পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৬ ত গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনােদ উনবিংশ গীতিতে আধ্যক্ষিক-জ্ঞান-জনিত প্রকৃত সাধুসঙ্গে বিতৃষ্ণা এবং ক্রম-বিধানানুসারে শ্রদ্ধা হইতে সাধুসঙ্গ, সাধুসঙ্গে ভজন-ক্রিয়া, ভজন-ফলে অনৰ্থ-নিবৃত্তি, তৎপরে নিষ্ঠা, রুচি, আসক্তির উদয়, আসক্তি হইতে ভাব ও ভাবের পরিপক্কতায় প্ৰেম-লাভের ক্রম বর্ণিত হইয়াছে। যাহারা এই ক্রম-সাধন পরিত্যাগ করিয়া নাটকাভিনয়ের মত কপট-ভাব প্রদর্শন করে, তাহারা ইন্দ্ৰিয়ের দাস-কামুক। অতএব ঠাকুর ভক্তিবিনোদের কল্যাণকল্পতরুর সর্বশেষ ‘উপদেশ’- “নাটকাভিনয় প্রায়, সকপট প্ৰেম ভায়, " তাহে মাত্র ইন্দ্ৰিয়-সন্তোষ । ইন্দ্ৰিয়া-তোষণ ছার, সদা কর পরিহার, ছাড়’ ভাই অপরাধ-দোষ ॥” কল্যাণকল্পতরুর দ্বিতীয় স্কন্ধের নাম-উপলব্ধি । সেই উপলব্ধি বিভিন্ন লক্ষণযুক্ত—(১) অনুতাপ-লক্ষণউপলব্ধি, (২) নির্বেদ-লক্ষণউপলব্ধি, (৩) সম্বন্ধ-বিজ্ঞান-উপলব্ধি, (৪) অভিধেয়-বিজ্ঞান-লক্ষণউপলব্ধি, ( ৫ ) প্রয়োজনবিজ্ঞান-লক্ষণ-উপলব্ধি। অনুতাপ-লক্ষণউপলব্ধিতে পাচটি সঙ্গীত, নির্বেদ-লক্ষণে পাচটি সঙ্গীত এবং সম্বন্ধ, অভিধেয় ও প্রয়োজন-বিজ্ঞান-লক্ষণে একত্ৰে চারিটি সঙ্গীত नूठे श्व। “উপলব্ধি’র প্রথম সঙ্গীতে দুর্লভ-মনুষ্য-জন্মে হরিভজন না হইলে কিরূপ প্ৰকৃতির দাসত্বে জীবন অতিবাহিত হয়, তাহায় চিত্র Digitized at BRCIndia.com