পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

直 SR tr গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ সুতরাং আমি সিদ্ধ হইয়া গিয়াছি বা আমি উচ্চাধিকারী”— এইরূপ প্ৰতিষ্ঠাশা যে সৰ্ব্বনাশকর, তাহ ঠাকুর ভক্তিবিনোদের গীতির প্রতি-ছত্ৰে দেখিতে পাওয়া যায়। ঠাকুর নরোত্তমের প্রার্থনা ও প্ৰেমভক্তিচন্দ্ৰিকাকে ঠাকুর ভক্তিবিনোদের শরণাগতি, কল্যাণকল্পতরু, গীতিমালা, গীতাবলী প্রভৃতি গীতি-গ্রন্থের সহিত পাশাপাশি রাখিলে উভয় আচাৰ্যেরই রূপানুগবীরত্ব সমভাবে সম্প্রকাশিত দেখিতে পাওয়া যায়। এদিকে ঠাকুর নরোত্তম যেরূপ প্রার্থনা’র স্বাভীষ্ট-লালসায় বলিয়াছেন— “হরি হরি। আর কি এমন দশা হ’ব । ছাড়িয়া পুরুষ-দেহ, কবে বা প্ৰকৃতি হ’ব, দুহু অঙ্গে চন্দন পরা’ব ।” অপর দিকে ঠাকুর ভক্তিবিনোদও শরণাগতিতে গাহিয়াছেন “ছোড়িত পুরুষ-অভিমান । কিঙ্করী হইনু আজু কান ৷ বরাজ-বিপিনে সখী সাথ । সেবন করাহু রাধানাথ ॥” ঠাকুর নরোত্তম গাহিয়াছেন “মল্লিকা-মালতি-যুঁথি, নানা ফুলে মালা গাঁথি', কবে দিব দোহার গলায়।” আবার অন্যদিকে ঠাকুর ভক্তিবিনোদ সর্বত্র গুরুরূপী সখীর আনুগত্য স্বীকার করিয়া বলিতেছেন - - - Digitized at BRCIndia.com