পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরণাগতি S ግ

  • ১ সেই পূৰ্ণব্ৰহ্মই মাতা। আমরা পরিমিত বিভিন্নাংশ জীব। ‘에 ধাতু ‘তৃচ’ প্ৰত্যয় করিয়া ‘পিতা’ শব্দ নিষ্পন্ন। যিনি

আমাদিগকে পালন করেন, রক্ষা করেন, তিনি পিতা । অপবণিগণ r বৃত্তি রহিত হইয়া শরণাগতিতে পরমেশ্বরকে ‘মাতা’ পৰ্য্যন্ত বলিতে পারা যায় ; কিন্তু কখনও কন্যা, ভগ্নী বা স্ত্রী-এই তিনটী , - নামের দ্বারা অভিহিত করা যায় না। কারণ, পরমেশ্বর শক্তি , * জাতীয় বস্তু নহেন ; তিনি শক্তিমান। শরণাগতির দ্বাদশ সংখ্যক গীতিতে শরণাগত কিরূপভাবে “অহং মম’ নামাপরাধ পরিত্যাগ করেন, তাহা বর্ণিত আছে “আমি শব্দে দেহী জীব অহংতা ছাড়িল । ত্বদীয়াভিমান আজি হৃদয়ে পশিল ॥” আত্মনিবেদন করিবার পর জীবের আর কোন চিন্তা থাকে না। অনুক্ষণ চিন্তামণির সেবা-চিন্তাই তাহার একমাত্র সহজধৰ্ম্মরূপে উদিত হয়। তখন তিনি হরিসেবায় সুখ-দুঃখ বিচার করেন না। হরি-গুরু-বৈষ্ণব-সেবার জন্য যত দুঃখই উপস্থিত r হউক না কেন, তাহ পরম সুখ বলিয়াই শরণাগত ব্যক্তি বরণ করেন। সেবা-সুখে পূর্বে ইতিহাস সমস্ত ভুলিয়া যান, কৃষ্ণসেবা ব্যতীত তাহার আর অন্য অভিলাষ থাকে না এবং কৃষ্ণসেবার জন্য অখিল চেষ্টা করিতে করিতে স্বরূপসিদ্ধি লাভ করেন “তোমার সেবায়, দুঃখ হয় যত, সেও ত’ পরম সুখ । Digitized at BRCIndia.com