পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S &ኃ গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ “এমন দুৰ্ম্মতি, ংসার ভিতরে, পড়িয়া আছিনু আমি। তব নিজ-জন, কোন মহাজনে, পাঠাইয়া দিলে তুমি ॥” ইত্যাদি অষ্টম গীতিতে কীৰ্ত্তন করিয়াছেন । একাদশ সংখ্যক গীতিতে ঠাকুর ভক্তিবিনোদ যে জীবন্তভাষায় ‘আত্মসমৰ্পণ” বর্ণনা করিয়াছেন, তাহার তুলনা হয় না । একাদশ গীতি হইতে আত্মনিবেদনের কথা আরম্ভ হইয়াছে। ঐ গীতির মধ্যে “জনক জননী, দায়িত, তনয় । প্ৰভু, গুরু, পতি তুহু সৰ্ব্বময় ॥” প্রভৃতি পদ দেখিতে পাওয়া যায়। আত্মনিবেদনে ভগবানকে মাতা-পিতা-জ্ঞান ভক্তিবিরুদ্ধ নহে। নির্বিশেষ ব্ৰহ্মকে “পিতা মাতা” সম্বোধন করিয়া তাহার নিকট হইতে কিছু আদায় করিবার চেষ্টা শাক্তেয় মতবাদে দৃষ্ট হয়। ভগবদ্ভক্তের আত্মনিবেদনে ভগবানকে মাতাপিতৃসম্বোধন শাক্তেয় মতবাদের বিচার হইতে সম্পূর্ণ পৃথক। শরণাগতিতে পরমেশ্বরকে “ভাই,’ ‘বন্ধু,’ ‘মাতা, “পিতা,’ ‘প্ৰভু,’ ‘গুরু’-এই সকল কথা বলা হয় ; কারণ, তিনিই “আত্মা’ ( প্ৰাণ বা প্রিয় )—“আততত্বাচ্চ মাতৃত্বাব্দাত্মা হি পরমে হরিঃ” ; অথবা “মা” ধাতু ‘তৃচ’ প্ৰত্যয় করিয়া ‘মাতা’ শব্দ নিষ্পন্ন। “মা” ধাতুর অর্থ-পরিমাণ করা। যিনি আমাদিগের পরিমাণ করেন। অর্থাৎ যে বৈকুণ্ঠবস্তু আমাদিগকে পরিমাণ করিতে, পারেন, Digitized at BRCindia.com - -له