পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVor গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ রসাভাস-দোষ দেখা গিয়াছিল । এইজন্য আমাদের ঠাকুর লীলাকীৰ্ত্তন অপেক্ষা সম্বন্ধ জ্ঞান-তত্ত্বের বিচারপূর্ণ সঙ্গীতই অধিক রচনা করিয়াছেন এবং লীলা-কীৰ্ত্তনের মধ্যেও সম্বন্ধ-জ্ঞানের কথা পুনঃ পুনঃ স্মরণ করাইয়া দিয়াছেন। ঠাকুর শ্ৰীল ভক্তিবিনোদ প্ৰচলিত সঙ্গীত-সাহিত্য ও কীৰ্ত্তন-প্ৰণালী-সম্বন্ধে যে বিচার প্রদর্শন করিয়াছেন, আমরা তাহা নিম্নে উদ্ধার করিয়া এই ক্ষুদ্র গ্রন্থের উপসংহার করিতেছি । --SumitaBot (আলাপ) ১৪:৫৫, ১১ অক্টোবর ২০১৭ (ইউটিসি)) “আজকাল অনেকগুলি কীৰ্ত্তন-সম্প্রদায় হইয়াছে। ইহারা ~<আপনাদের সঙ্গীতকে “মনোহর সাহী সঙ্গীত” বলিয়া উল্লেখ করে। ইহাদের গানের প্রথা এই যে, প্ৰথমে আসরে বসিয়া খোল বাজায়, পরে সুর সাধিয়া লয়। সুর-সাধন হইলে একটী গৌরচন্দ্ৰ-সম্বন্ধীয় গীত গায়। গৌরচন্দ্রের যে রসের গীত হয়, সেই রসের কৃষ্ণলীলা একটী পালা-গান হয়। যে-সময়ে গৌরচন্দ্রের গীত হয়, তখন গায়ক, বাদক ও শ্রোতৃগণ দণ্ডায়মান থাকেন। গৌরগীত সমাপ্ত হইলে সকলে বসিয়া কৃষ্ণ-গীত গান ও শ্রবণ করেন। পালাগুলি পূর্ব-মহাজন-কৃত গীতে পরিপূর্ণ। যে গৃহস্থ ঐ গানের অনুষ্ঠান করান, তিনি মালা-চন্দনের ব্যবস্থা করিয়া প্ৰথমে মালা মৃন্দঙ্গের উপর দিয়া তৎপরে গায়ক, বাদক ও শ্রোতৃবৰ্গকে মালা প্ৰদান করেন । যদিও এই সঙ্গীতের নাম সাধারণে মনোহর সাহী হইয়াছে, তথাপি অনুসন্ধান করিয়া জানা যায়, সকল গানই মনোহর সাহী নয়। শ্ৰীমন্মহাপ্রভূর সময়ে শ্ৰীস্বরূপ-গোস্বামীর তত্ত্বাবধানে এই— Digitized at BRCIndia.com