাস সম্ভব নহে। ষষ্ঠ সঙ্গীতে যেরূপ জীবের মন্দ মনকে হরি-গুরু-বৈষ্ণবের ভজন ও স্মরণের দ্বারা ব্রজের পথে চালনা করিবার প্ররোচনা দিয়াছেন, তদ্রুপ সপ্তম সঙ্গীতে দুষ্ট মনকে বিষয়-বিষ, রিপুর মত্ততা, অসৎকথা, ভুক্তি-মুক্তি-পিপাস, প্রতিষ্ঠাশা-কুটীনাটী-শঠতাদি বৃত্তি হইতে মুক্ত করিয়া সরল মনে, সাধুসঙ্গে বৈষ্ণব-চরণে রীতিবিশিষ্ট হইতে Digitized at BRCindia.com