পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ পূর্বমতে তালি দিয়া, নিজ-মতি প্ৰচারিয়া, নিজে অবতার-বুদ্ধি ধরি”। ব্ৰতাচার না মানিলে, পূৰ্বপথ জলে দিলে, মহাজনে ভ্ৰম-দৃষ্টি করি’। ফোটা দীক্ষা মালা ধরি’, ধূৰ্ত্ত করে সুচাতুরী, তাই তাহে’ তোমার বিরাগ । মহাজন-পথে দোষ, দেখিয়া তোমার রোষ, % ॥ এখন দেখহ ভাই, স্বর্ণ ছাড়ি’ লৈলে ছাই, ইহকাল পরকাল যায় । কপট বলিল সবে, ভকতি বা পেলে কবে, দেহান্তে বা কি হ’বে উপায় ॥” কল্পতরুর অষ্টাদশ উপদেশ-গীতিতে ঠাকুর ভক্তিবিনোদ কৃত্ৰিম অভ্যাস, পিচ্ছিল-স্বভাব-জনিত ছায়া ও প্ৰতিবিম্ব ভক্ত্যাভাসকে নিরাস করিয়াছেন । প্ৰাকৃত-সহজিয়া-সম্প্রদায়ে কনক-কামিনীলাভ-পূজা-প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে যে নানাপ্রকার কৃত্রিম ও আনুকরণিক ভাব-বিকার দেখিতে পাওয়া যায়, উহা সম্পূর্ণ কপটতা ও ভক্তিদেবীর চরণে অপরাধ। ঠাকুর ভক্তিবিনোদের জলন্ত-ভাষায় ইহা এইরূপ ব্যক্তি হইয়াছে “কি আর বলিব তোরে ग्रन। মুখে বল “প্রেম প্ৰেম,” বস্তুতঃ ত্যজিয়া হেম, শূন্য গ্রন্থি অঞ্চলে বন্ধন। Digitized at BRCindia.com