পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե8 গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ হ’লে চিত্তশুদ্ধি, তত্ত্ববুদ্ধি, ভেক। আপনি এসে হয় প্রকাশ ৷ তুমি শুদ্ধ চিদানন্দ, কৃষ্ণসেবা তোর আনন্দ, পঞ্চ ভূতের হাতে প’ড়ে’ হয় আছে একটা মেষ ; এখন সাধুসঙ্গে, চিৎপ্রসঙ্গে, তোমার উপায় অবশেষ ॥ ভেক ধরি’ চেষ্টা ক’রে, ভেকের জালায় শেষে মরে, নেড়ানেড়ি ছড়াছড়ি, আখড়া বেঁধে বাস ; অকাল কুম্মাণ্ড, যত ভণ্ড, করছে জীবের সর্বনাশ | শুক, নারদ, চতুঃসন, ভেকের অধিকারী হন, তা’দের সমান পারলে হ’তে ভেকে ক’বুবে আশ ; বল তেমন বুদ্ধি, চিত্তশুদ্ধি ক’জন ধরায় ক’রছে বাস ? আত্মানাত্ম-সুবিবেকে, প্ৰেমলতায় চিত্ত-ভেকে, ভজন-সাধন-বারি-সেকে করাহ উল্লাস ; চাদবাউল বলে, এমন হ’লে হ’তে পারবে ‘কৃষ্ণদাস’ ৷” নামহট্ট ও দালালের গান ঠাকুর ভক্তিবিনোদ জনসাধারণ বা mass এর মধ্যে শুদ্ধভক্তির কথা সহজ ও সরল ভাষায় প্রচারের জন্য “নামহট্ট” খুলিয়াছিলেন। এবং সেই নামের হাটে নিজে একজন সর্বাপেক্ষা নীচ সেবক অর্থাৎ “ঝাড়ুদার’মাত্র, এইরূপ পরিচয় দিয়া গ্রামে-গ্রামে দালাল অর্থাৎ প্রচারকের দ্বারা বেদ-বেদান্ত-ভাগবতের রহস্য-সমূহ প্রচার করিয়াছিলেন। শঙ্করাচাৰ্য্যের ন্যায় বিশ্ববিশ্রাত পণ্ডিত নিখিল বেদবেদান্ত আলোড়ন করিয়া যে রহস্যের কথা জগতে প্রচার করেন Digitized at BRCindia.com