পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ሰ (ኃ গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ আবার শ্ৰীল। রঘুনাথের “ব্ৰজবিলাস স্তবে”র ন্যায় ব্রজের বিভিন্ন লীলাস্থলীর সেবা কবিবার লৌল্য প্ৰকাশ করিতেছেন। ; কখনও বৈষ্ণবে রতি-প্রার্থনা, কখনও বা কনিষ্ঠ, মধ্যম, উত্তম বৈষ্ণব চিনিবার যোগ্যতা-প্রার্থনা ও বৈষ্ণবের রূপায় “আমি বৈষ্ণব’-এইরূপ প্ৰতিষ্ঠাশা হইতে মুক্ত হইয়া বৈষ্ণবের উচ্ছিষ্টভোজী কুকুরত্ব-প্রার্থনা, জড়-আশায় জলাঞ্জলি দিয়া বৃন্দাবনাভিন্ন নবদ্বীপে বাস-প্রার্থনা ; নবদ্বীপের মধ্যে আবার কীৰ্ত্তনাখ্য গোড়ক্রম-কাননের বৈশিষ্ট্য-উপলব্ধি, গৌর-নিত্যানন্দের কৃপা-বলে গৌর-বনে ব্ৰজ-বনের শোভা-দর্শন এবং নবদ্বীপের গ্রামে-গ্রামে ধামবাসীর গৃহে মাধুকরী ভিক্ষা করিয়া অনুক্ষণ ‘শ্ৰীগৌর-গদাধর” ও ‘শ্ৰীরাধা-মাধব’ নাম বিপ্ৰলম্ভের সহিত উচ্চারণ করিতে করিতে জীবন যাপন করিবার শিক্ষা প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। কল্যাণকল্পতরুর ‘বিজ্ঞপ্তি’র মধ্যে শ্ৰীগোপীনাথের প্রতি নিবেদনসমূহ বিপ্ৰলন্তের আৰ্ত্তিরসে অভিষিক্ত। যখন জীব গোপীনাথের পাদপদ্মে এইরূপ আত্তিবিশিষ্ট হয়, তখনই তাহার জন্ম-জন্মান্তরের অপরাধ ও ভৌগলিপ্তাজনিত পাষাণাতুল্য হৃদয় বিগলিত হইতে পারে। কেবল এই গোপীনাথ-গীতিগুলি শ্ৰীহরি-গুরু-বৈষ্ণবের আনুগত্যে অকপটে গান করিলেই জীব অনায়াসে জীবন্মুক্তি লাভ করিতে পারে, তাহার। আর অন্য কোন প্রকার সাধন ভজনের প্রয়োজন হয় না । শ্ৰীকৃষ্ণের নিকট বিজ্ঞপ্তি তিন প্রকার—(১) সংপ্রার্থনাময়ী, (২) দৈন্যবোধিকা ও (৩) লালসাময়ী Digitized at BRCindia.com