পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্যাণকল্পতরু 8 5 কপট লোক কপট ব্যক্তিকেই “সাধু বলিয়া মনে করে। আবার কতকগুলি অজ্ঞ লোক ভাগ্যদোষে বুজরুগের পাল্লায় পড়িয়া যায়। সপ্তদশ সঙ্গীতে ঠাকুর ভক্তিবিনোদ শ্রেণীতপথ বা আমায়-বিধি ও শাস্ত্ৰানুগত্যহীন স্বতন্ত্রতামূলক ভজনাভিনয় নিরাস করিয়াছেন । কতিপয় ব্যক্তি স্বতন্ত্রতার বা যথেচ্ছাচারিতারূপ মায়াবীর মোহে মুগ্ধ হইয়া অসাম্প্রদায়িক হইবার যুক্তিতে শ্রৌতপথ, মহাজনূনুগত্য ও শাস্ত্রানুগত্য পরিত্যাগ করিয়া মনোধৰ্ম্মের কৈঙ্কৰ্য্য করিবার দুৰ্ব্ববুদ্ধিতে পতিত হয়, তাহারাই সম্প্রদায়ে দােষবুদ্ধি করিয়া সৎ সাম্প্রদায়িক দীক্ষা বা তিলক-মালান্দি-সদাচার-গ্রহণের বিরুদ্ধবাদী হইয়া মনঃকল্পিত নবীন মত প্রচার করে। তাহাদের যুক্তি এই যে, ভণ্ড বা ধুৰ্ত্তের তিলক-ফোটা, দীক্ষা, মালা প্রভৃতি ধারণ করিয়া অন্যায় কাৰ্য্য করে; অতএব ঐসকল চিহ্নই তজ্জন্য দায়ী। বস্তুতঃ যাহারা লোকভয় বশতঃই হউক বা ভক্তিদেবীর প্রতি বিমুখত-বশতই হউক, বহির্মুখ-লোকপ্রিয়তা এবং চিং ও অচিৎএর গোজামিল দেওয়াকেই বহুমানন করে, তাহারাই সৎসম্প্রদায়ে দোষারোপ করিয়া মনঃকল্পিত সম্প্রদায় রচনা করে । ঠাকুর ভক্তিবিনোদ অতি সজীব-ভাষায় ইহা বৰ্ণনা করিয়াছেন— “সম্প্রদায়ে দোষ-বুদ্ধি, জানি’ তুমি আত্মশুদ্ধি, ‘করিবারে হৈলে সাবধান। ,নিলে তিলক-মালা, ত্যজিলে দীক্ষার জালা {ף নিজে কৈলে নবীন বিধান ৷ Digitized at BRCIndia.com