পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ব-পদকর্তৃগণ ও শ্ৰীভক্তিবিনোদ ՖՀ Գ গীতাবলীতে শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর শিক্ষাষ্টকের গীতি কিরূপ মাধুৰ্য্য, ঔদাৰ্য্য ও গাম্ভীৰ্য্যপূর্ণ ছন্দে পরিস্ফাট, তাহা অধিকারী পাঠকমাত্রেই অনুভব করিতে পারেন। ঠাকুর ভক্তিবিনোদের প্রত্যেক গীতিতে র্তাহার অভূতপূর্ব জীব-দুঃখ-দুঃখিতা ও আচাৰ্য্যত্ব পরিস্ফাট। ভক্তিবিনােদ আমাদিগের অনৰ্থ-ব্যাধি-সমূহকে যেন অতিমৰ্ত্ত রঞ্জনরশ্মি দিয়া নিভৃত অন্তঃপুর পর্য্যন্ত পরীক্ষা করিয়াছেন ও বিষাক্ত স্ফোটকগুলির যথাযোগ্য অস্ত্ৰোপচার করিয়াছেন । গীতি-সাহিত্য কেবল উচ্ছাসোদ্বেলিত ভাব-তরঙ্গের অভিব্যক্তি । মাত্র-এই আদর্শ ও মতবাদকে শ্ৰীল ঠাকুর ভক্তিবিনােদের . ভক্তিসিদ্ধান্ত-বিচার-পূর্ণ গীতি-সাহিত্য বিপৰ্য্যস্ত করিয়া গৌড়ীয়সাহিত্য-ভাণ্ডারে এক কল্যাণরত্বের খনি আবিষ্কার করিয়াছে। ভক্তিবিনোদের কি গদ্য, কি পদ্য-সাহিত্য উভয়ের মধ্যেই শ্ৰীৰূপানুগগৌড়ীয় বা বৈষ্ণব, তাহাদের আরাধ্য শ্ৰীগৌরহুন্দর, গৌরের ধাম, গৌরাভিন্ন বা শ্ৰীমদ্ভাগবতাভিন্ন হরিনামের অনুশীলনের অবিশ্রান্ত প্রবাহ প্রবাহিত রহিয়াছে। ঠাকুর ভক্তিবিনোদ তাহার গীতি-সাহিত্যের সিদ্ধিলালসা প্রভৃতিতে স্বয়ং নিত্যসিদ্ধ হইয়াও আপনাকে সাধক-অভিমান করিয়া আমায়ায় শিক্ষা দিয়া জীবের মঙ্গলবিধান করিয়াছেন। ভক্তিবিনোদ নিত্যসিদ্ধ হইয়াও “আমি সিদ্ধ হইয়াছি,—এরূপী কথা কখনও বলেন নাই। “আমি সাধক, কবে সেবাসিদ্ধি লাভ করিব।”—এই বিচারের আদর্শই সৰ্ব্বত্র প্রকট কুরিয়াছেন। “গুরুদেব আমাকে সিদ্ধ-প্ৰণালী দিয়াছেন,